hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৩৯
প্রথমতঃ আল্ কুরআন ও তার সংজ্ঞাঃ
মহাগ্রন্থ আল্ কুরআন হল আল্লাহর বাণী যা তাঁর রাসূল সা. এর প্রতি জিবরীলে আমীনের মাধ্যমে নাযিল করা হয়েছে। যার তিলাওয়াত-পঠনের মাধ্যমে ইবাদত করা হয় এবং যা আমাদের নিকট ধারাবাহিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যার শব্দ ও আয়াত অলৌকিক বিষয়। এই মহাগ্রন্থ আল কুরআন-আল্লাহর প্রশংসা ও করুণায়-সমগ্র মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে স্থানান্তরকারী। ইহা আল্লাহর বাণী, এটি সৃষ্ট বস্ত্ত নয়। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

وَإِنْ أَحَدٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ اسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّى يَسْمَعَ كَلامَ اللَّهِ ثُمَّ أَبْلِغْهُ مَأْمَنَهُ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لا يَعْلَمُونَ (৬)[ التوبة ]

‘যদি কোন মুশরিক আপনার কাছে নিরাপত্তা তলব করে তাহলে তাকে নিরাপত্তা দিন যাতে সে আল্লাহর কালাম-বাণী শুনতে পায়। অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দিন। ইহা এজন্যই যে তারা অজ্ঞজাতী। (সূরা আত্ তাওবাহ্ঃ৬)

মুসলিম উম্মত এই মহান গ্রন্থের উপর গভীরভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। এই সেই কিতাব যা কাফেরদের গলাভ্যন্তরের কন্টকস্বরূপ এবং মুনাফিক ও অপরাধীদেরকে লাঞ্ছিতকারী। এই কুরআনের প্রতি মুসলিম উম্মত যথেষ্ট লক্ষ্য রেখেছে তিলাওয়াত, মুখস্ত করণ, আমল প্রভৃতির মাধ্যমে। আল্লাহ্ এই গ্রন্থের সংরক্ষণের দায়িত্বভার নিজেই নিয়েছেন। তাই তো মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ (৯)[ الحجر ]

‘নিশ্চয়ই আমিই এই যিকর (কুরআন) কে নাযিল করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষণকারী। (সূরা আল্ হিজরঃ৯)

এজন্যই মুসলিম ব্যক্তির কর্তব্য হল, এই মহান গ্রন্থকে নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা। গভীরভাবে অর্থ জেনে বুঝে পাঠ করা। এজন্যই সে একটি আয়াত ততক্ষণ অতিক্রম করবে না যেযাবৎ তার অর্থ না বুঝবে এবং তদানুযায়ী আমল না করবে। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

أَفَلا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا (২৪)[ محمد ]

‘তারা কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে না কেন, নাকি তাদের অন্তর সমূহে তালা ঝুলানো রয়েছে?’ (সূরা মুহাম্মাদঃ২৪)

মহান আল্লাহ্ আরও বলেনঃ

أَفَلا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلافاً كَثِيراً (৮২)[ النساء ]

‘তারা কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে না কেন? যদি তা আল্লাহ্ ভিন্ন অন্য কারও পক্ষ থেকে হত, তাহলে এর মাঝে অনেক মতভেদ দেখতে পেত।’ (সূরা আন্ নিসা : ৮২)

সালাফে ছালেহীন কুরআনের মূল্য বুঝতে পেরেছিলেন বলেই তারা তা নিয়ে চিন্তা-গবেষণায় মত্ব হয়ে ছিলেন। নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছাহাবীগণ দশটি আয়াত অতিক্রম করতেন না যে যাবৎ তারা তা মুখস্ত করে না নিতেন এবং তার উপর আমল না করতেন। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَاناً وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ (২)[ الأنفال ]

‘মুমিন তো তারাই যাদের নিকট আল্লাহকে স্মরণ করা হলে তাদের অন্তরসমূহ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে যায়। আর তাদের নিকট তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে দেয় আর তারা নিজ প্রতিপালকের উপর ভরসা করে। (সূরা আল্ আনফালঃ২)

মহান আল্লাহ্ আরো বলেনঃ

لَوْ أَنْزَلْنَا هَذَا الْقُرْآنَ عَلَى جَبَلٍ لَرَأَيْتَهُ خَاشِعاً مُتَصَدِّعاً مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ (২১)[ الحشر ]

‘আমি এই কুরআনকে যদি পাহাড়ের উপর নাযিল করতাম, তাহলে অবশ্যই তাকে দেখতে পেতে এই অবস্থায় যে, সে আল্লাহর ভয়ে ভীত ও বিদীর্ণ হয়ে গেছে।’ (সূরা আল্ হাশরঃ২১)।

তারীখে বাগদাদ প্রণেতা (খত্বীব বাগদাদী) উল্লেখ করেছেন, আবু হানীফা পুরা একটি রাত কিয়াম করেছেন মহান আল্লাহর এই বাণীটি তেলাওয়াত করতে করতে-

بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ (৪৬)[ القمر ]

‘বরং কিয়ামত হল তাদের প্রতিশ্রূত সময়। আর এই কিয়ামত হল ঘোরতর বিপদ ও তিক্ততর।’ (সূরা আল্ ক্বামারঃ৪৬)।

এসব কারণেই এই উম্মতের উপর এই মহান ভিত্তি দৃঢ়ভাবে ধারণ করা এবং তার ফযীলত জানা, তার তেলাওয়াত করা এবং তা পরিত্যাগকৃত অবস্থায় ফেলে না রাখা কর্তব্য। উল্লেখ্য এই কিতাব দৃঢ়ভাবে ধারণ করার দাবী হিসাবে কিছু মহান বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা একান্তই যরূরী। এ বিষয়গুলোর অন্যতম হল এই আল কুরআন-কে মুখস্ত করা।

মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

بَلْ هُوَ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ فِي صُدُورِ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ ... (৪৯)[ العنكبوت ]

‘বরং যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, তাদের অন্তরে ইহা (কুরআন) তো স্পষ্ট আয়াত-নিদর্শন।’ (সূরা আল্ আনকাবূতঃ৪৯)।

হাদীছে কুদসীতে এসেছে, যা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-তাঁর প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেনঃ

( إِنَّمَا بَعَثْتُكَ لأَبْتَلِيَكَ وَأَبْتَلِىَ بِكَ وَأَنْزَلْتُ عَلَيْكَ كِتَابًا لاَ يَغْسِلُهُ الْمَاءُ تَقْرَؤُهُ نَائِمًا وَيَقْظَانَ )[ رواه مسلم مطولاً، كتاب الجنة، باب الصفات التي يعرف بها في الدنيا أهل الجنة وأهل النار (৭১৩৬)]

আমি তো আপনাকে প্রেরণ করেছি একমাত্র এজন্যই যে আপনাকে আমি পরীক্ষা করব এবং আপনার দ্বারা অন্যদেরকে পরীক্ষায় ফেলব। আপনার উপর এমন একটি গ্রন্থ নাযিল করেছি যা সাগরের পানি ধৌত করতে পারবে না। তা আপনি ঘুমিয়ে, জাগ্রত সর্বাবস্থায় পড়তে পারবেন।’ (মুসলিম এর দীর্ঘ হাদীছের অংশ বিশেষ,জান্নাত অধ্যায়,হা/৭১৩৬)।

(ইমাম) নববী (রহ.) বলেনঃ ‘অর্থাৎ এই কুরআন বক্ষে সংরক্ষিত, ইহা বিলুপ্ত হবার নয়। বরং যুগ পরম্পরায় (অপরিবর্তিত অবস্থায়) অবশিষ্ট থাকবে। (শারহু মুসলিম ১৯৫/১৭,জান্নাত অধ্যায়,৭১৭৬ নং হাদীছের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।

এই কুরআন সমস্ত মানুষের উপর মুখস্ত করা সহজঃ

মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ (১৭)[ القمر ]

‘আর আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করে দিয়েছি, সুতরাং আছে কি কেউ উপদেশ গ্রহণকারী? (সূরা আল্ ক্বামারঃ১৭)

কুরতুবী আয়াতটির তাফসীরে বলেনঃ

অর্থাৎঃ আমি এই কুরআনকে মুখস্থ করার জন্য সহজ করে দিয়েছি, এবং যে তা মুখস্থ করতে চায় তাকে সহযোগিতা করেছি। সুতরাং আছে কি কেহ, যে এটা মুখস্থ করতে চায়? তাকে সে বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে? (তাফসীরুল কুরতুবী ৮৭/১৭)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন