hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬৪
হায়েয ও নিফাস সংক্রামত্ম আরো কিছু মাসআলা
১. ঋতুবতী নারী আসরের সময় পবিত্র হলে তাকে আসরের নামায পড়তে হবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রাক‘আত পেল সে পুরো আসরের নামায পেল। [সহীহ বুখারী, হা/৫৭৯; সহীহ মুসলিম, হা/১৬৩, ৬০৮।]

২. কোন মহিলা যদি যোহরের নামাযের সময় শুরু হওয়ার পর ঋতুবতী হয়, তাহলে তাকে যোহরের নামাযের কাযা আদায় করতে হবে। অনুরূপভাবে যদি কেউ এশার সময় শেষ হওয়ার পূর্বে পবিত্র হয়, তাহলে তাকে এশার নামায পড়তে হবে।

৩. যদি কোন মহিলা রোযা থাকা অবস্থায় ঋতুবতী হয়, তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।

৪. ফজরের পরপরই কোন মহিলা ঋতুস্রাবমুক্ত হলে সেদিনের রোযা তার জন্য শুদ্ধ নয়। ঐ দিনের বাকি অংশে সে খানাপিনা থেকে বিরত থাক বা না থাক তাকে পরবর্তীতে ঐ দিনের কাযা আদায় করতেই হবে।

৫. ঋতুবতী মহিলা যদি ফজরের এক মিনিট আগে হলেও নিশ্চিতভাবে ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত হয়, তাহলে রমাযান মাস হলে তাকে ঐ দিনের রোযা রাখতে হবে। ফজরের পূর্বে গোসল করার সুযোগ না পেলেও সমস্যা নেই। যেমনিভাবে কোন পুরুষ সহবাসজনিত কারণে অথবা স্বপ্নদোষের কারণে যদি অপবিত্র থাকে এবং ঐ অবস্থায় সাহরী করে নেয়, তাহলে ফজরের আগে গোসল না করলেও তার রোযা শুদ্ধ হবে।

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সহবাসজনিত কারণে ফজরের সময় আরম্ভ হওয়ার পর গোসল করতেন এবং রোযা রাখতেন। [সহীহ বুখারী, হা/১৯৩১; সহীহ মুসলিম, হা/৭৫, ১১০৯।]

৬. কোন মহিলা যদি রক্ত দেখতে পায়; কিন্তু সে নিশ্চিত নয় যে, সেটা ঋতুস্রাবের রক্ত, তাহলে তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ হবে।

৭. যদি রমাযান মাসে দিনের বেলায় কোন মহিলার সামান্য রক্তের ফোঁটা পড়ে এবং সারা রমাযান এই রক্ত চালু থাকা অবস্থায় সে রোযা রাখে, তাহলে তার রোযা শুদ্ধ হবে। কারণ এটা শিরা থেকে আসে। তবে ঋতুর বিষয়টা স্পষ্ট হলে রোযা শুদ্ধ হবে না।

৮. ঋতুবতী এবং প্রসূতি মহিলা রমাযানে দিনের বেলায় খানাপিনা করবে। তবে উত্তম হলো, খানাপিনা গোপনে করা।

৯. সন্তান প্রসবকারিণী ৪০ দিনের আগে যখনই পবিত্র হবে তখনই তার উপর রোযা রাখা অপরিহার্য হয়ে যাবে- যদি তখন রমাযান মাস হয়। অনুরূপভাবে তার উপর নামায পড়াও ওয়াজিব হবে এবং স্বামীর সাথে সহবাস করাও বৈধ হবে।

গর্ভবতীর ঋতুস্রাব :

 সাধারণত গর্ভবতীর ঋতুস্রাব হয় না। এই ঋতুস্রাব গর্ভজাত সন্তানের জন্য খাদ্য হিসেবে কাজ করে। কিন্তু কিছু কিছু মহিলার গর্ভধারণের সময়ও ঋতুস্রাব চলতে দেখা যায়। এই ঋতুস্রাবও প্রকৃত ঋতুস্রাব হিসেবে গণ্য হবে। কেননা গর্ভাবস্থার কারণে তার ঋতুস্রাবের উপর কোন প্রভাব পড়েনি।

গর্ভধারিণীর রক্ত দু’ধরনের। এক ধরনের রক্ত ঋতুস্রাব হিসেবে গণ্য হবে। আর তা হচ্ছে, যেটা এখনও চলছে, যেমনিভাবে গর্ভধারণের পূর্বেও চলছিল। এক্ষেত্রে ঐ রক্ত যদি রং, গন্ধ ও বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে হায়েযের রক্তের সাথে মিলে যায় এবং নিয়মিত সময়ের মধ্যে হয় তাহলে এটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।

আরেক ধরনের রক্ত গর্ভধারিণীর নিকট হঠাৎ আসে, দুর্ঘটনাজনিত কারণে হোক বা কোন কিছু বহনের কারণে হোক অথবা কোন কিছু থেকে পড়ে গিয়ে হোক অথবা অন্য কোন কারণে হোক। যদি এ রক্তের বৈশিষ্ট্য হায়েযের রক্তের সাথে না মিলে, তবে সেটা ইসিত্মহাযা হিসেবে গণ্য হবে। হায়েয অবস্থায় তার উপর যেসব কাজ নিষিদ্ধ এমতাবস্থায় সেগুলোও তার উপর নিষিদ্ধ হবে না।

 অকাল গর্ভপাত ঘটার ক্ষেত্রে যদি সন্তান আকৃতি লাভ করে, তাহলে রক্ত হবে প্রসূতি অবস্থার রক্ত। আর যদি আকৃতি লাভ না করে, তাহলে তার রক্ত প্রসূতি অবস্থার রক্ত নয়। অতএব যখন রক্ত প্রসূতি অবস্থার রক্ত হবে তখন তার উপর ঐ সমস্ত বিষয় হারাম হবে, যেগুলো একজন প্রসূতি মহিলার উপর হারাম। পক্ষান্তরে যদি রক্ত প্রসূতি অবস্থার রক্ত না হয়, তাহলে তার উপর সেগুলো হারাম হবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন