hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৭৪
কুরআনের মাধ্যমে সুন্নাত কুরআনের সাথে সুন্নাতের নুছূছ তথা বাণীসমূহ তিন ভাগে বিভক্তঃ
১-এমন নছ্ বা হাদীছ যা কুরআনের বিধি-বিধানকে হুবহু সমর্থনকারী এবং তার অনুকুল সংক্ষিপ্ত, বিস্তারিত উভয় দিক থেকেই। এর উদাহরণ হল যেমনঃ ঐ সকল হাদীছ ছালাত, যাকাত, হজ্জ, ছওম প্রভৃতি ওয়াজিব হওয়ার কথা বুঝায় কোন প্রকার শর্ত বা রুকন প্রভৃতির আলোচনা ছাড়া। এ সকল হাদীছ মূলত ঐসকল আয়াতের আনুকুল্যতা প্রদর্শনকারী যেগুলি উক্ত ইবাদত ওয়াজিব হওয়া মর্মে এসেছে।

যেমন মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

وَأَقِيمُوا الصَّلاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ [ البقرة :৪৩]

আর তোমরা ছালাত ক্বায়েম কর এবং যাকাত প্রদান কর। (আল্ বাক্বারাহ্ঃ৪৩)

নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

بُنِيَ الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ : شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ ..[ البخاري -৫২৩]

ইসলাম পঁচটি বিষয়ের উপর ভিত্তিশীলঃ এ মর্মে সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোনই উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। ছালাত ক্বায়েম করা, যাকাত প্রদান করা... (বুখারী, হা/৫২৩, মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, হা/১৬)।

মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ [ النساء :২৯]

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের মধ্যে পরষ্পরে বাতিলভাবে সম্পদ ভক্ষণ কর না। (আন্ নিসাঃ২৯) নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

لاَ يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِطِيْبِ نَفْسٍ مِنْهُ [ صححه الألباني-رحمه الله-في صحيح الجامع ২৭৮০ ، والإرواء ১৪৫৯]

কোন মুসলিম ব্যক্তির মাল অপরের জন্য হালাল নয় যে যাবৎ সে সন্তুষ্ট চিত্তে না দেয়। (সুনানুল বায়হাক্বী ৬/১০০, হা/১১৩২৫, মুসনাদে আবু ইয়ালা ৩/১৪০, হা/১৫৭০, বায়হাক্বীর ‘মারিফাতুস্ সুনানি ওয়াল্ আছার, ১৩/৩৮০, হা/৫২৫৫)

২-এমন সুন্নাত বা হাদীছ যা কুরআনের বিধি-বিধান ব্যাখ্যাকারীঃ যেমন-

(ক)সাধারণ বিষয়কে শর্তযুক্ত করণঃ যেমন-মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا جَزَاءً بِمَا كَسَبَا [ المائدة :৩৮]

আর পুরুষ চোর ও মেয়ে চোর উভয়েরই হাতকে তোমরা কেটে দাও তাদের কৃত উপার্জনের বিনিময় স্বরূপ। (আল্ মায়েদাহ্ঃ৩৮)

সুন্নাত এসে এই হাত কর্তনকে (ডান হাতের) কব্জি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। [অনুরূপভাবে চুরির মালকে এক চতুর্থ দীনারের সাথে খাছ করে দিয়েছে। দ্রঃ মুত্তাফাকুন আলাইহ্ঃ বুখারী,হা/৬৭৮৯, মুসলিম, হা/৪৪৯২, অর্থাৎ চুরিকৃত সম্পদ এই পরিমাণ হলে হাত কাটা হবে, নতুবা নয় (অনুবাদক)।]

(খ) অথবা সংক্ষিপ্ত বিষয়ের বিশদ ব্যাখ্যা স্বরূপ হবেঃ যেমন আল্লাহ ছালাতের নির্দেশ করেছেন এবং সুন্নাত তা আদায় করার পদ্ধতির বিশদ ব্যাখ্যা নিয়ে এসেছে।

(গ) অথবা কোন সাধারণ ও ব্যাপক বিষয়কে নির্দিষ্ট করণঃ যেমন মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ [ النساء :১১]

আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানাদির ব্যাপারে নির্দেশ করছেন এই মর্মে যে ছেলে সন্তানের জন্য মেয়ে সন্তানের দ্বিগুণ অংশ হবে। (আন্ নিসাঃ১১)

কুরআনের এই শব্দ সাধারণ ও ব্যাপক যা সকল সন্তান-সন্ততিকে শামিল করে। কিন্তু সুন্নাত এসে এই বিধানকে হত্যাকারী নয় এমন সন্তানের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।

কারণ নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

لاَ يَرِثُ الْقَاتِلُ [ صححه الألباني في صحيح ابن ماجة ২৬৯৫ ، وفي إرواء الغليل ১৬৭১]

‘হত্যাকারী ওয়ারিছ-উত্তারাধিকারী হবে না।’ অর্থাৎ যে হত্যা করে সে যদি নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী হয় তাহলে সে উত্তরাধিকার পাবে না। (হাদীছটিকে আলবানী ছহীহ ইবনু মাজায়, হা/২৬৯৫ এবং ইরওয়াল গালীল কিতাবে, হা/ ১৬৭১ ছহীহ্ বলেছেন)

৩-এমন সুন্নাহ যা অতিরিক্ত বিধি-বিধান নিয়ে এসেছে যার সম্পর্কে কুরআন নীরবতা পালন করেছে। যেমন ‘কোন মহিলাকে তার ফুফু বা খালার সাথে বিয়ে করা (অর্থাৎ ফুফু-ভাতিজি বা খালা-ভাগ্নিকে এক সাথে বিবাহ বন্ধনে রাখা) মর্মে নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ কুরআন এ সম্পর্কে নীরব থেকেছে। (দ্রঃবুখারী, হা/৪৮২০, মুসলিম, হা/১৪০৮)

অনুরূপভাবে স্বর্ণ ও রেশম পুরুষের হারাম করণের বিষয়টি সুন্নাত-হাদীছ দ্বারাই প্রমাণিত। যা কুরআনে বর্ণিত হারামের উপর বর্ধিত বিধান বলে গণ্য)

এগুলি হল কুরআন কারীমের সাথে সুন্নাহর সম্পর্ক। যে সমস্ত বিধি-বিধান এই সুন্নাত দ্বারা স্বতন্ত্রভাবে প্রমাণিত -এসব ক্ষেত্রেও এই সুন্নাহ পরিত্যাগ করা যাবে না বা শিথিলতা প্রদর্শন করা যাবে না। কারণ তার অর্থই হল, এই দ্বীনে ইসলামকে ধ্বংস করা, এবং শরী‘আত প্রবর্তনের এমন দ্বিতীয় উৎসকে অকার্যকর করা যে উৎস দলীলাদি দ্বারা সুপ্রমাণিত এবং যার উপর রয়েছে ইজমায়ে উম্মত তথা এই মুসলিম উম্মতের ঐকমত্য। প্রয়োজনও এটাকে স্বীকার করেছে।

ইমারান বিন হুছাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি জনৈক ব্যক্তিকে বলেনঃ

‘নিশ্চয় তুমি একজন বেকুফ-নির্বোধ ব্যক্তি। তুমি কি আল্লাহর কিতাবে চার রাক‘আত যোহর পেয়েছ যাতে ক্বিরাআত জোরে করা হবে না? এরপর এজাতীয় সমস্ত বিষয়গুলি একটা একটা করে গণনা করতঃ তার সামনে তুলে ধরেন আর বলেনঃ এগুলো কি তুমি আল্লাহর কিতাবে ব্যাখ্যা সহকারে পেয়েছ? নিশ্চয় আল্লাহর কিতাব এগুলি অস্পষ্ট রেখেছে আর সুন্নাত তার বিশদ ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। (শাত্বেবী প্রণীত ‘আল্ মুওয়াফাক্বাত’ এবং ইবনু আব্দিল বার প্রণীত ‘জামেঊ বায়ানিল ইলমি ওয়া ফাযলিহী’ প্রভৃতি)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন