hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৮
হায়েযের মাসআলা
মহিলাদের জরায়ু থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে রক্ত বের হয় তাকে হায়েয বলে।

হায়েযের রক্ত :

এটা দুর্গন্ধযুক্ত, ঘন ও কালো রঙের রক্ত, যা নির্দিষ্ট সময়ে মহিলাদের জরায়ু থেকে বের হয়। আল্লাহ তা‘আলা বনী আদমের প্রত্যেক নারীর উপর এটা আবশ্যক করে দিয়েছেন। হাদীসে এসেছে,

إِنَّ هٰذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللهُ عَلٰى بَنَاتِ اٰدَمَ

আল্লাহ তা‘আলা হায়েযের রক্তকে প্রত্যেক আদম-কন্যার জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। [সহীহ বুখারী, হা/২৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/২৯৯৬।]

হায়েযের সময়সীমা :

হায়েযের সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ কোন সময়সীমা নেই। সুতরাং প্রত্যেক নারীর হায়েযের নিয়মের উপর তার সময়সীমা নির্ধারিত হবে। যেহেতু নির্দিষ্ট সময় ও বিশ্লেষণ আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নার মধ্যে পাওয়া যায় না। সুতরাং হায়েয বিদ্যমান থাকা ও না থাকার উপর শরীয়তের বিধানসমূহ সম্পৃক্ত।

হায়েযের শুরু ও শেষ :

১. হায়েযের শুরু বুঝা যায়- সম্ভাব্য সময়ে লজ্জাস্থান থেকে দুর্গন্ধময় কালো রক্ত নির্গত হওয়ার দ্বারা।

২. হায়েযের শেষ সময় বুঝা যায়- লজ্জাস্থান থেকে সাধারণ রক্ত নির্গত হওয়া বন্ধের দ্বারা। অর্থাৎ লজ্জাস্থানে তুলা বা ন্যাকড়া প্রবেশ করানোর পর তা শুষ্ক বের হলে হায়েযের সময় শেষ হয়েছে বলে ধরে নিবে।

মাসআলা : লজ্জাস্থান থেকে রক্ত নির্গত হওয়া বন্ধ হওয়ার পর সাদা পানি বা হলুদ রঙের কিছু বের হলে তা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। এ অবস্থায় সে নামায, রোযা, সহবাস প্রভৃতি বৈধ কাজ করতে পারবে। এক্ষেত্রে উম্মে আতিয়ার হাদীসটি প্রাধান্যযোগ্য। তিনি বলেন, রক্তস্রাব হতে পবিত্রতার পর মেটে ও হলদে রংকে আমরা হায়েয হিসেবে ধর্তব্য মনে করতাম না। [সহীহ বুখারী, হা/৩২৬; আবু দাউদ, হা/৩০৭; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৬৫৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৬২১; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/২০৬৬৪।]

মাসআলা : যে মহিলার প্রত্যেক মাসে নিয়মিত ৬ দিন ঋতুস্রাব হয়, কিন্তু ঘটনাক্রমে যদি তার কোন কোন মাসে ৭ দিন, ৮ দিন বা ১০ দিন ঋতুস্রাব হয়, তাহলে সে প্রথমে যথাসাধ্য হায়েযের রক্ত ও অন্য রক্তের মাঝে পার্থক্য করার চেষ্টা করবে। এ অবস্থায় সে যদি দেখে যে, লজ্জাস্থান থেকে নির্গত রক্তের রং, গন্ধ ও বৈশিষ্ট্য হায়েযের রক্তের ন্যায়, তাহলে নামায, রোযা ও সহবাস থেকে বিরত থাকবে। আর যদি এ রক্ত হায়েযের রক্তের সাথে না মিলে, তাহলে সে গোসল করে নামায পড়ে নেবে।

আর যদি নির্গত রক্ত পার্থক্য করা সম্ভব না হয়- যা কিছু কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাহলে সে এ রক্তকে হায়েযের রক্ত মনে করে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত নামায, রোযা ও সহবাস করা থেকে বিরত থাকবে।

হায়েযের নির্ধারিত সময়ের মাঝখানে রক্ত বন্ধ হয়ে পুনরায় দেখা দিলে করণীয় :

যদি কোন মহিলার কোন মাসে একটানা দু’দিন ঋতুস্রাব হয়ে ৩য় দিন বন্ধ হয়ে যায়, এরপর আবার ৪র্থ দিন হায়েযের রক্ত দেখা দেয়- এমতাবস্থায় বিশুদ্ধ মতানুযায়ী করণীয় হলো, হায়েযের নিয়মিত সময়ের মধ্যে অল্প সময় রক্ত বন্ধ হলেও তা হায়েয বলে বিবেচিত হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন