hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৭৭
হাদীস শাস্ত্রের কিছু পরিভাষাঃ
১-মুতাওয়াতির হাদীছঃ

وهو ما نقله إلينا جماعة كثيرون تحيل العادة تواطؤهم على الكذب و توافقهم عليه، عن جماعة كذلك، ويكون إخبارهم عن شيء محسوس من مشاهد أو مسموع، كأن يقول : رأيت رسول الله صلى الله عليه يفعل كذا، أو سمعت رسول الله-صلى الله عليه وسلم-يقول كذا ... الخ .

‘মুতাওয়াতির’ ঐ হাদীছকে বলে যা আমাদের নিকট উদ্ধৃত করেছে এমন একটি জামাআতের মাধ্যমে যাদের মিথ্যা বলার উপর ঐক্যমত অসম্ভব। এ রকম জামা‘আত অনুরূপ আরেকটি জামা‘আত থেকে হাদীছটিকে বর্ণনা করেছে। এবং তাদের পরিবেশিত তথ্যটি অনুভব করা যায় এ রকম বিষয় হতে হবে যেমন প্রত্যক্ষ করা বা শোনা বিষয়। উদাহরণ, বর্ণনাকারী বলবে, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে এরূপ করতে দেখেছি..। অথবা আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছি..।

মুতাওয়াতির হাদীছ দুই ভাগে বিভক্তঃ

(ক) মুতাওয়াতির লাফযী তথা শাব্দিকভাবে মুতাওয়াতিরঃ

আর তা হল এমন হাদীছ যার শব্দ ও অর্থ উভয়টি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে মুতাওয়াতিরভাবে (সন্দেহাতীত সূত্রে) বর্ণিত। যেমন এই হাদীছটি-

مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا ( فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّار ) [ البخاري، وهو من الأحاديث المتواترة ].

যে ব্যক্তি আমার উপর এমন কথা আরোপ করবে যা আমি বলিনি তাহলে সে যেন জাহান্নামে তার বসার স্থান নির্ধারণ করে নেয়। (মুত্তাফাকুন আলাইহিঃ বুখারী, জানাযা অধ্যায়, হা/১২০৯, আদব অধ্যায়, হা/৫৭২৯, নবীদের হাদীছ অধ্যায়, হা/৩২০২, ও মুসলিম-ভূমিকা, হা/৪,৫ হাদীছটি মুতাওয়াতের সূত্রে বর্ণিত। দ্রঃ ছহীহুল জামে’হা/৬৫১৯)।

(খ) মুতাওয়াতির মানাবী তথা অর্থগতভাবে মুতাওয়াতিরঃ

এই প্রকার হল, এমন হাদীস, যার শব্দ নয় বরং অর্থটা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে মুতাওয়াতিরভাবে (সন্দেহাতীত সূত্রে) প্রমাণিত। যেমনঃ ‘হাওয’ ‘শাফাআত’ সংক্রান্ত হাদীছসমূহ। (এগুলি হাদীছ অর্থগতভাবে মুতাওয়াতির, শব্দগতভাবে মুতাওয়াতির নয়)

এই প্রকার হাদীছ সন্দেহাতীতভাবে সুসাব্যস্ত, এটা সচক্ষে প্রত্যক্ষ করার মতই। এর উপর আমল করা ওয়াজিব [তাওয়াতুর ত্ববক্বী অর্থাৎ প্রত্যেক শতাব্দীর একটি বড় জামা‘আত থেকে আরেকটি বড় জামা‘আত বর্ণনা করবে। যেমন ছালাতের রাক‘আত সমূহ প্রভৃতি (আল্ খোযায়র)।]

২-ছহীহ হাদীছঃ

( وهو : ما اتصل سنده نقل العدل الضابط عن مثله إلى منتهاه ولا يكون شاذاً ولا معللاً بعلة قادحة )

ছহীহ হাদীছ ঐ হাদীছকে বলে, যার সনদ শুরূ থেকে শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্নভাবে ন্যায়পরায়ণ, স্মৃতি শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা বর্ণিত। এবং সেটি অন্য ছহীহ হাদীছের বিরোধী হবে না এবং কোন দোষযুক্তও হবে না।

৩-ছহীহ লেগায়রিহীঃ তথা অপরের সহযোগিতায় ছহীহঃ

এটি হল মূলত ‘হাসান লেযাতিহী’ হাদীছ; যখন তার সূত্র একাধিক হবে।

কেউ কেউ বলেছেনঃ ছহীহ লিগায়রিহী ঐ হাদীছকে বলে যার শর্তাবলী ছহীহ লেযাতিহী’ এর শর্তাবলী থেকে হালকা হয়, কিন্তু সুত্রসমূহের আধিক্যের কারণে এই ঘাটতিটুকু পূর্ণ হয়ে যায়।

৪-জায়্যেদ হাদীছঃ

ঐ হাদীছকে বলে যে হাদীছ হাসান লেযাতিহী’ হাদীছ এর উপর উন্নীত হয়েছে তবে তার ছহীহ হাদীছের মর্যাদায় পৌঁছার বিষয়টি নিশ্চিত নয়, সন্দেহযুক্ত। কারণ তার গুণটি ‘ছহীহ’র গুণ থেকে তুলনামূলক নিম্ন মানের।

৫-হাসান লেযাতিহী হাদীছঃ

( هو الحديث الذي اتصل سنده بنقل عدل خف ضبطه غير شاذ ولا معلل )

‘হাসান লেযাতিহী তথা নিজ গুণে হাসান ঐ হাদীছকে বলে যার সনদ অবিচ্ছিন্নভাবে ন্যায়পরায়ণ, ,হালকা স্মৃতি শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তির দ্বারা বর্ণিত। এবং সেটি অন্য ছহীহ হাদীছের বিরোধী হবে না এবং কোন দোষযুক্তও হবে না।’

জমহূর ওলামায়ে দ্বীনের নিকট এই প্রকার হাদীছও ছহীহ হাদীছের মত দলীল হিসাবে গ্রহণ যোগ্য।

৬-হাসান লেগায়রিহীঃ অন্য কিছুর সহযোগিতায় হাসান হাদীছঃ

( هو : الخبر المتوقف عن قبوله، إذا قامت قرينة ترجح جانب قبول ما يتوقف فيه )

অর্থঃ ‘হাসান লেগায়রিহী’ হল এমন খবর যা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা হয়েছে, যদি কোন আলামত পাওয়া যায় যা তবে তা গ্রহণ করা হয়।

উক্ত হাদীছের সংজ্ঞায় আরো বলা হয়েছেঃ

( هو الضعيف : إذا تعددت طرقه وليس في رواته من يتهم بكذب ولا فسق )

সেটি মূলতঃ যঈফ হাদীছই, যখন তার সূত্রগুলি একাধিক হয় এবং তার রাবীদের মাঝে এমন কোন ব্যক্তি থাকবে না যে মিথ্যা বলার অভিযোগে বা ফাসেক্বী কর্ম করার অভিযোগে অভিযুক্ত।

৭-যঈফ হাদীছঃ

( هو : ما لم تجتمع فيه صفات الصحيح، ولا صفات الحسن ).

যঈফ হাদীছ ঐ হাদীছকে বলে যার মাঝে না ছহীহ হাদীছের গুণাবলীর সমাবেশ ঘটেছে, না হাসান হাদীছের গুণাবলী পাওয়া যায়।

৮-শায হাদীছঃ

( هو : ما روى الثقة مخالفاً لرواية الناس،

‘শায’ হাদীছ হল সেই হাদীছ যে হাদীছকে বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী- অন্য বর্ণনাকারীদের বর্ণনার বিপরীত বর্ণনা করেছেন।

৯-নির্ভরযোগ্য রাবীর ‘বর্ধিত হাদীছ’

( هو : ما زاد فيه بعض الثقات ألفاظاً بالحديث، عما رواه الثقات الآخرون لذلك الحديث، وهي مقبولة على القول الراجح ).

হাদীছের মধ্যে কোন কোন বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী শব্দ বৃদ্ধি করে বর্ণনা করেছেন। যা উক্ত হাদীছের অন্যান্য বিশ্বস্ত রাবীগণ করেননি। এরূপ অতিরিক্ত অংশ অধিকাংশের অভিমত অনুসারে গ্রহণযোগ্য।

১০-মাওকূফ হাদীছঃ

( هو ما روى عن الصحابة قولا لهم أو فعلاً أو تقريراً، متصلاً كان أو منقطعاً ).

‘মাওকূফ হাদীছ’ ঐ হাদীছকে বলে যা ছাহাবীদের থেকে বর্ণিত, তা তাদের ব্যক্তিগত বাণী হোক বা কর্ম হোক বা মৌন সমর্থন হোক। অনুরূপভাবে তা অবিচ্ছিন্ন সূত্রে বর্ণিত হোক বা বিচ্ছিন্ন সূত্রে বর্ণিত হোক। [ছাহাবীদের নীচের লোকদের ক্ষেত্রেও ‘মাওকূফ’ পরিভাষাটি ব্যবহার করা জায়েয আছে,তবে ঐসময় তা কার মাওকূফ হাদীছ তা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে (আল্ খোযায়র)(অর্থাৎঃ উদাহরণ স্বরূপ এভাবে বলে দিতে হবে যে এটি হাসান বাছরীর মওকূফ বর্ণনা,এটি সাঈদ বিন জুবাইর এর মাওকূফ বর্ণনা...ইত্যাদি ইত্যাদি/অনুবাদক)।]

১১-মাক্বতূ’

( وهو : ما نسب إلى التابعي أو من دونه من قول أو فعل وهو غير المنقطع ).

‘মাকতূ’ বলা হয় এমন হাদীছকে যা কোন তাবেঈ বা তারও নীচের লোকদের দিকে সম্পর্কিত করা হয়েছে, তা কথা হোক বা কাজ হোক। এটাকে কিন্তু ‘মুনক্বাতি’ বলা হবে না।

১২-হাদীছে কুদুসীঃ

( هو : ما نقل إلينا عن النبي -صلى الله عليه وسلم-مع إضافته إلى ربه-عز وجل -).

উহা সেই হাদীছ যা আমাদের নিকট উদ্ধৃত করা হয়েছে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এবং সেটি তাঁর মহান আল্লাহর কথা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। (অর্থাৎঃ নবীর সূত্রে বর্ণিত আল্লাহর বাণীকে হাদীছে কুদুসী )

১০-‘মাওযূ’ তথা জাল হাদীছঃ

( هو : المختلق المصنوع على رسول الله -صلى الله عليه وسلم -).

‘মাওযূ তথা জাল হাদীছ’ ঐ হাদীছকে বলা হয় যা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে তৈরী করা হয়েছে এবং মিথ্যা জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

এর সংজ্ঞায় আরো বলা হয়েছেঃ

( هو ما كان راويه كاذبا، أو متنه مخالفا للقواعد )

অর্থাৎঃ ‘মাওযূ’ তথা জাল হাদীছ ঐ হাদীছকে বলে যার বর্ণনাকারী-রাবী মিথ্যাবাদী হয় বা হাদীছটির বক্তব্য ইসলামী মৌলিক নীতিমালার বিরোধী হয়।

এরূপ হাদীছ জেনে বুঝে বর্ণনা করা হারাম তা যে অর্থেরই হাদীছটি হোকনা কেন। একমাত্র ঐ অবস্থায় এরূপ ‘মাওযূ’-জাল হাদীছ বর্ণনা করা বৈধ, যখন সঙ্গে সঙ্গে তার বানাওয়াট-জাল হওয়ার বিষয়টি বলে দেওয়া হবে।

১৪-হাদীছের কিতাবে লিখিতঃ

( ثا-ثنا-دثنا )

‘ছা-ছানা-দাছানা) এগুলি মূলতঃ ( حَدَّثَنَا )‘হাদ্দাছানা’ এর সংক্ষিপ্তরূপ যার অর্থ হল-আমাদেরকে হাদীছ বর্ণনা করে শুনিয়েছেন..।

১৫-অনুরূপভাবে ( ثني )(দাছানী) এটি মূলতঃ ( حّدَّثَنِيْ )‘হাদ্দাছানী’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ যার অর্থ হলঃ আমাকে হাদীছ বর্ণনা করে শুনিয়েছেন..।

১৬-দৃঢ়তার শব্দাবলীঃ

( قال، روى فلان، جاء، عن ) ‘ক্বালা’ (সে বলেছে) রওয়া ফুলানুন, (ওমুক বর্ণনা করেছে), জা-আ (এসেছে), আন্ (হতে)

১৭-রুগ্নকারী শব্দ তথা এমন পরিভাষা যা দ্বারা বর্ণনা যঈফ প্রমাণ করার প্রতি ইঙ্গিত বহন করেঃ

( قيل،يروى، روي عن فلان ) ‘ক্বীলা’ তথা বলা হয়েছে, কথিত আছে। ‘য়ুরওয়া’ তথা বর্ণনা করা হয়। ‘য়ুযকারু’ তথা উল্লেখ করা হয়। ‘রুভিয়া আন্ ফুলানিন’ তথা ওমুক থেকে বর্ণনা করা হয়েছে।

১৮-‘যাবত’ তথা দৃঢ়তা, নিশ্চয়তা প্রভৃতি। যার অর্থ হল সংরক্ষণে দৃঢ়তা-চরম সতর্কতা অবলম্বন।

এটি দুই প্রকারঃ

ক) ‘যবতু ছদ্র’ তথা স্মৃতিশক্তিতে সংরক্ষণ। খ) ‘যবতু কিতাব’ তথা লিখিত আকারে সংরক্ষণ।

১৯- ( أخرجه الستة : البخاري، مسلم، أبوداود، الترمذي، النسائي، ابن ماجة )এর অর্থ হল, ‘হাদীছটি ছয়জন বর্ণনা বা সংকলন করেছেন। ছয় বলতে ‘বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ্ প্রমুখ-কে বুঝায়।

২০-( أخرجه الخمسة : أصحاب السنن مع الإمام أحمد ) এর অর্থ হল, ‘হাদীছটি পাঁচ জন বর্ণনা (সংকলন) করেছেন। তাঁরা হলেনঃ সুনান চতুষ্টয়ের প্রণেতাগণ তথা আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ্ -ইমাম আহমাদ সহ।

২১-( أخرجه الأربعة : أي أصحاب السنن ) কথাটির অর্থ হল, ‘হাদীছটি চার জন বর্ণনা (সংকলন) করেছেন। তথা সুনান চতুষ্টয়ের প্রণেতগণ বর্ণনা (সংকলন) করেছে। এই পরিভাষায় বুখারী ও মুসলিম গণনায় বাদ থাকবেন।

২২-( أخرجه الثلاثة : أصحاب السنن ما عدا ابن ماجة ) কথাটির অর্থ হল, হাদীছটি তিন জন বর্ণনা (সংকলন) করেছেনঃ অর্থাৎ ইবনু মাজাহ ব্যতীত সুনান চতুষ্টয়ের বাকী গ্রন্থকারগণ বর্ণনা করেছেন।

২৩-( متفق عليه : اتفاق البخاري ومسلم على روايته من حديث صحابي واحد ) কথাটির অর্থ, একই ছাহাবী থেকে হাদীছ বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিমের ঐকমত্য হওয়া।

২৪-‘আল্ জামে’ এটি হল প্রত্যেক ঐ কিতাব যাতে গ্রন্থকার সমস্ত বিষয়ের হাদীস সংকলন করেন। যেমন আক্বাঈদ, ইবাদাত, বৈষয়িক লেনদেন, জীবনি প্রভৃতি। যেমন ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ্) প্রণীত ‘আল্ জামেউছ্ ছহীহ’ তথা ছহীহ্ বুখারী।

২৫-‘আস্ সুনান’

‘সুনান’ ঐ সমস্ত কিতাবকে বলে যা ফিক্বহী অধ্যায়ের উপর সুবিন্যস্ত। এবং তাতে আক্বীদাহ্ ও জীবনী সংক্রান্ত কিছুই পাওয়া যাবে না। যেমন সুনান আবুদাউদ।

২৬-আল্ মুস্তাদরাক’ ‘আল্ মুস্তাদরাক’ প্রত্যেক ঐ কিতাবকে বলে যার মধ্যে গ্রন্থকার ঐসমস্ত হাদীছ সংকলন করেছেন, যে গুলি অন্য কিতাবের শর্ত অনুযায়ী ছিল কিন্তু এর পরও সেগুলি উক্ত গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়নি। যেমন ইমাম হাকেম প্রণীত ‘আল্ মুস্তাদরাকু আলাছ্ ছহীহায়ন’।

২৭-‘আল্ মুছান্নাফাতঃ আল্ মুছান্নাফাত ঐ গ্রন্থকে বলে যা ফিক্বহী অধ্যায়ের উপর সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। তবে এই গ্রন্থ মারফূ হাদীছের সাথে ‘মাওকূফ’ ও ‘মাকতূ’ হাদীছকেও শামিল করে থাকে। এই পর্যায়ের সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থসমূহের অন্যতম হল ‘মুছান্নাফ আব্দুর রায্যাক’ ও ‘মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ্’।

২৮-আল্ মুস্তাখরাজাতঃ এর তাৎপর্য হল এই যে, কোন এক গ্রন্থকার হাদীছের যে কোন একটি কিতাবের দিকে এসে সে উক্ত কিতাবের হাদীছ গুলিকে নিজ সনদে উক্ত গ্রন্থের গ্রন্থকারের সূত্র ভিন্ন অন্য সূত্রে বর্ণনা করবেন। এভাবে তিনি উক্ত গ্রন্থকারের সাথে মিলিত হবেন তার ওস্তাদে অথবা তার উপরের ব্যক্তির ক্ষেত্রে। এই পর্যায়ে অন্যতম সুপ্রসিদ্ধ কিতাব হল ইসমাঈলী প্রণীত ‘আল্ মুস্তারাজু আলাল্ বুখারী’।

২৯-আল্ মুসনাদঃ

মুসনাদ হল হাদীসের ঐ কিতাবে যাতে তার গ্রন্থকার প্রত্যেক ছাহাবীর যাবতীয় বর্ণনা পৃথক পৃথকভাবে সংকলন করেছেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাদীছটি কি বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত তা লক্ষ্য করা হয় না। যেমন ইমাম আহমাদ এর মুসনাদ এবং আবু ইয়ালা এর মুসনাদ।

৩০-আল্ আত্বরাফঃ

‘আল্ আত্বরাফ’ ঐসমস্ত কিতাবকে বলে যার গ্রন্থাকারগণ হাদীছের এমন অংশ বিশেষ উল্লেখ করেন যা পুরো হাদীছের প্রতি ইঙ্গিত করে। এরপর তার সনদসমূহ উল্লেখ করেন যা হাদীছের মূল গ্রন্থাবলীতে সংকলিত হয়েছে। এই প্রকৃতির গ্রন্থাকারদের কেউ কেউ পূর্ণাঙ্গরূপে হাদীছের সনদ উল্লেখ করেন, আবার কেউ কেউ সনদের অংশ বিশেষ উল্লেখ করেন। এই পর্যায়ের অন্যতম সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ হল ইমাম মায্যী প্রণীত ‘তুহফাতুল্ আশরাফি বিমা’রিফাতিল আতরাফ’।

৩১-আল্ মা‘আজিম’

‘আল্ মা‘আজিম’ ঐ সকল গ্রন্থকে বলে যার মধ্যে হাদীছ সংকলন করা হয়েছে ওস্তাদদের সিরিয়াল অনুযায়ী এবং এই সিরিয়াল অধিকাংশ সময় আরবী অক্ষর অনুযায়ী করা হয়। যেমনঃ ত্বাবারানীর মা‘আজিম সমূহ যথাঃ

১-আল্ মু‘জামুল কাবীর। এটি ছাহাবীরে মুসনাদ অনুযায়ী আরবী অক্ষরের সিরিয়াল অনুসারে সাজানো হয়েছে।

২-আল্ মু‘জামুল আওসাত্ব ও আল্ মু’জামুছ্ ছগীর। যা ইমাম তাবারানীর ওস্তাদদের (আরবী অক্ষর ভিত্তিক) সিরিয়াল অনুযায়ী সাজানো হয়েছে।

৩২-আল্ আজযাঃ

‘আল্ আজযা’ হাদীসের ঐ কিতাবকে বলে যাতে হাদীছের রাবীদের মধ্যে যে কোন একজন রাবীর বর্ণনাকৃত সকল হাদীছ সংকলন করা হয়েছে। চাই সে রাবী ছাহাবীদের স্তরের হোক যেমনঃ আবু বকর এর হাদীছের ‘যুয্’ বা তাদের পরের স্তরের হোক যেমনঃ মালেক এর হাদীছের অংশ।

‘আজযা’এর সংজ্ঞায় ইহাও বলা হয়েছেঃ ‘আজযা’ ঐ সমস্ত গ্রন্থ যার গ্রন্থকার একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের যত কিছু বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলি খুঁজে খুঁজে সংকলন করেছেন। যেমন: ইমাম বুখারী রহ. প্রণীত ‘জুযউ রাফঈল ইয়াদাইন ফিছ্ ছালাত্’।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন