hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬০
হায়েয ও নিফাস অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
১. নামায পড়া :

হায়েয ও নিফাস অবস্থায় ফরয, নফলসহ সকল ধরনের নামায পড়া নিষিদ্ধ। অনুরূপভাবে পবিত্র হওয়ার পর ফরয নামাযসমূহের কাযা আদায় না করার ব্যাপারেও বিদ্বানগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। হাদীসে এসেছে,

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, হায়েয অবস্থায় তারা কি নামায পড়া ও রোযা রাখা থেকে বিরত থাকে না? দ্বীনের ক্ষেত্রে এটা তাদের একটা ঘাটতি। [সহীহ বুখারী, হা/১৯৫১; সহীহ মুসলিম, হা/৮০।]

মু‘আয (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক মহিলা আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের জন্য হায়েযকালীন নামায পবিত্র হওয়ার পর কাযা আদায় করলে চলবে কিনা? আয়েশা (রাঃ) বললেন, তুমি কি হারূরিয়্যা? [খারিজীদের একটি দল, যারা ঋতুবতীর জন্য সালাতের কাযা ওয়াজিব মনে করত।] আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময় ঋতুবতী হতাম, কিন্তু তিনি আমাদেরকে নামায কাযা করার নির্দেশ দিতেন না। অথবা তিনি বললেন, আমরা কাযা আদায় করতাম না। [সহীহ বুখারী, হা/৩২১; সহীহ মুসলিম, হা/৭৮৭; আবু দাউদ, হা/২৬২; তিরমিযী, হা/১৩০; নাসাঈ, হা/৩৮২; ইবনে মাজাহ, হা/৬৩১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪০৮২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১০০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৩৪৯।]

২. রোযা রাখা :

নারীরা হায়েয ও নিফাসের সময় রোযা রাখা বন্ধ রাখবে। তবে রমাযানের রোযা পরবর্তীতে কাযা আদায় করে নিবে।

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হায়েয হলে রোযা কাযা করা ও নামায কাযা না করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হতো। [সহীহ মুসলিম, হা/৩৩৫; আবু দাউদ, হা/২৬৩; ইবনে মাজাহ, হা/৬৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৩৭৬।]

৩. তাওয়াফ করা :

হায়েয অবস্থায় তাওয়াফ করা বৈধ নয়। কেননা আয়েশা (রাঃ) হজ্জের সময় ঋতুবতী হলে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেছিলেন, হাজীদের মতো হজ্জের সকল কার্যাদি সম্পাদন করো। তবে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করো না। [সহীহ বুখারী, হা/১৬৫০; মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/৯২৫; সহীহ মুসলিম, হা/২৯৭৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৮৩৫; দারেমী, হা/১৮৪৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৯১৪।]

৪. সহবাস করা :

হায়েয অবস্থায় সহবাস করা হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَيَسْاَلُوْنَكَ عَنِ الْمَحِيْضِؕ قُلْ هُوَ اَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَآءَ فِى الْمَحِيْضِ وَلَا تَقْرَبُوْهُنَّ حَتّٰى يَطْهُرْنَۚ فَاِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوْهُنَّ مِنْ حَيْثُ اَمَرَكُمُ اللهُؕ اِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ﴾

(হে নবী!) তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলো, তা খুবই কষ্টদায়ক। সুতরাং তোমরা হায়েযের সময় সহবাস করা থেকে দূরে থাকো। তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে মেলামেশা করো না। আর যখন তারা (ঋতুস্রাব থেকে) পবিত্র হয়ে যায়, তখন তোমরা তাদের সাথে আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় মেলামেশা করো। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদেরকে ভালোবাসেন এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকেও ভালোবাসেন। (সূরা বাকারা- ২২২)

যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি হায়েয অবস্থায় সহবাস করা হালাল মনে করে, তাহলে সে কাফির ও মুরতাদ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি কেউ ভুলবশত বা হায়েয হয়নি মনে করে সহবাস করে ফেলে, তাহলে গোনাহ হবে না।

কিন্তু যদি হায়েয হয়েছে জেনেও ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করে, তাহলে সে কবীরা গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে এবং তার উপর তওবা করা আবশ্যক হবে। কিন্তু কাফফারা আবশ্যক হবে কিনা- এ ব্যাপারে অধিকাংশ আলেমের অভিমত হলো, তার উপর কাফফারা আবশ্যক হবে না। কাফফারা আবশ্যক হওয়ার ব্যাপারে ইবনে আববাস (রাঃ) হতে যে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে তা দুর্বল হওয়ার কারণে গ্রহণযোগ্য নয়। [যঈফ আবু দাউদ, হা/২৬৪; ইবনে মাজাহ, হা/৬৪০।]

তালাক দেয়া :

হায়েয অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেয়া স্বামীর জন্য হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿يَاۤ اَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَآءَ فَطَلِّقُوْهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَأَحْصُوا الْعِدَّةَ﴾

হে নবী! যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে তখন তাদেরকে ইদ্দতের মধ্যে তালাক দাও এবং ইদ্দত গণনা করো। (সূরা তালাক- ১)

অর্থাৎ এমন সময় তালাক দিতে হবে, যেন তালাকপ্রাপ্তা হওয়ার পর থেকেই স্ত্রী ইদ্দত পালন করতে পারে। আর এটা গর্ভাবস্থা অথবা যৌনসম্ভোগহীন পবিত্রাবস্থা ব্যতীত সম্ভব নয়। কেননা যদি হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়া হয়, তাহলে মহিলা প্রাথমিক অবস্থায় ইদ্দত পালন করতে পারবে না। আর যদি যৌনসম্ভোগের পর ঐ তুহুরে (পবিত্রাবস্থায়) তালাক দেয়া হয়, তবে এই মিলনে গর্ভবতী হয়েছে কিনা, তা জানা যায় না। ফলে তার ইদ্দত হায়েয ধরা হবে, নাকি সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত ধরা হবে- এ বিষয়টি অস্পষ্ট থেকে যায়। তাই বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তালাক দেয়া স্বামীর প্রতি হারাম। হাদীসে এসেছে,

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যুগে একদা তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিলেন। অতঃপর উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) উক্ত বিষয়টি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জানালেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তাকে আদেশ করো যেন সে তাকে ফিরিয়ে নেয় এবং পবিত্র হওয়া পর্যন্ত স্বীয় স্ত্রীত্বে রাখে। তারপর হায়েয শেষে পুনরায় পবিত্র হওয়ার পর ইচ্ছে করলে রেখে দেবে। অন্যথায় যৌনসম্ভোগের পূর্বে তালাক দেবে। এটাই সেই ইদ্দত, যার মধ্যে আল্লাহ তা‘আলা মহিলাদেরকে তালাক দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। [সহীহ বুখারী, হা/৫২৫১; আবু দাউদ, হা/২১৮১; নাসাঈ, হা/৩৩৮৯।]

অতএব কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেয় তবে সে গোনাহগার হবে। এমতাবস্থায় তাকে অবশ্যই আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে এবং স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে হবে। অতঃপর তাকে যে হায়েযের মধ্যে তালাক দিয়েছিল তা থেকে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দিবে। তারপর ইচ্ছা হলে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী তালাক প্রদান করবে। এরপর যখন পুনরায় হায়েয হতে পবিত্র হবে তখন ইচ্ছা করলে বহাল রাখবে নতুবা যৌনসম্ভোগের পূর্বেই তালাক দিয়ে দিবে।

হায়েয অবস্থায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াতে কোন দোষ নেই। এটা নিষেধ হওয়ার পক্ষে কোন দলীল নেই। কিন্তু পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত হায়েয অবস্থায় স্বামী তার সাথে মিলিত হতে পারবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন