hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৭২
ইসলামী শরী‘আত প্রবর্তনে সুন্নাতের অবস্থান
নবীর সুন্নাত ইসলামী শরী‘আতের দ্বিতীয় উৎস হিসাবে পরিগণিত।

মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ [ الأحزاب :৩৪]

আর আল্লাহর আয়াত ও হিকমত (সুন্নাত) হিসাবে যা তোমাদের উপর তেলাওয়াত করা হয় তা তোমরা স্বরণ কর। (আল্ আহযাবঃ৩৪)

মহান আল্লাহ্ আরও বলেনঃ

وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ [ البقرة :১২৯]

‘আর তিনি তাদেরকে শিক্ষা দিবেন কিতাব এবং হিকমত (সুন্নাত)। (আল্ বাক্বারাহ্ঃ১২৯)

ওলামায়ে দ্বীন এবং মুহাক্কিকীনদের অধিকাংশ এই দিকে গিয়েছেন যে কুরআনে উল্লেখিত হিকমত কুরআন ব্যতীত অন্য কিছু উদ্দেশ্য হবে। এটিকে ওলামায়ে কেরাম সুন্নাত হিসাবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। ইমাম শাফেঈ রহ. বলেনঃ হিকমত হল রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত। এই কথাটিই ইয়াহয়া ইবনু আবী কাছীর ও ক্বাতাদাহ্ থেকে উদ্ধৃত হয়েছে। আর এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ আল্লাহ্ এই সুন্নাতকে কিতাবের উপর ‘আতফ’ সংযুক্ত করেছেন। আর এ সংযুক্তির দাবী হল, উভয়টি পৃথক হওয়া। অথচ এই পৃথক ও স্বতন্ত্র হিকমতটি সুন্নাত ব্যতীত অন্য কিছু হওয়াও বিশুদ্ধ নয়। এজন্যই মহান মহিয়ান আল্লাহ্ আমাদেরকে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

( مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ كَيْ لا يَكُونَ دُولَةً بَيْنَ الْأَغْنِيَاءِ مِنْكُمْ وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ ) [ الحشر :৭]

আল্লাহ্ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রাসূলকে যা দিয়েছেন, তা আল্লাহর, রাসূলের, তাঁর আত্মীয়-স্বজনের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্তদের এবং মুসাফিরদের জন্য। যাতে ধনৈশ্বর্য কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যেই পুঞ্জীভুত না হয়। রাসূল তোমাদেরকে যা দান করে তা গ্রহণ কর, এবং যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। (আল্ হাশরঃ৭)

মহান আল্লাহ নবীর প্রশংসা করে বলেনঃ

يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ [ الأعراف :১৫৭]

‘তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎ কর্মের, বারণ করেন অসৎ কর্ম থেকে, তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্ত্ত হালাল ঘোষণা করেন এবং হারাম ঘোষণা করেন অপবিত্র বস্ত্তসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল।’ (আল্ আরাফঃ১৫৭)

মহান মহিয়ান আল্লাহ্ নবীর আনুগত্য করার নির্দেশ করে বলেনঃ

وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ (১৩২)[ آل عمران ]

‘আর তোমরা আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য কর তবেই তোমরা রহমত প্রাপ্ত হবে।’ (আলে ইমরানঃ১৩২)

এজন্যই ছাহাবায়ে কেরাম নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট প্রত্যাবর্তন করতেন যাতে তিনি তাদেরকে কুরআনের বিধি-বিধান ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে শুনান। তিনি তাঁদের বিতর্কিত বিষয়ে ফায়ছালা, তাদের ঝগড়া মিামাংসা করতেন। আর তাঁরাও তাঁর আদেশ নিষেধের সীমা রেখা মেনে নেওয়া অবধারিত করে নিতেন, এবং তাঁর আমল, ইবাদত, মু‘আমালাত প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর অনুগত্য করতেন। একমাত্র কোন আমল নবীর সাথেই বিশেষায়িত হওয়া জানতে পারলে সে ক্ষেত্রে তাঁরা তাঁর আনুগত্য করতেন না। তাদের নবীর প্রতি আনুগত্য নিবেদন এমন পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়ে ছিল যে, তিনি যা করতেন ঠিক তাই তারা করতেন। আর তিনি যা পরিত্যাগ করতেন তাই তারা পরিত্যাগ করতেন। তারা তাঁর উক্ত কর্ম করার পিছনে কোন কারণ, অযুহাত বা হিকমত না জানা সত্ত্বেও এমনটি করতেন। ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ

( اتَّخَذَ رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فَاتَّخَذَ النَّاسُ خَوَاتِيمَ مِنْ ذَهَبٍ ثم نبذه النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ : إِنِّي لَنْ أَلْبَسَهُ أَبَدًا فَنَبَذَ النَّاسُ خَوَاتِيمَهُمْ ) [ رواه البخاري ].

রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি স্বণের্র আংটি গ্রহণ করলে লোকেরাও স্বর্ণের আংটি গ্রহণ করল। অতঃপর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আংটিটি ছুঁড়ে ফেললেন এবং বললেনঃ আমি আর কখনো এটি পরিধান করব না। এদেখে তারাও তাদের আংটি গুলি ছুঁড়ে ফেললেন। (বুখারী, হা/৭২৯৮)

তাঁরা নবীর আনুগত্য তাঁর তিরোধানের পরও আঁকড়ে ধরে থেকেছেন। কারণ যে সমস্ত দলীলাদি নবীর আনুগত্য ওয়াজিব প্রমাণ করেছে এগুলোর সবটুকই সাধারণ ও ব্যাপক। এগুলি নবীজির জীবদ্দশার সাথে মোটেও খাছ নয়। অনুরূপভাবে এই আনুগত্য অন্যান্যদের বাদ দিয়ে শুধু ছাহাবীদের জন্যই খাছ নয় বরং সকলের উপর এই আনুগত্য সমানভাবে প্রযোজ্য।

নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুআয (রাঃ) এর প্রশংসা করেছেন। তাকে ইয়েমেনে প্রেরণকালে তাকে প্রশ্ন করেছিলেনঃ তোমার নিকট বিচার আসলে কিভাবে ফায়ছালা করবে? তিনি বলেছিলেনঃ আমি আল্লাহর কিতাব দ্বারা ফায়ছালা করব। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ যদি তুমি আল্লাহর কিতাবে সে বিষয়টি না পাও।(তখন কি করবে)? তদুত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ তাহলে আমি আল্লাহর রাসূলের সুন্নাত দিয়ে ফায়ছালা করব। (আবুদাউদ, তিরমিযী) [হাদীছটিকে মুহাদ্দিছদের বড় একটি জামা‘আত যঈফ প্রমাণ করেছেন। তাদের অন্যতম হলেনঃআহমাদ, বুখারী, ইবনু হাযম, যাহাবী, ইবনু হাজার আসক্বালানী, ইবনুত্ তাহির এবং এযুগের অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুহাদ্দিছ আল্লামাহ্ নাছিরুদ্দীন আলবানী রহ.। হাফেয ইবনু কাছীর এটিকে পূর্বে হাসান বলেছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তার এই রায় পরিবর্তন করে তিনিও এটিকে যঈফ প্রমাণ করেছেন। অতএব,এরূপ যঈফ হাদীছ কোনক্রমেই দলীলযোগ্য হতে পার না। এখানে এরূপ যঈফ হাদীছ লেখকের উল্লেখ করা ঠিক হয়নি (গাফারাল্লাহু লানা ওয়া লাহু)-অনুবাদ।]

নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

( تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّتِيْ )

[ رواه الحاكم ১/১৭২ برقم ৩১৯ والبيهقي ১০/১১৪ برقم ২০৮৩৪ ( ومالك برقم ১৫৯৪)]

‘আমি তোমাদের মাঝে দুটি বস্ত্ত ছেড়ে যাচ্ছি যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এই দুটিকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে কক্ষণই পথভ্রষ্ট হবে না। বস্ত্ত দুটি হলঃ আল্লাহর কিতাব-তথা আল্ কুরআন এবং আমার সুন্নাত তথা আল্ হাদীছ। (হাকেম, ১/১৭২, হা/৩১৯, বায়হাক্বী ১০/১১৪,হা/২০৮৩, মালেক,হা/১৫৯৪,হাদীছ বিশুদ্ধ। দ্রঃ আলবানীর ‘ছহীহুল জামে’হা/২৯৩৭,৩২৩২,)।

উমার (রাঃ) বিচারক শুরায়্হ্ কে দিক নির্দেশনাস্বরূপ বলেছিলেনঃ

যখন তোমার নিকট কোন কিছু উপস্থিত হবে তখন আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী তার ফায়ছালা দেবে। আর যদি তোমার নিকট এমন বস্ত্ত উপস্থিত হয় যা আল্লাহর কিতাবে নেই, তাহলে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে বিষয়ে যা সংবিধিবদ্ধ করেছেন তা দ্বারা ফায়ছালা করবে...।’

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন