hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

আমরা আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিব নিম্ন বর্ণিত কারণে:
১-আল্লাহর দ্বীনের প্রচার ও প্রসার এবং যমীনের বুকে তাঁর দাসত্ব বাস্তবায়ন করা

আর ইহা সম্পন্ন হবে উহার বিপরীত বিষয়গুলির অবসানের মাধ্যমে যেমন বিভিন্ন রকম কুফরী, সীমালংঘন, পাপাচার ও অবাধ্যতা প্রভৃতি।

২-উত্তম নমুনা তথা মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণ করা

কারণ তিনি রাত ও দিনের বিভিন্ন অংশে দাওয়াত দিতেন। তিনি আল্লাহর পথে সংগ্রাম করেছেন যেমন করে ছিলেন তাঁর পূর্বেকার নবী ও রাসূলগণ। মহান আল্লাহ্ নূহ আলাইহিস্ সালাম এর বক্তব্য উল্লেখ করে বলেনঃ

قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلاً وَنَهَاراً (৫) فَلَمْ يَزِدْهُمْ دُعَائي إِلَّا فِرَاراً (৬) وَإِنِّي كُلَّمَا دَعَوْتُهُمْ لِتَغْفِرَ لَهُمْ جَعَلُوا أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِمْ وَاسْتَغْشَوْا ثِيَابَهُمْ وَأَصَرُّوا وَاسْتَكْبَرُوا اسْتِكْبَاراً (৭) ثُمَّ إِنِّي دَعَوْتُهُمْ جِهَاراً (৮) ثُمَّ إِنِّي أَعْلَنْتُ لَهُمْ وَأَسْرَرْتُ لَهُمْ إِسْرَاراً (৯)[ نوح ]

‘সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি আমার জাতিকে রাতে এবং দিনে আহবান করেছি। কিন্তু আমার আহবান তাদের পলায়নই বৃদ্ধি করেছে মাত্র। আমি যতবারই তাদেরকে দাওয়াত দিয়েছি, যাতে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, ততবারই তারা কানে আঙ্গুলি দিয়েছে, মুখমন্ডল বস্ত্রাবৃত করেছে, জেদ করেছে এবং খুব ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছে। অতঃপর আমি তাদেরকে প্রকাশ্যে দাওয়াত দিয়েছি। অতঃপর আমি ঘোষণা সহকারে প্রচার করেছি এবং গোপনে চুপিসারে বলেছি। ( সূরা নূহ : ৫-৯)

নবী নূহ আলাইহিস্ সালাম অন্যান্য নবীগণের ন্যায় একজন নবী। তিনি তাঁর কওমকে সর্বসময়, সর্ব উপকরণ, পথ ও পদ্ধতি অবলম্বনে দাওয়াত দিয়েছেন। বরং তিনি বিনা বিরক্তি বিনা অবসাদে সুদীর্ঘ সাড়ে নয়শ’ বছর দাওয়াত দিয়েছেন। এজন্যই আমাদের বন্ধু নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাললাম আল্লাহর নিম্নোক্ত ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে-

( ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ )[ النحل :১২৫].

‘আপানি আপনার প্রতিপালকের পথে আহবন করুন।’ ( সূরা আন নাহল:১২৫)।

( وَادْعُ إِلَى رَبِّكَ إِنَّكَ لَعَلَى هُدىً مُسْتَقِيمٍ ) [ الحج :৬৭]

‘আর আপনি আপনার রবের দিকে আহবান করুন। নিশ্চয় আমি সঠিক হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত আছেন।’ (সূরা আল হজ : ৬৭)

( وَادْعُ إِلَى رَبِّكَ وَلا تَكُونَنَّ مِنَ الْمُشْرِكِينَ ) [ القصص :৮৭]

‘আর আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন। আর মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকুন।’ (সূরা আল্ ক্বাছাছ : ৮৭)

তাইতো নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মৃত্যুদম পর্যন্ত আল্লাহর দিকে আহবানকারী হিসাবে কাটিয়েছেন। তিনি তাঁর অনুসারীদেরকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেনঃ

( بَلِّغُوْا عَنِّيْ وَلَوْ آيةً )[ البخاري، كتاب الأنبياء، باب ما ذكر عن بني إسرائيل، حديث ৩৪৬১]

‘তোমরা আমার নিকট থেকে পৌঁছিয়ে দাও-তথা প্রচার কর, যদিও তা একটি আয়াতও হয়।’ (বুখারী, হা/৩৪৬১)।

৩-যদি আল্লাহর পথে দাওয়াত অব্যাহত না থাকে তবে কুফর ও শিরকের উপস্থিতি দ্রুত হোক বা বিলম্বে, এক সময় তা ইসলামের স্থায়িত্বে প্রভাব ফেলবে এবং তার অনুসারীদেরকে হ্রাস করবে।

৪-মুসলিমদের থেকে ধ্বংস ও শাস্তি প্রতিহত করা:

মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

( وَاتَّقُوا فِتْنَةً لا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْكُمْ خَاصَّةً وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ ) [ الأنفال :২৫]

আর তোমরা এমন ফিৎনাহকে ভয় কর যা তোমাদের মধ্যেকার অত্যাচারীদেরকেই শুধু আপতিত করবে না। (বরং সকলকে তা গ্রাস করবে)। আর জেনে রেখ নিশ্চয় আল্লাহ্ হলেন কঠিন শাস্তিদানকারী। (সূরা আল্ আনফাল: ২৫)।

যায়নাব বিনতে জাহ্শ থেকে বর্ণিত,তিনি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে জিজ্ঞাসা করেছিলেনঃ আমরা কি আমাদের মাঝে সৎকর্মশীলদের উপস্থিতি সত্ত্বেও ধ্বংস প্রাপ্ত হব? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ অবশ্যই। যখন পাপাচার বৃদ্ধি পাবে। (মুসলিম,ফিৎনা-ফাসাদ অধ্যায়, হা/২৮৮০)।

৫-ইসলামের প্রতি মানুষের অতীব প্রয়োজনীয়তা

কারণ তাদেরকে গায়রুল্লাহর গোলামী ও দাসত্ব থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রয়োজন। এবং তাঁর জটীল সমস্যা গুলির সমাধান ও তার অবস্থার সংশোধন প্রয়োজন। আর এসব সমস্যার সমাধান একমাত্র বিশুদ্ধ ইসলাম দ্বারাই সম্ভব। আল্লাহ্ বলেনঃ

( وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنْكاً )[ طـه :১২৪]

‘যে আমার যিক্র-উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তার জন্য অবশ্যই রয়েছে সংকীর্ণময় জীবন।’ (সূরা ত্বা-হা : ১২৪)।

৬-খৃষ্টানী ও ভ্রষ্টতার দাওয়াতের অপতৎপরাতার মুখে দাঁড়ানো যা সমগ্র পৃথিবীকে ধ্বংস করেছে এবং কতিপয় দুর্বলদের মনে নিজ ইসলাম ধর্ম বিষয়ে সংশয়ের ধুম্রজালে আবদ্ধ করে দিয়েছে।

৭-ধ্বংসকারী কতিপয় দর্শন যেমন ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ, ধর্মহীনতা, জাতীয়তাবাদ, ধর্মহীন আধুনিকতা প্রভৃতির প্রসারতা রোধ করা।

৮-নিশ্চয় আল্লাহর দিকে আহবান করা সর্বাধিক সম্মানিত দায়িত্ব। কারণ এরই মাঝে দুনিয়া ও আখেরাতের সম্মান নিহিত রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন