hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪২
নারীদের দাওয়াতের ক্ষেত্রসমূহ
দাওয়াতী ক্ষেত্রসমূহের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক নিম্নে পেশ করা হলো :

১. বাসস্থান :

মানুষ যে গৃহে বসবাস করে মূলত তাকেই বলা হয় বাসস্থান। প্রভাবের দিক দিয়ে এটি একটি শ্রেষ্ঠ ময়দান। এর তত্ত্বাবধানের মূল দায়িত্বে থাকে যথাক্রমে স্বামী ও স্ত্রী। কেননা আল্লাহ তা‘আলা স্বামী ও স্ত্রীর প্রত্যেককেই তার ঘরের দায়িত্বশীল বানিয়ে দিয়েছেন। তাদের দায়িত্বসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দায়িত্ব হলো-

 পরিবারের সদস্যদেরকে ঈমানী প্রশিক্ষণ দেয়া।

 তাদেরকে উত্তম আচার-আচরণ শিক্ষা দেয়া।

 সর্বদা সদ্ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা।

 সৎকর্মের আদেশ দেয়া ও অসৎকর্ম হতে নিষেধ করা ইত্যাদি।

তাছাড়া গৃহের ব্যাপারটি অন্যান্য উপায়-উপকরণ বা মাধ্যমসমূহ থেকে ভিন্ন। কারণ পরিবারের সদস্যগণ দীর্ঘ সময় ধরে একত্রে বসবাস করে থাকে এবং তাদের মধ্যে আত্মিক ও সামাজিক সমন্বয় বিদ্যমান থাকে। ফলে সেখানে সহজেই উত্তম আদর্শ পেশ করা সম্ভব। তাছাড়া সেখানে রয়েছে দিকনির্দেশনা দেয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত করার সকল প্রকার সুযোগ।

২. সরকারি ও বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয়সমূহ :

বালিকা বিদ্যালয়সমূহের অভ্যন্তরে নারীর জন্য যা উপস্থাপন করা সম্ভব তা হলো :

 শিক্ষিকাগণকে বিভিন্ন প্রকার প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য উৎসাহিত করা।

 ছাত্রীদের জন্য বিদ্যালয়ে নিয়মিত দারস বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

 শিক্ষিকাদের মাঝে যোগাযোগ ও দেখা-সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা, যাতে বিদ্যালয়ে দাওয়াতী কর্মসূচী পালন করার ব্যাপারে আলোচনা করা যায়।

 নেতিবাচক বাহ্যিক দৃশ্য ও শরীয়তবিরোধী কর্মকান্ডের নজরদারী করা। যা কখনো কখনো ছাত্রীদের মধ্যে পাওয়া যায়।

 বার্ষিক ইসলামী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

৩. নারীদের মাদরাসা ও মক্তবসমূহ :

বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিসত্মানসহ অনেক দেশেই বিভিন্ন ধরনের মাদরাসা ও মক্তব চালু রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন স্তরের নারীগণ আসা-যাওয়া করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত উপায়ে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে :

 ইসলামিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা।

 অন্যান্য নারীদেরকে শিক্ষা প্রসারের কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।

 কিছু বিশেষ কোর্সের আয়োজন করা, যাতে শিক্ষিকা ও প্রশাসনিক মহিলা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

 নারী দাঈ তৈরির উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা।

৪. স্বাস্থ্যবিষয়ক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ :

স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নারীর কর্মক্ষেত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। সেখানে যেসকল দাওয়াতী কাজ করা সম্ভব তা হচ্ছে,

 হাসপাতালগুলোতে সময় ও সুযোগ অনুযায়ী রোগী ও রোগীর অভিভাবকদের সাথে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোগ ও তার প্রতিকার বিষয়ে আলোচনা করা।

 তাদেরকে শরীয়তের বিধানসমূহ পালন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।

 হাসপাতালের লাইব্রেরীর জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক বই-পুসত্মকের পাশাপাশি কিছু ইসলামিক বই-পুসত্মকও সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা।

৫. মসজিদ :

ইসলামে নারীর জন্য অভিভাবকের অনুমতিক্রমে মসজিদে উপস্থিত হওয়া বৈধ। এক্ষেত্রে অভিভাবকের জন্য তাকে বারণ না করার ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সুতরাং এক্ষেত্রে নারীরা দাওয়াতী কাজের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। কেননা মসজিদে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক আলোচনা হয়। সাথে সাথে সেখানে অনেক সৎকর্মশীল নারীদের সাথেও সাক্ষাৎ হয়। সুতরাং মসজিদে নিয়মিত উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করা যায় এবং অন্যান্য সৎকর্মশীল নারীদের থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেয়া যায়। অতএব এ সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো কার্যকর করা যেতে পারে :

 মসজিদে নারীদের জন্য বিশেষ আলোচনার ব্যবস্থা করা, যাতে নারীরা খুব সহজেই উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পায়।

 মহিলা দাঈদেরকে আমন্ত্রণ জানানো, যাতে তারা সময় ও সুযোগ বুঝে নারী মুসল্লীদের সামনে আলোচনা পেশ করতে পারে।

 মাঝে মধ্যে খতীবগণ জুমু‘আ ও অন্যান্য আলোচনার মধ্যে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করবেন, যেগুলো নারীদের বাসত্মব জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। এক্ষেত্রে তিনি সমসাময়িক কিছু উদাহরণও পেশ করতে পারেন।

 ইসলামিক অথবা সমসাময়িক ধারায় পালিত বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ইসলামিক জ্ঞান সমৃদ্ধ আলোচনা সভা অথবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং তাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়া।

৬. হজ্জের সফর :

হজ্জ হচ্ছে ইসলামের মূল ভিত্তিসমূহের মধ্যে একটি। এটি একটি শারীরিক ও আর্থিক উভয় ধরনের সম্মিলিত ইবাদাত। যে ব্যক্তির হজ্জ করার সামর্থ্য আছে তার উপর হজ্জ পালন করা ফরয। এ হুকুমটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। হজ্জকে কেন্দ্র করে অনেক নারীই একত্রিত হয়ে থাকে। সুতরাং ইসলামের দাওয়াতের ক্ষেত্রে এ বিষয়টিও যথাযথভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। যেমন-

 অভিজ্ঞ নারী দাঈদেরকে হজ্জে অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করা, যাতে তারা নারীদের মাঝে হজ্জ পালনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন এবং এমন দিকনির্দেশনা দিতে পারেন, যা তাদেরকে উপকৃত করবে।

 নারীদের জন্য বিভিন্ন প্রকার দাওয়াতী ও দিকনির্দেশনামূলক কর্মসূচী প্রসত্মুত করা।

 কাফেলায় অংশগ্রহণকারী নারীদের মাঝে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের দাওয়াতী কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা।

 হজ্জ থেকে ফেরার পর তাদের মাঝে যোগাযোগ রক্ষা করে চলা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন