hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুন নিসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৫
দ্বীনদার পাত্রী হও
বর্তমান সময়ে দ্বীনদার পাত্রীর বড়ই অভাব। তাই একজন মুসলিম মেয়ে হিসেবে তুমি দ্বীনদার পাত্রী হওয়ার চেষ্টা করো। যাতে করে তোমার মাধ্যমে একটি পরিবারে ইসলামের আলো জ্বলতে পারে। দ্বীনদার পাত্রী হওয়ার জন্য যেসকল গুণাবলি অর্জন করার দরকার সেসকল গুণাবলি অর্জন করো।

কুরআন মাজীদের বিভিন্ন জায়গায় এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্ন হাদীসে দ্বীনদার পাত্রীর গুণাবলির উল্লেখ রয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সে স্ত্রীই সর্বোত্তম, যাকে দেখলে তোমার মন আনন্দে ভরে যায়। তুমি তাকে কোন আদেশ করলে সে তোমার আনুগত্য করে। তুমি ঘরে না থাকলে সে তোমার অনুপস্থিতিতে তোমার ধনসম্পদের ও তার নিজের হেফাযত করে। [মুসনাদুল বাযযার, হা/৮৫৩৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৬৮২; সুনানে নাসাঈ কুবরা, হা/৮৯৬১; জামেউস সগীর, হা/৫৬০৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৮৩৮।]

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿عَسٰى رَبُّهٗۤ اِنْ طَلَّقَكُنَّ اَنْ يُّبْدِلَهٗۤ اَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنْكُنَّ مُسْلِمَاتٍ مُّؤْمِنَاتٍ قَانِتَاتٍ تَآئِبَاتٍ عَابِدَاتٍ سَآئِحَاتٍ ثَيِّبَاتٍ وَّاَبْكَارًا ﴾

যদি নবী ﷺ তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন তবে তার প্রতিপালক তাকে তোমাদের চেয়ে উৎকৃষ্টতর স্ত্রী দিতে পারেন, যারা আনুগত্যকারিণী, তওবাকারিণী, ইবাদাতকারিণী, সিয়াম পালনকারিণী, তালাকপ্রাপ্তা এবং কুমারী (ইত্যাদি গুণের অধিকারী)। (সূরা তাহরীম- ৫)

নবী ﷺ এর পবিত্র স্ত্রীগণকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলার অর্থ এ নয় যে, তাদের মধ্যে এসব গুণাবলি ছিল না বরং এর অর্থ হলো, তোমাদের ত্রুটিপূর্ণ আচরণের কারণে নবী ﷺ এর যে কষ্ট হচ্ছে তোমরা তা পরিত্যাগ করো এবং এসব গুণাবলির প্রতি মনোনিবেশ করো।

অপর আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿اِنَّ الْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَالْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْقَانِتِيْنَ وَالْقَانِتَاتِ وَالصَّادِقِيْنَ وَالصَّادِقَاتِ وَالصَّابِرِيْنَ وَالصَّابِرَاتِ وَالْخَاشِعِيْنَ وَالْخَاشِعَاتِ وَالْمُتَصَدِّقِيْنَ وَالْمُتَصَدِّقَاتِ وَالصَّآئِمِيْنَ وَالصَّآئِمَاتِ وَالْحَافِظِيْنَ فُرُوْجَهُمْ وَالْحَافِظَاتِ وَالذَّاكِرِيْنَ اللهَ كَثِيْرًا وَّالذَّاكِرَاتِ اَعَدَّ اللهُ لَهُمْ مَّغْفِرَةً وَّاَجْرًا عَظِيْمًا﴾

নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনয়ী পুরুষ ও বিনয়ী নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, সিয়াম পালনকারী পুরুষ ও সিয়াম পালনকারী নারী, স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাযতকারী পুরুষ ও স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাযতকারী নারী এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী নারী- এদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত করে রেখেছেন ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান। (সূরা আহ্যাব- ৩৫)

আল্লাহর নিকট কোন্ কোন্ গুণাবলিকে মর্যাদা দেয়া হয় এ আয়াতে তা বলে দেয়া হয়েছে। এগুলো ইসলামের মৌলিক মূল্যবোধ। একটি বাক্যে এগুলোকে একত্রে সংযোজিত করে দেয়া হয়েছে। এ মূল্যবোধগুলোর ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। উভয়ের কর্মক্ষেত্র আলাদা; কিন্তু এসব গুণাবলি যদি উভয়ের মধ্যে সমান থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে উভয়ের মর্যাদা সমান এবং উভয়ের প্রতিদানও সমান হবে।

মুমিন কারা : যারা নিজেদের জন্য ইসলামকে জীবনবিধান হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে এবং জীবনযাপনের ক্ষেত্রে এ বিধানের অনুসারী হওয়ার ব্যাপারে স্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অন্য কথায়, যাদের মধ্যে ইসলাম প্রদত্ত জীবনধারার বিরুদ্ধে কোন রকমের বিরোধিতা নেই। বরং তারা তার পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণের পথ অবলম্বন করেছে। যাদের এ আনুগত্য বাহ্যিক নয় বরং মন থেকেই তারা ইসলামের নেতৃত্বকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে। চিন্তা ও কর্মের যে পথ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দেখিয়েছেন, সেটিই সোজা ও সঠিক পথ এবং তারই অনুসরণের মধ্যে প্রকৃত সাফল্য নিহিত, এটিই তাদের ঈমান। যে জিনিসকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ভুল বলে দিয়েছেন তারা সেটাকে ভুল মনে করে। আর যাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ সত্য বলে দিয়েছেন তাদের নিজেদের মন-মস্তিষ্কও তাকে সত্য বলে নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে।

মুসলিম কারা : যারা ঈমান আনার পর বসে থাকে না, বরং কার্যত আনুগত্য করে। তাদের অবস্থা এমন নয় যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যে কাজের হুকুম দিয়েছেন তাকে সত্য বলে মেনে নেবে; কিন্তু কার্যত তা পালন করবে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যেসব কাজ করতে নিষেধ করেছেন সেগুলোকে খারাপ মনে করবে কিন্তু নিজেরা সেগুলোই করে যেতে থাকবে।

সত্যবাদী কারা : যারা নিজেদের কথায় যেমন সত্য তেমনি ব্যবহারিক কার্যকলাপেও সত্য। মিথ্যা, প্রতারণা, অসৎ উদ্দেশ্য ও ছলনা তাদের জীবনে পাওয়া যায় না। তাদের বিবেক যা সত্য বলে জানে মুখে তারা তাই উচ্চারণ করে। যে কাজ সত্য ও সততা অনুযায়ী হয় সেই কাজই তারা করে থাকে। যার সাথেই তারা কোন কাজ করে বিশ্বস্ততা ও ঈমানদারীর সাথেই করে।

ধৈর্যশীল কারা : যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ Gi নির্দেশিত সত্য পথে চলা ও আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার পথে যেসব বাধা ও বিপদ আসে এবং যে সমস্ত ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় তারা দৃঢ়ভাবে তার মোকাবেলা করে। কোন কিছুই তাদেরকে এ পথ থেকে সরিয়ে দিতে পারে না।

দানশীল কারা : যারা আল্লাহর পথে উন্মুক্ত হৃদয়ে নিজেদের অর্থ ব্যয় করে। তারা আল্লাহর বান্দাদের সাহায্য করার ব্যাপারে নিজেদের সামর্থ্যানুযায়ী প্রচেষ্টা চালাতে ত্রুটি করে না; কোন ইয়াতীম, রুগ্ন, বিপদাপন্ন, দুর্বল, অক্ষম ও অভাবী ব্যক্তি সাহায্যের সম্মুখীন হলে তাকে বঞ্চিত করে না। আর তারা আল্লাহর দ্বীনকে সুউচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অর্থ-সম্পদ ব্যয় করতে কখনো কার্পণ্য করে না।

লজ্জাস্থান হেফাযতকারী কারা : যারা উলঙ্গপনাকে এড়িয়ে চলে এবং যিনা থেকে দূরে থাকে। এর সাথে এটাও বুঝে নিতে হবে যে, শুধুমাত্র পোশাক না পরে উলঙ্গ হয়ে থাকাকে উলঙ্গপনা বলে না; বরং এমন পোশাক পরাও উলঙ্গপনার অন্তর্ভুক্ত, যা এতটা পাতলা হয় যে, তার মধ্য দিয়ে শরীর দেখা যায় অথবা এমন আঁটসাঁট হয়, যার ফলে দেহের উঁচু-নিচু অঙ্গ স্পষ্ট হয়ে উঠে।

আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী কারা : যারা জীবনের সকল কাজকর্মে- এমনকি সকল ব্যাপারেই সবসময় আল্লাহকে স্মরণ করে। কারো মনে আল্লাহর চিন্তা পুরোপুরি ও সর্বব্যাপী আসন গেড়ে না বসা পর্যন্ত এ ধরনের অবস্থা তার মধ্যে সৃষ্টি হয় না। মানুষের মনের গভীরে যখন আল্লাহর চিন্তা ঢুকে যায় তখন তার অবস্থা এমন হয় যে, সে কোন কথা বললে বা কোন কাজ করলে তার মধ্যে আল্লাহর নাম অবশ্যই এসে যাবে। সে আল্লাহকে স্মরণ করে ঘুমাবে এবং ঘুম থেকে উঠেও আল্লাহর নাম নেবে। কথাবার্তায় তার মুখে বার বার بِسْمِ اللهِ (বিসমিল্লাহ), اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ (আলহামদুলিল্লাহ), إِنْشَآءَ اللهُ (ইনশাআল্লাহ), مَاشَآءَ اللهُ (মাশাআল্লাহ) এ ধরনের শব্দ উচ্চারিত হতে থাকবে।

প্রত্যেক কাজে বার বার আল্লাহর সাহায্য চাইবে। প্রত্যেকটি নিয়ামত লাভ করার পর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। প্রত্যেকটি বিপদ আসার পর তাঁর রহমতের প্রত্যাশী হবে। কোন খারাপ কাজের সুযোগ এলে তাঁকে ভয় করবে। কোন ভুল বা অপরাধ করলে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবে। প্রত্যেকটি প্রয়োজন ও অভাবের মুহূর্তে তাঁর কাছে প্রার্থনা করবে। মোটকথা উঠতে-বসতে এবং দুনিয়ার সমস্ত কাজকর্মে সে আল্লাহকে স্মরণ করবে। এ জিনিসটিই আসলে ইসলামী জীবনের প্রাণ। অন্য যে কোন ইবাদাতের জন্য কোন না কোন সময় নির্ধারিত থাকে এবং তখনই তা পালন করা হয়। আর তা পালন করার পর পরই মানুষ তা থেকে আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু এ ইবাদাত তথা আল্লাহর যিকির সর্বক্ষণ জারী থাকে এবং এটিই আল্লাহর সাথে মানুষের জীবনের স্থায়ী সম্পর্ক জুড়ে রাখে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন