hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাকওয়া

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৩০
Annual Training for Character-building
Ramadan provides an annual training opportunity that is meant to fulfil the characterbuilding needs for the rest of the year.

তাকওয়ার মুকাবেলায় শয়তান ও কু-প্রবৃত্তির ক্ষমতা দুর্বল

শয়তান মানুষের শিরা-উপশিরায় চলাচল করতে পারে এবং কু-প্রবৃত্তিকে তৃপ্ত করা হলে তা আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে সে তার আরো চাহিদা মিটানোর জন্য চাপ অব্যাহত রাখে। শয়তান ক্ষুধা ও পিপাসা দিয়ে সিয়াম পালনকারীর সাথে যুদ্ধ করে। এ যুদ্ধে সিয়াম পালনকারী আল্লাহর সাহায্যে শয়তান ও কুপ্রবৃত্তিকে পরাজিত করে। এ কারণে কু-প্রবৃত্তিকে দমন করার জন্য নবী কারীম (ﷺ) সিয়াম নামক চিকিৎসা দিয়েছিলেন। কেননা নফসে আম্মারা বা কু-প্রবৃত্তির তাড়নায় মানুষ সকল প্রকারের পাপাচারে লিপ্ত হয়। যেমন রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :

“হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যে সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে। কেননা বিবাহ দৃষ্টি ও লজ্জাস্থানের সুরক্ষা এনে দেয়। আর যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে না। সে যেন সিয়াম পালন করে। কারণ এটা তার রক্ষাকবচ।” (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)

সিয়ামের বিধানের এটা একটা হিকমত। এভাবেই সিয়াম মানুষকে তাকওয়ার পথে নিয়ে যায় । মোটকথা সিয়াম যাবতীয় জৈবিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ ও তা বৈধ পথে পরিচালিত করার প্রশিক্ষণ দেয় ।

একটি উদাহরণ

একটি ইউনিভার্সিটির ছাত্র শপিংমলে এক মেয়েকে দেখে তার রূপে মোহিত। হয়ে সে চোখ দিয়ে মেয়েটির রূপ অবগাহনে লিপ্ত হলো। মেয়েটির শরীর আংশিক দেখা যাওয়ার কারণে তার নজর বারবার সে মেয়ের দিকে ফিরে যাচ্ছে। তারই বন্ধু অপর এক ছাত্র একই শপিংমলে ঐ মেয়েটিকে একবার মাত্র দেখে তার দৃষ্টিকে অবনত করে নিল। আরেকবার দৃষ্টি দেয়ার সাথে সাথে তার একটি কোডের কথা মনে পড়ল। “যদি কোন পুরুষ তার স্ত্রী ব্যতীত অপর কোন নারীর দিকে কু-দৃষ্টিতে তাকায় তাহলে পরকালে তার চোখে গলিত সীসা ঢেলে শাস্তি দেয়া হবে ।” এ কোড মনে আসার সাথে সাথে দ্বিতীয় ছাত্রটি তার দৃষ্টিকে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলো, আর তাকালো না। এখানে প্রথম ছাত্রটি কোড ভঙ্গ করল আর দ্বিতীয় ছাত্রটি কোড মেনে খারাপ কাজ হতে বিরত থাকলো।

এভাবে জীবনের প্রায় সকল অঙ্গনে একজন ঈমানদার আল্লাহ নির্ধারিত Code of Conduct বা আচরণ বিধির সম্মুখীন। আল্লাহ এই আচরণ বিধি দিয়ে যুগে যুগে নবী- রসূলদের পাঠিয়েছেন। নবী-রসূলগণ এ আচরণ বিধির কেবল থিওরীই মানুষকে শুনাননি, এর বাস্তব প্রয়োগও নিজেদের জীবনে করে দেখিয়েছেন। মানুষ সেসব বিধি মেনে নিজেকে অনন্ত জীবনের পুরষ্কার লাভের জন্য প্রস্তুত করেছে, অথবা কোড ভঙ্গ করে শাস্তির যোগ্য হয়েছে।

সারা-জীবন এ আচরণ বিধি মেনে আল্লাহর নির্ধারিত সীমার মধ্যে অবস্থান করে পরকালীন পাথেয় অর্জনের জন্য আমাদের ইহজীবনকে সঠিকভাবে গঠন করার গুরুত্ব অপরিসীম । আত্মগঠনের প্রক্রিয়ায় আমরা নিজেদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর হুকুমগুলি মেনে চলতে চেষ্টা করি। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ইত্যাদি category-র কাজগুলি মেনে নিজেদের মেধা ও মনকে তৈরী করি, আমাদের আমলকে পরিশুদ্ধ করি ।

একজন ঈমানদারের জন্য আত্মগঠনের কাজটি একটি বিরামহীন দায়িত্ব। আত্মগঠনের পেরেশানী হতে ঈমানদারের শিক্ষার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, অহঙ্কার নিয়ন্ত্রিত থাকে। ঈমানী জ্ঞান যেখানে যার নিকটেই থাক না কেন, ঈমানদার সেখানেই দ্রুত এগিয়ে যাবে ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন