hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৮৩
কতিপয় ফিক্বহী নীতিমালাঃ
প্রথমতঃ الأمور بمقاصدها

‘আল উমূরু বিমাক্বাছিদিহা’ তথা ‘সকল বস্ত্ত তার নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল।’

এই ক্বায়দার দলীল হল-নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণীঃ

إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ )[ أخرجه الستة ..]

‘সমস্ত আমলই নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল’

প্রসিদ্ধ ছয়টি হাদীছ গ্রন্থের গ্রন্থকারগণ এটিকে সংকলন করেছেন। দ্রঃ বুখারী, অহির সূচনা অধ্যায়, হা/১, মুসলিম, ইমারত-নেতৃত্ব অধ্যায়, হা/১৯০৭, আবুদাউদ, ত্বালাক অধ্যায়, হা/২২০১, তিরমিযী, জিহাদের ফযীলত অধ্যায়, হা/১৬৪৭, নাসায়ী, পবিত্রতা অধ্যায়, হা/৭৫, ইবনু মাজাহ্, যুহ্দ-দুনিয়া বিমূখতা অধ্যায়, হা/৪২২৭)।

উদাহরণঃ

যে ব্যক্তি সাধারণভাবে হালাল এমন কোন কাজ করল এই উদ্দেশ্যে যে, সে ইহা দ্বারা আল্লাহর আনুগত্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা নেবে-তাহলে এমন ব্যক্তি সৎ নিয়্যতের কারণে নেকী পাবে।

যে ব্যক্তি অন্য কাউকে অন্যায়ভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে তার বিধান একটা আর ভুলবশতঃতা যদি করে থাকে অর্থাৎ ভুলক্রমে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার দ্বারা মানুষ মারা যায় তার বিধান আরেকটা হবে। কারণ মূল ভিত্তিই হল নিয়্যত।

দ্বিতীয়তঃ‘আল ইয়াক্বীনু লা ইয়াযূলু বিশ্ শাক্কি’-দৃঢ়তা সন্দেহ দ্বারা দূরীভুত হয় না।

*এই ক্বায়েদার দলীলাদিঃ

( وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلَّا ظَنّاً إِنَّ الظَّنَّ لا يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئاً )[ يونس :৩৬]

‘তাদের অধিকাংশই ধারণার অনুসরণ করছে, আর ধারণা হক বিষয়ে মোটেই ফলপ্রসূ নয়। (ইউনুসঃ৩৬)

মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদীছে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

( إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِى صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا أَمْ أَرْبَعًا فَلْيَطْرَحِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ )[ رواه مسلم، كتاب المساجد، باب السهو في الصلاة، والسجود له، حديث رقم (৭২১)].

‘যদি তোমাদের কেউ নিজ ছালাতে এমনভাবে সন্দেহে পতিত হয় যে সে জানে না কত রাক‘আত ছালাত আদায় করেছে, তিন না চার? তাহলে সে যেন সন্দেহ ফেলে দিয়ে যাতে তার দৃঢ় বিশ্বাস আছে তারই উপর (নিজ ছালাতের) ভিত্তি করে। (মুসলিম,মসজিদ সমূহ অধ্যায়, হা/৫৭১)

উদাহরণঃ

১-যদি কোন ব্যক্তির যিম্মায় ঋণ থাকে অতঃপর সে সন্দেহ করে যে সে ঋণ পরিশোধ করেছে কি না, তাহলে সে ইয়াক্বীন তথা দৃঢ় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করবে। আর তাহল ঋণ তার যিম্মায় অবশিষ্ট থাকা এবং তা আদায় না করা। অতএব, তাকে এমতাবস্থায় ঋণ অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। তবে ঋণ দাতা যদি প্রাপ্তি স্বীকার করে তাহলে আর পরিশোধ করা লাগবে না।

২-যদি কোন ব্যক্তি এই মর্মে দৃঢ় বিশ্বাসী হয় যে সে উযূ করেছে, এর পর সন্দেহে পড়ে তার উযূ ভেঙ্গে গেছে কি যায়নি? তাহলে যে বিষয়ে তার দৃঢ়তা রয়েছে তারই উপর ভিত্তি করবে; আর তাহল পবিত্রতার অবশিষ্টতা। অতএব সন্দেহ তথা উযূ ভঙ্গের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করবে। অনুরূভাবে এর বিপরীত বিষয়টিও (তথা কারও উযূ না করার কথা নিশ্চিতভাবে মনে থাকার পর যদি তার সন্দেহ হয় সে উযূ করেছে কি না? তাহলে অবশ্যই সে সন্দেহ ফেলে দিয়ে নিঃসন্দেহ বিষয়ের উপর ভিত্তি করবে; আর তা হল নিজেকে উযূহীন মনে করা। অতএব, অবশ্যই সে উযূ করে ছালাত আদায় করবে।

এই ক্বায়দার আলোকে শাখাগত ক্বায়দা এসে যায়, তাহলঃ

( الأصل بقاء ما كان على ما كان )

অর্থঃ ‘আসল হল, যেটা যে অবস্থায় ছিল সেটা সে অবস্থাতেই থাকবে’ এই ক্বায়েদা মূলত আরেকটি ক্বায়দার প্রতিধ্বনি, তাহলঃ

‘যে বিষয়টি অতীত যামানা থেকে সাব্যস্ত সেটা অবশিষ্ট আছে বলেই ফায়ছালা দিতে হবে যেযাবৎ এর বিপরীত দলীল না পাওয়া যায়। এই ক্বায়দার অর্থ হলঃ যে বিষয়টি নির্দিষ্ট কোন অবস্থায় অতীত যামানায় সাব্যস্ত হয়েছে, তা ইতিবাচক বিষয় হোক বা নেতিবাচক হোক- তাহলে সেটি তার পূর্বের অবস্থাতেই বাকী থাকবে, পরিবর্তিত হবে না যেযাবৎ পরিবর্তনকারী দলীল না পাওয়া যাবে।

মূল ক্বায়দা তথা ‘আল ইয়াক্বীনু লা ইয়াযূলু বিশ্ শাক্কি’-দৃঢ়তা সন্দেহ দ্বারা দূরীভুত হয় না-এর দলীল গুলিই হল এই আলোচ্য ক্বায়দার দলীল।

উদাহরণঃ

যে ব্যক্তি নিখোঁজ, যার সম্পর্কে কোন খবর পাওয়া যায় না, সে মরেছে কি জীবিত রয়েছে তাও জানা যায় না। এমতাবস্থায় সে জীবিত আছে বলেই ফায়ছালা দিতে হবে। কারণ এ ক্ষেত্রে মূল হলঃ জীবিত অবস্থায় থাকা।

তৃতীয়তঃ‘আল্ মাশাক্কাতু তাজলিবুত্ তায়সীর’-কঠিনতা সহজতা টেনে আনে।’

এই ক্বায়দার দলীলাদিঃ

মহান আল্লাহর বাণীঃ

يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ [ البقرة :১৮৫]

‘আল্লাহ্ তোমাদের সহজ চান, কঠিনতা চান না। (আল্ বাক্বারাহ্ঃ ১৮৫)

মহান আল্লাহর আরেকটি বাণীঃ

وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ [ الحج :78]

‘আর তিনি (আল্লাহ্) তোমাদের জন্য ধর্মে কোন প্রকার সংকীর্ণতা রাখেননি।’ (আল্ হজ্জঃ৭৮)

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ

( مَا خُيِّرَ رَسُولُ اللَّهِ -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلاَّ اخْتَارَ أَيْسَرَهُمَا مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا )[ متفق عليه : البخاري، كتاب المناقب، باب صفة النبي صلى الله عليه وسلم، (২৩) ، حديث رقم (৩৫৬০) ، ومسلم، كتاب الفضائل، باب مباعدته-صلى الله عليه وسلم-للآثام ...(২০) حديث رقم (২৩২৭)].

রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে যে কোন দুটি বিষয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হলে তিনি তুলনামূলক যেটি সহজ সেটিই নির্বাচরণ করতেন যদি তা কোন পাপের কাজ না হত। (মুত্তাফাকুন আলাইহিঃ বুখারী, জীবনী অধ্যায়, হা/৩৫৬০, মুসলিম, ছাহাবীদের ফযীলত অধ্যায়, হা/২৩২৭)

উদাহরণ সমূহঃ

১-মুসাফিরের প্রত্যেক ছালাতের জন্য পথচলা বিরতী দেওয়া এবং পৃথক পৃথকভাবে প্রত্যেক ছালাত যথা সময়ে আদায় করা কষ্টকর হলে তার জন্য শরী‘আতে দুই ছালাত একত্রে পড়ার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে সহজ করা হয়েছে। যেমন যোহরের সাথে আছর, অনুরূপভাবে মাগরিবের সাথে এশা, চাই তা তরাম্বিত জমা হোক বা বিলম্বিত জমা হোক -এরূপ জমা করার মাধ্যমে মুসাফিরের উপর সহজতা করা হয়েছে।

২- কোন ব্যক্তির দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করা কষ্টকর হলে, সে ক্ষেত্রে তার প্রতি সহজ করা হয়েছে। অতএব সে বসে বসে ছালাত আদায় করবে।...

চতুর্থতঃ

( الضرورات تبيح المحظرات )

‘আয্ যরূরা-তু তুবীহুল মাহযূরা-ত’ অর্থাৎঃ ‘একান্ত নিরূপায় অবস্থা হারামকে হালাল করে দেয়।’

মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلا عَادٍ فَلا إِثْمَ عَلَيْهِ [ البقرة :১৭৩]

‘অবশ্য যে ব্যক্তি (এসব অবৈধ খাদ্যের প্রতি) অনোন্যপায় হয়ে পড়ে এবং নাফারমানকারী ও সীমালংঘণকারী না হয় তাহলে তার উপর কোন পাপ বর্তাবে না।’

উদাহরণঃ

যদি কোন ব্যক্তি মৃত্যুর আশংকায় বাধ্য হয়ে কোন হারাম বস্ত্ত ভক্ষণ করে, তাহলে এরূপ ভক্ষণ তার জন্য শুধু জায়েযই নয় বরং মৃত্যুর আশংকায় তার উপর এরূপ খাদ্য গ্রহণ করা অধিকাংশ ওলামায়ে দ্বীনের নিকট ওয়াজেব।

পঞ্চমতঃ

( لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ ... أو قاعدة : الضَّرَرُ يُزَالُ )

‘লা যরারা ওয়ালা যিরা-রা। আও ক্বায়িদাতুঃ আয্যরারু য়ূযা-লু’

অর্থাৎঃ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না আর কোন ক্ষতি করা যাবে না।’

অথবা আরেকটি মূলনীতিঃ ‘ক্ষতি অপসারণ করতে হবে।’

(প্রথমটি নবীর হাদীছঃ এটি মুস্তাদ্রাকুল হাকিম, মুওয়াত্ত্বা মালিক মুরসালভাবে- ফায়ছালা অধ্যায়, হা/৩১, মুসনাদ আহমাদ প্রভৃতি গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। হাদীছটি হাসান)

এই ক্বায়িদাহ্ এর উদাহরণঃ

যদি কারও ঘরের জানালা নিজ প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় তাহলে অবশ্যই উক্ত জানালা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে এই ক্ষতি অপসারণ করতে হবে।

অথবা তার বাড়ীর গাছ-পালা নিজ প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়, অথবা তার যমীন বা বাড়ী মানুষের মানুষের চলার রাস্তা-ঘাট নষ্ট করে তাহলে এসব কিছু অবশ্যই দূরীভূত করতে হবে।

ষষ্ঠতঃ

( درء المفاسد مقدم على جلب المصالح )

‘দারউল মাফাসিদি মুক্বাদ্দামুন আলা জাল্বিল মাছালিহি’

অর্থাৎঃ ফাসাদ-অপকার প্রতিহত করা উপকার আনয়নের উপর প্রাধান্য প্রাপ্ত।’

মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

( وَلا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ فَيَسُبُّوا اللَّهَ عَدْواً بِغَيْرِ عِلْمٍ )[ الأنعام :১০৮]

আর তোমরা তাদেরকে গালমন্দ করো না, আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তারা ডাকে, ফলে তারা গালমন্দ করবে আল্লাহকে, শত্রুতা পোষণ করে অজ্ঞতাবশত।

(আল্ আনআমঃ১০৮)

উদাহরণঃ

১-হারাম যন্ত্র-পাতি প্রবেশ করানো নিষিদ্ধ করতে হবে অপকারের ক্ষতির আশংকায়; যদিও তাতে কিছু উপকার নিহিত থাকে।

২-যদি কোন মহিলার উপর গোসল ওয়াজিব হয়ে থাকে। অথচ পুরুষ থেকে পরদা করার মত কিছু না পায়, তাহলে সে অবশ্যই গোসল বিলম্বিত করবে। কারণ মহিলার নগ্ন হওয়া একটি বিপর্যয়, আর গোসল করা হল উপকারী বস্ত্ত। অতএব অপকার-বিপর্যয় প্রতিহত করাই ওয়াজিব।

সপ্তমতঃ

( الْأَصْلُ فِيْ الْأَشْيَاءِ الحْـِلُّ وَالْإِبَاحَةُ )

‘আল্ আছলু ফিল্ আশইয়ায়ি আল্ হিল্লু ওয়াল্ ইবাহাতু’।

অর্থাঃ ‘বৈষয়িক সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে আসল হল ইহাই যে তা হালাল এবং বৈধ।’

এই আসল তথা মূল নীতির প্রমাণ হল:

মহান আল্লাহ্ আরো বলেনঃ

هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعاً [ البقرة :২৯]

তিনি সেই সত্তা যিনি যমীনের বুকে যা কিছু আছে তার সব টুকুই তোমাদের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। (আল্ বাক্বারাহ্ঃ২৯)

মহান আল্লাহ্ আরো বলেনঃ

قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللَّهِ الَّتِي أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ [ الأعراف :৩২]

আপনি বলুন, আল্লাহর সাজ-সজ্জা-যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্য বস্ত্তসমূহকে কে হারাম করেছে? (আল্ আরাফঃ৩২)

মহান আল্লাহ্ আরো বলেনঃ

قُلْ لا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّماً عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَماً مَسْفُوحاً أَوْ لَحْمَ خِنْزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقاً أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ [ الأنعام :১৪৫].

‘আপনি বলে দিন, যা কিছু বিধান অহির মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তম্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাইনা কোন ভক্ষণকারীর জন্যে যা সে ভক্ষণ করে। কিন্তু মৃত, অথবা প্রবাহিত রক্ত, অথবা শুকরের গোস্ত-এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ যবেহ করা জম,ও যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়।’ (আল্ আন‘আমঃ১৪৫)

নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

مَا أَحَلَّ اللَّهُ [ فِى كِتَابِهِ ] فَهُوَ حَلاَلٌ وَمَا حَرَّمَ اللهُ فَهُو حَرَامٌ وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ عَفُوٌّ، فَاقْبَلُوا مِنَ اللَّهِ عَافِيَتَهُ فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَكُنْ لِيَنْسَى شَيْئًا [ أخرجه الطبراني والبزار وسنده حسن، وقال عنه الحاكم صحيح الإسناد ]

আল্লাহ যা (তাঁর কিতাবে) হালাল করেছেন তাই হালাল আর যা আল্লাহ্ হারাম করেছেন তাই হারাম। আর যা থেকে তিনি নীরবতা পালন করেছেন তা মাফ। অতএব তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার নিরাপত্তা গ্রহণ কর। কারণ আল্লাহ্ কোন কিছুই ভুলতে পারেন না। (তাবারানী, বাযযার প্রভৃতি, সনদ হাসান। ইমাম হাকিম বলেনঃ হাদীছটির সনদ ছহীহ। দ্রঃ ২/৩৭৫, হাফেয যাহাবী তাঁর সমর্থন করেছেন, তবে মুহাদ্দিছ আলবানী এটিকে শুধু হাসান বলে আখ্যা দিয়েছেন। দ্রঃ আলবানীর ‘সিলসিলাতুল আহাদীছ্ আছ ছহীহাহ্, ৫/৩২৫, হা/২২৫৬, গায়াতুল মারাম,হা/২)।

অতএব এ সমস্ত আয়াত এবং হাদীছ এমর্মে প্রমাণ বহন করে যে (বৈষয়িক বিষয়ে) আসল হল হালাল হওয়া। হারাম করণের বিষয়টি বিশেষ স্বতন্ত্রতা যা দলীল - প্রমাণ ছাড়া সাব্যস্ত করা যাবে না।

উদাহরণঃ

এই যামানায় যত কিছু আত্ম প্রকাশ করেছে যেমন যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ। এক্ষেত্রে সেগুলি হারাম হালালকারী কোন খাছ দলীল শরী‘আতে আসেনি যেমন ফোন করার যন্ত্র-পাতি (মোবাইল, টেলিফোন, ইন্টারনেট প্রভৃতি)। এ ক্ষেত্রে আসল ইহাই যে এগুলি হালাল ও বৈধ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন