hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

নারীরা উত্তরাধিকার পাওয়ার হকদার
নারীর জন্যও উত্তরাধিকারের অংশ নির্দিষ্ট রয়েছে :

﴿وَلِلنِّسَآءِ نَصِيْبٌ مِّمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالْاَقْرَبُوْنَ مِمَّا قَلَّ مِنْهُ اَوْ كَثُرَؕ نَصِيْبًا مَّفْرُوْضًا﴾

নারীদের জন্যও পিতামাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পদে অংশ রয়েছে। কম হোক বা বেশি হোক, এসব অংশ নির্ধারিত। (সূরা নিসা- ৭)

পুরুষরা যেমন উত্তরাধিকার লাভ করতে পারে, তেমনি নারীর জন্যও উত্তরাধিকারের অংশ নির্দিষ্ট রয়েছে। তবে বিশেষ কারণে এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অংশ সমান রাখা হয়নি। পুরুষের তুলনায় নারীর অংশ পরিমাণে কম নির্ধারণ করা হয়েছে। আল্লাহর নির্ধারিত এ আইনটিকে নিয়ে কিছু স্থূল বুদ্ধির লোক ইসলামের অর্থ-বণ্টন রীতির সমালোচনা করতে গিয়ে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। কিন্তু ইসলামের পূর্ণাঙ্গ পরিবারব্যবস্থা বিবেচনা করে দেখলে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠে। আসলে নারীর কতিপয় স্বভাবগত দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত মজবুত ও নির্ভরযোগ্য করে দেয়া হয়েছে; যদিও পুরুষের আর্থিক অবস্থা সর্বাবস্থায় ও সর্বক্ষণই অনিশ্চিত ও অনির্ভরযোগ্য। ইসলামী বিধান অনুযায়ী নারীর উত্তরাধিকার অংশ পুরুষের তুলনায় অর্ধেক। তবে তার এ ঘাটতি অন্যভাবে পূরণ করে দেয়া হয়েছে। স্ত্রী স্বামীর নিকট থেকে মোহরানা পায়। কিন্তু পুরুষরা এ ধরনের কোন কিছু কারো নিকট থেকে পায় না। তাছাড়া গোটা পরিবারের অর্থনৈতিক প্রয়োজন পূরণের দায়িত্ব পুরুষদের উপরই ন্যস্ত; নারীরা তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। মেয়েরা বিয়ের পূর্বে অভিভাবকের এবং বিয়ের পর স্বামীর নিকট থেকে নিশ্চিতভাবে ভরণ-পোষণ পেয়ে থাকে। এরূপ অবস্থায় নারীকে পুরুষের সমান উত্তরাধিকার দান করা সুবিচার নয়, বরং এটি অবিচারের নামান্তর। আর ইসলামী সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সর্বপ্রকার অবিচার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।

অনেক অঞ্চলেই তাদের রীতি অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তি হতে তার কন্যাসন্তানদেরকে কোন অংশ প্রদান করা হয় না; বরং ভাইয়েরাই সব ভোগ করে থাকে। এটা সম্পূর্ণ যুলুম ও হারাম। কেউ কেউ বলেন যে, বোনেরা তাদের অংশ দাবি করে না এবং ক্ষমা চেয়ে নিলে ক্ষমা করে দেয়। জেনে রাখা প্রয়োজন যে, হক না চাওয়া হক ছেড়ে দেয়ার দলীল হতে পারে না। যেসব বোনেরা জানে যে, তারা নিজেদের সম্পত্তি পাবে না তারা নিজেদের হক দাবি করা হতে বিরত থাকে। যদি তাদের অংশ বণ্টন করে তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়, তারপরও যদি তারা না নেয় তাহলে ভিন্ন কথা।

উহুদ যুদ্ধের পর সা‘দ (রাঃ) এর স্ত্রী তাঁর দু’টি শিশু সন্তানকে নিয়ে নবী ﷺ এর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এরা সা‘দের মেয়ে। এদের পিতা আপনার সাথে উহুদ যুদ্ধে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। আর এদের চাচা তার সমস্ত সম্পত্তি নিজের আয়ত্তাধীন করে নিয়েছে। এদের জন্য একটি দানাও রাখেনি। এখন বলুন, কে এ (সহায় সম্পত্তিহীনা) মেয়েদেরকে বিয়ে করবে? তখন এ আয়াতটি নাযিল হয়,

﴿يُوْصِيْكُمُ اللهُ فِۤيْ اَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْاُنْثَيَيْنِۚ فَاِنْ كُنَّ نِسَآءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَۚ وَاِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ﴾

আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে এ বিধান দিয়েছেন যে, এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান। তবে যদি কন্যা দু’জনের বেশি হয় তাহলে তারা পরিত্যক্ত সম্পদের তিন ভাগের দু’ভাগ পাবে। আর যদি কন্যা একজন হয়, তবে সে অর্ধেক পাবে। (সূরা নিসা- ১১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন