hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬৬
নামায না পড়ার পরিণাম
নামায আদায় না করার পরিণাম অত্যমত্ম ভয়াবহ। এর শাসিত্মও অত্যমত্ম কঠোর। কুরআনের আয়াত ও নবী ﷺ এর হাদীস অধ্যয়ন করলে যা বুঝা যায় তা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, কোন মানুষ বেনামাযী হলে সে মুসলিম থাকারই উপযুক্ত নয়। হাদীসে এসেছে,

বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা বৃষ্টির দিনে নামাযে তৎপর থাকো। কেননা যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামায ত্যাগ করল সে কুফরী করল। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৮।]

বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাদের ও তাদের (মুনাফিকদের) মধ্যে যে অঙ্গীকার রয়েছে তা হলো নামায। সুতরাং যে নামায ত্যাগ করল, সে কুফরী করল। [তিরমিযী, হা/২৬২১; নাসাঈ, হা/৪৬৩; ইবনে মাজাহ, হা/১০৭৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৯৮৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৫৪; দার কুতনী, হা/১৭৫১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৪; মিশকাত, হা/৫৭৪।]

আবদুল্লাহ ইবনে শাকীক আল উকাইলী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথিগণ নামায ত্যাগ করা ব্যতীত অন্য কিছুকে কুফরী মনে করতেন না। [তিরমিযী, হা/২৬২২; মিশকাত, হা/৫৭৯; রিয়াযুস সালিহীন, হা/৪৭০; জামেউল উসূল ফিল আহাদীস, হা/৩২৬৫।]

আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যার নামায নেই তার ঈমান নেই। [সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৭৫।]

অর্থাৎ যে ব্যক্তি নামায আদায় করে না, তার নিজেকে মুমিন বলে দাবি করা শোভা পায় না।

নামায ত্যাগকারীর মুক্তি পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই :

উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি উত্তমভাবে ওযু করবে, সময়মতো নামায পড়বে, নামাযের রুকূসমূহ পূর্ণ করবে এবং তাতে বিনয় ও নম্রতা বজায় রাখবে আল্লাহ তা‘আলা তার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি এমনটি করবে না তার ব্যাপারে আল্লাহর পক্ষ হতে কোন প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি তাকে ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিতে পারেন, আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন। [আবু দাউদ, হা/৪২৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭৫৬; মু‘জামুল আওসাত, হা/৯৩১৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪০০; মিশকাত, হা/৫৭০।]

কিয়ামতের দিন নামায ত্যাগকারীর নূর ও নাজাতের দলীল থাকবে না :

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ নামায সম্পর্কে আলোচনা করলেন এবং বললেন, যে ব্যক্তি নামাযের হেফাযত করবে এটা তার জন্য নূর ও দলীল হবে এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য নাজাতের ওসীলা হবে। আর যে ব্যক্তি নামাযের হেফাযত করবে না অর্থাৎ নামায পড়বে না, তার জন্য কোন নূর ও দলীল থাকবে না এবং তার জন্য কোন নাজাতের উপায়ও থাকবে না। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৭৬; শু‘আবুল ঈমান, হা/২৫৬৫।]

নামায ত্যাগকারীর হাশর হবে বড় বড় কাফিরদের সাথে :

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নামায পরিত্যাগকারী কিয়ামতের দিন কারুন, হামান, ফিরাউন এবং উবাই ইবনে খালফের সাথে থাকবে। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৭... ঐ।]

নামায ত্যাগকারীরা জাহান্নামে যাবে :

কুরআনে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে যে, নামায ত্যাগ করার কারণে মানুষকে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فِيْ جَنَّاتٍ يَّتَسَآءَلُوْنَ - عَنِ الْمُجْرِمِيْنَ - مَا سَلَكَكُمْ فِيْ سَقَرَ - قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَ﴾

জান্নাতীরা অপরাধীদেরকে জিজ্ঞেস করবেন কোন্ জিনিস তোমাদেরকে এ ভয়ানক জাহান্নামে পৌঁছাল? জাহান্নামীরা উত্তর দেবে, আমরা দুনিয়াতে নামাযীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না। (সূরা মুদ্দাস্সির, ৪০-৪৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন