hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬২
ইস্তিহাযার মাসআলা
হায়েয ও নিফাসের সময় ছাড়া অন্য সময় প্রবাহিত রক্তস্রাবকে ইস্তিহাযা বলে। এটা তাদের অভ্যাসগত রক্তপ্রবাহ নয় বরং এটা বিচ্ছিন্ন রক্তপাত। অন্য ভাষায় এটাকে রক্তক্ষরণও বলে।

ইস্তিহাযার সময়সীমা :

ইসিত্মহাযার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। কারণ এটা রোগজনিত বিষয়। এটা কার কত দিন বহাল থাকে তার কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।

ইসিত্মহাযা যদি হায়েয ও নিফাসের সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে করণীয় :

এ ধরনের নারীর চারটি অবস্থা হতে পারে।

১. কোন মহিলার ঋতুস্রাবের সময়সীমা ও অভ্যাস জানা থাকলে সে ঐ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রবাহিত রক্তকে হায়েয হিসেবে ধরে নিবে এবং পরবর্তী সময়ে প্রবাহিত রক্তকে ইসিত্মহাযা হিসেবে গণ্য করবে।

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উম্মে হাবীবা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ কে রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। এরপর আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি তার পাত্র দেখেছি রক্তে পরিপূর্ণ। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, তোমার হায়েয যে কয়দিন হয়, সে কয়দিন পরিমাণ অপেক্ষা করো। তারপর গোসল করো এবং নামায পড়ো। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৯০১।]

২. কোন মহিলার যদি ঋতুস্রাবের অভ্যাস বা সময়সীমা নির্ধারিত না থাকে আর উক্ত মহিলা হায়েযের রক্ত ও ইসিত্মহাযার রক্তের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে তাহলে হায়েযের রক্তের সময়কে হায়েয ধরবে এবং বাকি সময়গুলো ইসিত্মহাযা হিসেবে গণ্য করবে।

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবাইশ (রাঃ) নবী ﷺ এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন ইস্তিহাযাগ্রস্ত নারী। আমি কখনো এ রোগ থেকে মুক্ত হই না। সুতরাং আমি কি নামায পড়া ছেড়ে দিব? রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, না- তুমি নামায ছাড়বে না। কেননা, এটা হায়েয না বরং এটি শিরা থেকে নিঃসৃত রক্ত। তাই যখন হায়েয দেখা দিবে কেবল তখনই নামায পড়া হতে বিরত থাকবে। আর যখন হায়েয ভালো হয়ে যাবে, তখন রক্ত ধুয়ে গোসল করে পবিত্র হয়ে নামায পড়বে। [সহীহ বুখারী, হা/২২৮; সহীহ মুসলিম, হা/৬৪০।]

৩. কোন মেয়ে যদি মাসিক শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ইসিত্মহাযা রুগে আক্রামত্ম হয় তাহলে এমতাবস্থায় সে অন্যান্য মহিলাদের স্বাভাবিক হায়েযের সময়সীমাকে হায়েয হিসেবে গণ্য করবে। যেমন- ৬ দিন বা ৭ দিন। আর এর পরবর্তী সময়ের রক্তকে ইসিত্মহাযা হিসেবে গণ্য করবে।

৪. যে মহিলা তার ঋতুস্রাবের সময়সীমা বা অভ্যাসের কথা ভুলে গেছে এবং হায়েযের রক্ত ও ঋতুস্রাবের রক্তের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না তার বিধানও উপরোক্ত বিধানের মতোই হবে। অর্থাৎ সে প্রতি মাসের ৬ থেকে ৭ দিন হায়েয হিসেবে গণ্য করবে এবং বাকি দিনগুলো ইসিত্মহাযা হিসেবে গণ্য করবে। যেমন- হামনা বিনতে জাহাশ (রাঃ) এর ইসিত্মহাযা হলে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন, (এ অবস্থায়) তুমি প্রতি মাসের ৬ বা ৭ দিন হায়েয হিসেবে গণ্য করবে। অতঃপর গোসল করবে এবং যখন বুঝতে পারবে যে, তুমি পবিত্রতা অর্জন করেছ, তখন তুমি প্রত্যেক মাসের ২৩/২৪ দিন নিয়মিতভাবে নামায পড়বে এবং রোযা রাখবে। এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। তুমি প্রত্যেক মাসে এরূপ করবে, যেরূপ অন্যান্য মহিলারা হায়েয হতে পবিত্রতা অর্জনের ব্যাপারে করে থাকে। [আবু দাউদ, হা/২৮৭; ইবনে মাজাহ, হা/৬২২; তিরমিযী, হা/২০৫।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন