hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৩-এটা শর্ত নয় যে দাঈর কথা মানুষ মেনে নেবে
মহান আল্লাহ্ বলেন:

( وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلاغُ الْمُبِينُ )[ النور :৫৪ ،العنكبوت :১৮]

‘রাসূলের উপর স্পষ্টভাবে পৌঁছানো ছাড়া আর কোন দায়িত্ব নেই।’ (সূরা আল্ আনকাবূতঃ১৮)

একজন দাওয়াত-কর্মীর কর্তব্য হল, সে নিজ দাওয়াতী কর্মে নিয়োজিত থাকবে। যদিও তার কথা কেউ না মানে, না শুনে। কারণ, মূল উদ্দেশ্য হল প্রকাশ্যভাবে পৌঁছিয়ে দেওয়া। দাওয়াতকৃত ব্যক্তিদের সাড়া দেওয়া দাঈর জন্য আবশ্যক নয়। অতএব তার উচিত নিজ ওয়াজিব দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে বিরক্তি বোধ, ক্লান্তি, অবসাদ কিছু্ই যেন তাকে না পায়। নিজ দাওয়াতী কাজ নিয়মিত আদায় করা অন্যান্য ইবাদতগুলি নিয়মিত আদায় করার মত। ইহাই আল্লাহর নবী ও রাসূলগনের আদর্শ।

যেমন নূহ আলাইহিস্ সালাম নিজ সম্প্রদায়ের লোকদেরকে নিকট সাড়ে নয়শ’ বছর পর্যন্ত দাওয়াত দিতে থেকেছেন অথচ তাঁর আহবানে অল্প কিছু লোকই ঈমান এনেছিল। বরং কোন কোন নবী যুগের পর যুগ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদেরকে দাওয়াত দিতে থেকেছেন এরপরও তাঁদের দাওয়াতে একজনও ঈমান আনেনি। ইমাম নববী (রহ.) ছহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যায় বলেনঃ শরীয়ত বলবৎ হয়েছে এরূপ ব্যক্তি থেকে ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায় থেকে নিষেধ করার দায়িত্ব রহিত হবে না। এই ধারনা করা যাবে না যে তার এই আদেশ নিষেধ কোন উপকারে আসবে না। বরং এরপরও আদেশ নিষেধ করা তার জন্য ওয়াজিব। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

( وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ )[ الذاريات :৫৫]

‘আপনি উপদেশ দিন, কারণ ওয়ায-উপদেশ মুমিনদের উপকার দেয়। ’ ( সূরা আয্ যারিয়াত: ৫৫)। কারণ তার উপর যে দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে তাহল এই যে, সে তার দাওয়াতী কাজ বিরতিহীনভাবে চালিয়ে যাবে। আদেশ ও নিষেধ কবুল করানো তার দায়িত্ব নয়। (ছহীহ মুসলিম ইমাম নববীর ব্যাখ্যাসহ)।

মহান আল্লাহ বলেনঃ

( وَإِذْ قَالَتْ أُمَّةٌ مِنْهُمْ لِمَ تَعِظُونَ قَوْماً اللَّهُ مُهْلِكُهُمْ أَوْ مُعَذِّبُهُمْ عَذَاباً شَدِيداً قَالُوا مَعْذِرَةً إِلَى رَبِّكُمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ )[ الأعراف :১৬৪]

তাদের মধ্য থেকে কিছু লোক বলল, কেন তোমরা এমন লোকদেরকে উপদেশ দিচ্ছ, যাদেরকে আল্লাহ্ ধ্বংস করবেন বা কঠিন শাস্তি দেবেন? তারা জবাবে বলল, এটা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট দায়মুক্তি স্বরূপ। আর হতে পারে তারা আল্লাহকে ভয় করবে। (সূরা আল্ আরাফঃ১৬৪)।

দাওয়াতী কর্ম চালিয়ে যাওয়ার পিছনে ইহাই হল মূল কারণ, যদিও কোন প্রতিফল দেখা না যায়। কারণ অন্তরসমূহ তো রহমান-দয়াময় আল্লাহর দুটি আঙ্গুলের মধ্যে রয়েছে। তিনি যেভাবে চান তা পরিবর্তন করেন। সুতরাং আজ যে দাওয়াতে প্রভাবিত হয়নি, হতে পারে আগামীকাল সে দাওয়াতে প্রভাবিত হবে। এই তো সেই খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ, আবু সুফয়ান ইবনু হারব এবং হিন্দাহ বিনতে ওতবাহ যাঁরা রাসূল(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলো, কিন্তু পরবর্তীতে তারাই তাঁর ধর্মের পথে দাওয়াতদানকারী বনে গিয়ে ছিলো। যদি দাওয়াতী কাজ তাদের থেকে মওকূফ রাখা হত আর তাদের কে পূর্ব পৌঁছনো দাওয়াতের কারণে আর দাওয়াত না দেওয়া হত তাহলে তাদের শেষ পরিণতি বড্ড খারাপ হত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন