hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৫৬
(আসমা ও ছিফাত বিষয়ে) তাফভীয (সোপর্দ করণ) এর মাসআলাঃ
আমরা অনেক সময় শুনে থাকি যে কোন কোন সালাফে ছালেহীন (এই আস্মা ও ছিফাতঃ আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে) বলেন যে, এগুলিকে তোমরা রেখে দাও যেভাবে এসেছে ঠিক সেভাবেই; অথচ তাদের কথার প্রতিবাদ করা হয় না। পক্ষান্তরে আমরা খালাফ তথা পরবর্তীদের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তিকেও একথা বলতে শুনি যে, এগুলিকে যেভাবে এসেছে ঠিক সেভাবেই রেখে দাও’ তখন তাদের সমালোচনা ও প্রতিবাদ করা হয়। তাহলে সালাফদের ও খালাফদের ‘তাফভীয’ এর ক্ষেত্রে পার্থ্যক্যটা কোথায়?

এই প্রশ্নের উত্তর হল এই যে,‘তাফ্ভীয’ মুলতঃ দুই প্রকারঃ

১-অর্থগতভাবে তাফভীযঃ

যেমনঃ আপনার এই কথা বলা যে, ‘আল্লাহর আগমন’ এর উদ্দেশ্য আমি জানি না। আমি জানি না, ( يد ) ‘ইয়াদ’ দ্বারা কি উদ্দেশ্য? তা দ্বারা কি শক্তি বা নেআমত উদ্দেশ্য নাকি সত্যিকার হাত উদ্দেশ্য। অতএব আমি বিষয়গুলি আল্লাহর দিকেই সোপর্দ করলাম। এটাই হল খালাফদের প্রকৃত তাফভীয। এটাই হল কোন কোন পথভ্রষ্ট, বিকৃত দলের মাযহাব। এই প্রকার তাফভীযকেই সালাফে ছালেহীন হারাম বলেছেন এবং তা থেকে সতর্ক করেছেন। কারণ আল্লাহর ছিফাত-গুণাবলী এবং তার অন্তর্নিহিত আল্লাহর শানে প্রযোজ্য অর্থগুলো স্বীকার করে নেয়া হল ‘হক’। এ ক্ষেত্রে সেগুলিকে তার প্রকাশ্য অর্থ থেকে ফিরানো যাবে না, তার বিকৃত ব্যাখ্যাও দেওয়া যাবে না। তাশবীহ ও তামছীল থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন আহ্লে সুন্নাত ওয়াল্ জামাআত এর পক্ষ থেকে আল্লাহর জন্য হাত সাব্যস্ত করণ যার অর্থ সর্বজন বিদিত। তবে আল্লাহর শানে তা যেভাবে প্রযোজ্য তার ধরন সেভাবেই। কোন প্রকার তুলনা করা যাবে না, উদাহরণ পেশ করা যাবে না। কারণ মহান আল্লাহ, ‘তাঁর মত কোন কিছুই নেই, আর তিনি হলেন সর্ব শ্রোতা ও সর্ব দ্রোষ্টা।’ (আশ্ শুরাঃ১১)।

২-‘তাফভীযুল কায়ফ’ তথা আল্লাহর ছিফাত গুণের কায়ফিয়ত-ধরন বিষয়টি আল্লাহর দিকে সোপর্দ করা। এর তাৎপর্য হল ইহা যে, আল্লাহর যে ছিফাত যে অর্থ দাবী করে তা-ই আপনি স্বীকার করবেন; তবে তার ধরন-পদ্ধতির বিষয়টি আল্লাহর দিকে সোপর্দ করে দেবেন। বলবেনঃ আল্লাহর হাত রয়েছে। এবং এহাত আসলেই ‘হাত’ তবে যেভাবে মহান আল্লাহর শানে প্রযোজ্য তা ঠিক সেভাবেই। অবশ্য এই হাতের কায়ফিয়ত বা ধরন কিরূপ তা আপনি জানেন না। এটাই হল প্রকৃত অর্থে ‘তাফভীয’ যা সালাফদের থেকে পরিচিত। যা তারা তাদের এই কথা দ্বারা বুঝিয়ে থাকেনঃ

‘এই সব গুণাবলী যেভাবে এসেছে ঠিক সেভাবেই এগুলিকে রেখে দাও।’ অতএব কেউ যেন এই পরিভাষা শ্রবণ করার সময় ধোঁকাগ্রস্ত ও প্রতারিত না হয়। এবং এরূপ ধারণা করে না বসে যে, সালাফে সালেহীন তাফভীয বিষয়টিকে ব্যাপকভাবে ওয়াজিব করে থাকেন। অথচ তাঁরা কেবল কায়ফিয়ত-ধরন বিষয়টিই ‘তাফভীয’ করে থাকেন। তারা অর্থগত তাফভীয হারাম গণ্য করে থাকেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন