hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৫
ঈমানের ৬টি মৌলিক বিষয়
১. আল্লাহর প্রতি ঈমান :

একজন মুসলিম নারী ঈমান আনবে যে, আল্লাহ তা‘আলা হলেন সকল কিছুর মালিক, পরিচালনাকারী, সৃষ্টিকর্তা ও রিযিকদাতা।

একজন মুসলিম নারী ঈমান আনবে যে, আল্লাহ তা‘আলা হলেন একমাত্র মাবুদ। তাঁকেই একমাত্র ইবাদাতের উপযুক্ত হিসেবে মেনে নিতে হবে এবং সকল প্রকার ইবাদাত আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়া তা‘আলার উদ্দেশ্যেই করতে হবে। সুতরাং সে নামায পড়বে আল্লাহর জন্য, পবিত্রতা অর্জন করবে আল্লাহর জন্য, পিতামাতার আনুগত্য করবে আল্লাহর জন্য, স্বামীর আনুগত্য করবে আল্লাহর জন্য, পর্দা করবে আল্লাহর জন্য, বন্ধুত্ব করবে আল্লাহর জন্য এবং সম্পর্কচ্ছেদও করবে আল্লাহর জন্য। সে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকবে না এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট সাহায্য প্রার্থনা করবে না। আর সে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য যেসকল কাজ করবে তাতে অন্য কাউকে শরীক করবে না।

মুসলিম নারী আল্লাহ তা‘আলার জন্য সাব্যস্ত করবে সকল সুন্দর নামসমূহ এবং মহৎ গুণাবলি। মুসলিম নারী এসব সুন্দর নামসমূহ এবং মহৎ গুণাবলির মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদাত করবে। সে স্বীকৃতি দেবে যে, আল্লাহ হলেন দয়াময় ও পরম দয়ালু। তাই সে তাঁর নিকট রহমত কামনা করবে। তিনি হলেন রিযিকদাতা ও পরম শক্তির অধিকারী। তাই সে তাঁর নিকট রিযিকের জন্য আবেদন করবে। তিনি হলেন রোগ নিরাময়কারী। সুতরাং সে তাঁর নিকট রোগ থেকে মুক্তির জন্য আবেদন করবে। তিনি হলেন ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। তাই সে তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করবে।

২. ফেরেশতার প্রতি ঈমান :

মুসলিম নারী বিশ্বাস স্থাপন করবে যে, আল্লাহ তা‘আলার অনেক ফেরেশতা রয়েছে। যারা রাত-দিন অক্লান্তভাবে তাঁর দাসত্ব করে আসছে। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ফেরেশতা আছেন, যারা আল্লাহর সৃষ্টিকুল পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। আবার তাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাদের নাম ও গুরুত্ব আমাদের নিকট স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন- জিবরাঈল (আঃ), যিনি ওহীর দায়িত্বে নিয়োজিত। ইসরাফীল (আঃ), যিনি সিঙ্গায় ফুঁ দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত। মালাকুল মাউত, যারা সকল প্রাণীর মৃত্যুর কাজে নিয়োজিত আছেন। আর বান্দাদের কর্মতৎপরতা লিপিবদ্ধ করার জন্য আরো অনেক ফেরেশতা রয়েছেন। এমনকি প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে দু জন করে ফেরেশতা রয়েছেন, যারা ঐ ব্যক্তির প্রতিটি কথা ও কাজ লিপিবদ্ধ করেন, তাদেরকে ‘কিরামান কাতিবীন’ বলা হয়।

৩. রাসূলদের উপর নাযিলকৃত কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান :

আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির হেদায়াতের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য কিতাব ও সহীফা নাযিল করেছেন। একজন মুসলিম নারীকে অবশ্যই সেসব কিতাবের উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে এবং এগুলোর কোন একটির উপরও সন্দেহ পোষণ করা যাবে না। আর এগুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে আল্লাহর কিতাব ও বিশুদ্ধ সুন্নার আলোকে। আল্লাহ তা‘আলা বিশ্বের প্রথম মানব আদম (আঃ) থেকে শুরু করে শেষ নবী মুহাম্মাদ ﷺ পর্যন্ত যতগুলো কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তন্মধ্যে কুরআনুল কারীমে চারটি কিতাবের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- তাওরাত, যা মূসা (আঃ) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। ইঞ্জীল, যা ঈসা (আঃ) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। যাবূর, যা দাঊদ (আঃ) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল কুরআন, যা মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। আর কুরআন হলো সর্বশেষ কিতাব, যার মাধ্যমে কিতাব অবতীর্ণের ধারায় পরিসমাপ্তি ঘটেছে এবং এর মাধ্যমে বাকি সকল কিতাবের বিধানকে রহিত করে দেয়া হয়েছে।

৪. আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক প্রেরিত রাসূলদের প্রতি ঈমান :

মুসলিম নারীকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ ﷺ এর পূর্বে প্রত্যেকটি জাতির প্রতিই এক বা একাধিক রাসূল প্রেরণ করেছেন। তারা প্রত্যেকেই মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করতেন এবং আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করতেন। তারা মানুষকে সুসংবাদ দিতেন, সতর্ক করতেন এবং সৎকাজের আদেশ দিতেন ও অসৎকাজ হতে নিষেধ করতেন। ঐসব রাসূলদের মধ্যে এমন কেউ কেউ আছেন, যাদের নাম কুরআন ও হাদীসের মধ্যে আলোচিত হয়েছে। আবার অনেকেই রয়েছেন, যাদের নাম আলোচিত হয়নি। সুতরাং প্রতিটি মুসলিম নারীকে অবশ্যই তাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এবং তাদের কাউকে অস্বীকার করা যাবে না।

৫. আখিরাতের প্রতি ঈমান :

মানুষের এই জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে মৃত্যুর মাধ্যমে। তারপর কবর, পুনরুত্থান, হাশর, হিসাব, প্রতিদান ও পুলসিরাত এবং সবশেষে জান্নাত ও জাহান্নাম। একজন মুসলিম নারীকে এগুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা আবশ্যক। সে উপরোক্ত বিষয়গুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং এগুলোর কথা মাথায় রেখে পার্থিব জীবনের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করবে। সুতরাং সে পার্থিব জীবনে এমন কাজ করবে না, যার জন্য আখিরাতের জীবনে দুর্গতি নেমে আসে।

৬. তাকদীরের প্রতি ঈমান :

মুসলিম নারীকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, সৃষ্টিজগত তৈরির বহু পূর্বেই আল্লাহ তা‘আলা ভবিষ্যৎ ঘটনাবলি লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পেছনে বসেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, হে বালক! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিক্ষা দেব। (সেগুলো হলো) তুমি আল্লাহর হেফাযত করবে অর্থাৎ আল্লাহর বিধান মেনে চলবে, তাহলে আল্লাহ তোমার হেফাযত করবেন। যখন তুমি কিছু চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে। যখন কোন সাহায্য প্রার্থনা করবে তখন আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করবে। আর জেনে রেখো! গোটা জাতি যদি কোন বিষয়ে তোমার উপকার করার জন্য একত্র হয়, তবে তারা সকলে মিলে ততটুকুই উপকার করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। পক্ষান্তরে গোটা জাতি যদি কোন বিষয়ে তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্র হয়, তবে সকলে মিলে তোমার ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। কলম তুলে রাখা হয়েছে এবং (তাকদীর লিখিত) কিতাব শুকিয়ে গেছে। [তিরমিযী, হা/২৫১৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৬৯; মিশকাত, হা/৫৩০২।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন