hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৮
কর্মক্ষেত্রে মুসলিম নারীর দায়িত্ব
নারীদের মূল কর্মক্ষেত্র হচ্ছে তাদের স্বামীর ঘর। কিন্তু বর্তমান যুগে নারীরা ক্রমেই ঘর ছেড়ে বাইরের কর্মক্ষেত্রসমূহে যোগ দিচ্ছে। এ হিসেবে তাদের কর্মক্ষেত্রের পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এসব নারীরা বাইরের কর্মক্ষেত্রসমূহে যতই ঝুঁকে যাচ্ছে তারা ততই ইসলাম থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একজন বুদ্ধিমতী ও আদর্শবান নারী এ সুযোগটাকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামের পথে ব্যয় করতে পারেন।

শিক্ষিকা :

শিক্ষাদানের কাজটি খুবই মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা এ কাজটি সকল নবী ও রাসূল প্রেরণের মূল উদ্দেশ্য। শেষ নবী মুহাম্মাদ ﷺ-সহ সকল নবীই এ কাজটি করে গেছেন। সাথে সাথে তাদের স্ত্রীগণসহ অনেক মহীয়সী নারীগণও এ দায়িত্ব পালন করেছেন। যেমনটি করেছিলেন, আয়েশা, ফাতেমা, মাইমুনা, উম্মে সালামা, আসমা (রাঃ) প্রমুখ বিখ্যাত নারী সাহাবীগণ।

সুতরাং একজন শিক্ষিকা তার ছাত্রীদের কাছে একজন আদর্শ মায়ের ভূমিকা পালন করবে। কেননা তার ছাত্রীদের উপর তার একটা বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে, যা জন্মদাত্রী মায়ের কাছে নেই। এজন্য শিক্ষিকা হিসেবে একজন নারীর দায়িত্বও অনেক। যেমন-

১. একজন শিক্ষিকার প্রধান দায়িত্ব হলো, পাঠ প্রসত্মুত করা, পাঠ পরিকল্পনা করা, ছাত্রীদের মাঝে তা পেশ করা এবং এ বিষয়ে আবশ্যকীয় উপায়-উপকরণ সংগ্রহের চেষ্টা করা।

২. তিনি হবেন কথাবার্তায়, চালচলনে, সার্বিক তৎপরতায় ও নৈতিক চরিত্রের ক্ষেত্রে ছাত্রীদের কাছে আদর্শস্বরূপ। কেননা কর্মের প্রভাব কথার প্রভাবের চেয়ে অনেক বেশি ফলপ্রসূ। শিক্ষিকার জেনে রাখা উচিত যে, তার প্রতিটি কর্মতৎপরতা, কথা, কাজ ও পোশাক-পরিচ্ছদ হলো তার ছাত্রীদের দৃষ্টির ক্ষেত্র এবং শিক্ষণীয় বিষয়।

৩. ছাত্রীদেরকে বান্ধবী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে তারা যখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মতো উপরের শ্রেণীর ছাত্রী হবে। তবে তারা যখন প্রাথমিক সত্মরের হবে তখন শিক্ষিকা নিজেকে ঐসব মেয়েদের মা হিসেবে বিবেচনা করবেন।

৪. তার দায়িত্ব হলো, তিনি অধ্যবসায়ী ছাত্রীদেরকে অনুপ্রাণিত করবেন এবং দুর্বল ছাত্রীদেরকে আদর-স্নেহ করবেন। ছাত্রীদের সমস্যাগুলো সমাধান করবেন এবং তাদের আবাসিক ও ব্যক্তিগত অবস্থাদির প্রতি সদয় দৃষ্টি দেবেন। আর তাদের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সমস্যা অথবা মাসিকজনিত সমস্যা সম্পর্কে অবগত হবেন এবং তার যথাযথ সমাধান পেশ করবেন।

৫. ছাত্রীদেরকে দ্বীনের পথে চলতে উৎসাহ দিবেন। যদি তার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা একটি মেয়েকে হেদায়াত করেন তবে এটা তার জন্য একটি লাল বর্ণের উটের মালিক হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি উত্তম। [সহীহ বুখারী, হা/২৮৪৭; সহীহ মুসলিম, হা/৬৩৭৬।]

ডাক্তার ও স্বাস্থ্য বিষয়ক মহিলাগণের দায়িত্ব :

কোন নারী যদি ডাক্তার হন তবে তিনি অন্যান্য মহিলাদের সেবা করবেন। যেমন-

১. রুগ্ন নারীর মনে সান্ত্বনা দান করা,

২. তার জন্য রোগ নিরাময়ের দ্বার উন্মোচন ও আশাবাদ ব্যক্ত করা এবং হতাশাবাদ ব্যক্ত না করা অথবা রোগের ভয়াবহতা প্রকাশ না করা।

৩. রোগীদেরকে ভালো ভালো নসীহত করা এবং পবিত্রতা ও নামাযের বিধিবিধানসমূহ থেকে কিছু কিছু দিক বর্ণনা করা।

৪. ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।

৫. রুগ্ন নারীকে আললাহ তা‘আলার সাথে সম্পৃক্ত করা এবং এই কথা বলা যে, রোগ নিরাময়কারী হলেন একমাত্র আল্লাহ, অন্য কেউ নন। আর মানুষের পক্ষ থেকে যা করা হয় তা হলো শুধু ওসীলা বা মাধ্যম মাত্র। আল্লাহ চাইলে চিকিৎসা কার্যকর হয়; কিন্তু তিনি না চাইলে তা কোন উপকারে আসে না- ইত্যাদি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন