hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাকওয়া

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৭৫
তাকওয়ার পরকালীন উপকারিতা
উপকারিতা ১ : তাকওয়ার ফলে আখিরাতে আল্লাহর নিকট সম্মান লাভ হবে। তিনি বলেন :

“তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন।” (সূরা হুজুরাত : ১৩)

উপকারিতা ২ : তাকওয়া পরকালীন সফলতা ও সাফল্যের চাবিকাঠি। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

“আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য।” (সূরা হুজুরাত : ৫২)

উপকারিতা ৩ : কিয়ামতের দিন তাকওয়ার ফলে আল্লাহর শাস্তি থেকে নাজাত মিলবে । আল্লাহ তা'আলা বলেন :

“আর তোমাদের প্রত্যেককেই তা অতিক্রম করতে হবে, এটি তোমার রবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তারপর আমি এদেরকে মুক্তি দেব যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে। আর যালিমদেরকে আমি সেখানে রেখে দেব নতজানু অবস্থায়।” (সূরা মারইয়াম : ৭১-৭২)

অন্যত্র তিনি ইরশাদ করেন : “আর তা থেকে দূরে রাখা হবে পরম মুত্তাকীকে।” (সূরা লাইল : ১৭)

উপকারিতা ৪: তাকওয়ার ফলে আমল কবুল হয়। আল্লাহ বলেনঃ “অন্যজন (হাবিল) বলল, আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের থেকে গ্রহণ করেন।” (সূরা মায়িদা : ২৭)

উপকারিতা ৫ : তাকওয়ার ফলে আখিরাতে জান্নাতের মিরাস ও উত্তরাধিকার লাভ হবে। আল্লাহ তা'আলা বলেন : “সেই জান্নাত, আমি যার উত্তরাধিকারী বানাব আমার বান্দাদের মধ্যে তাদেরকে যারা মুত্তাকী।” (সূরা মারইয়াম ও ৬৩)

উপকারিতা ৬ : তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য আখিরাতে জান্নাতে সুদৃঢ় প্রাসাদ থাকবে, যার উপরেও থাকবে প্রাসাদ। আল্লাহ তা'আলা বলেন । “কিন্তু যারা নিজদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে কক্ষসমূহ যার উপর নির্মিত আছে আরো কক্ষ। তার নিচ দিয়ে নদী প্রবাহিত। এটি আল্লাহর ওয়াদা; আল্লাহ ওয়াদা খেলাফ করেন না।” (সূরা যুমার : ২০)

উপকারিতা ৭ : মুত্তাকীগণ তাকওয়ার ফলে কিয়ামতের দিন পুনরুত্থানের মুহূর্তে, হাশরের ময়দানে, চলার পথে ও বসার স্থানে কাফিরদের উপরে অবস্থান করবে। তারা জান্নাতের সুউচ্চ স্থানে সমাসীন হবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

“যারা কুফরী করেছে, দুনিয়ার জীবনকে তাদের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে। আর তারা মুমিনদের নিয়ে উপহাস করে। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তারা কিয়ামত দিবসে তাদের উপরে থাকবে। আর আল্লাহ যাকে চান, বেহিসাব রিযক দান করেন।” (সূরা বাকারা : ২১২)

উপকারিতা ৮ : তাকওয়ার ফলে আখিরাতে জান্নাত লাভ হবে, কারণ জান্নাত মুত্তাকীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন :

“আর তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে, যার পরিধি আসমানসমূহ ও জমিনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।” (সূরা আলে ইমরান : ১৩৩)

তিনি আরো বলেন : “আর যদি আহলে কিতাবগণ ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তবে অবশ্যই আমি তাদের থেকে পাপগুলো দূর করে দিতাম এবং অবশ্যই তাদেরকে আরামদায়ক জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাতাম।” (সূরা মায়িদা : ৬৫)

উপকারিতা ৯ : আখিরাতে তাকওয়া গুনাহের কাফফারা হবে । আল্লাহ তা'আলা বলেন :

“আর যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার গুনাহসমূহ মোচন করে দেন এবং তার প্রতিদানকে মহান করে দেন।” (সূরা তালাক : ৫)

তিনি আরো বলেন : “আর যদি আহলে কিতাবগণ ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তবে অবশ্যই আমি তাদের থেকে পাপগুলো দূর করে দিতাম।” (সূরা মায়িদা : ৬৫)।

উপকারিতা ১০ : তাকওয়ার ফলে আখিরাতে মনের চাহিদা পূরণ হবে ও চোখের শীতলতা লাভ হবে । আল্লাহ তা'আলা বলেন : “স্থায়ী জান্নাতসমূহ যাতে তারা প্রবেশ করবে, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে নহরসমূহ। তারা যা পেতে চাবে, তাদের জন্য তার মধ্যে তাই থাকবে । এভাবেই আল্লাহ মুত্তাকীদের প্রতিদান দেন।” (সূরা নাহাল : ৩১)

উপকারিতা ১১ : তাকওয়ার ফলে আখিরাতে ভয় ও বিষন্নতা দূর হবে এবং কিয়ামতের দিন মুত্তাকীরা অনিষ্ট মুক্ত থাকবে । আল্লাহ তাআলা বলেন । “আর আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে তাদের সাফল্যসহ নাজাত দেবেন। কোন অমঙ্গল তাদেরকে স্পর্শ করবে না। আর তারা চিন্তিতও হবে না।” তিনি আরো বলেন : “শুনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই, আর তারা বিষন্নও হবে । যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করত।” (সূরা ইউনুস : ৬২-৬৩)।

উপকারিতা ১২ : তাকওয়ার ফলে কিয়ামতের দিন মুত্তাকীদের অভিযাত্রী দল হিসেবে (বর যাত্রীর ন্যায়) উপস্থিত করা হবে। তারা বাহনে চড়ে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে, এরাই সর্বোত্তম অভিযাত্রী। আল্লাহ তাআলা বলেন : “যেদিন পরম করুণাময়ের নিকট মুত্তাকীদেরকে সম্মানিত মেহমানরূপে সমবেত করব।” (সূরা মারইয়াম : ৮৫)

উপকারিতা ১৩ : আখিরাতে মুত্তাকীদের কাছে নিয়ে আসা হবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন :

“আর মুত্তাকীদের জন্য জান্নাত নিকটবর্তী করা হবে।” (সূরা শুআরা : ৯০)

তিনি আরো বলেন : “আর জান্নাতকে মুত্তাকীদের অদূরে, কাছেই আনা হবে।” (সূরা কাফ : ৩১)

উপকারিতা ১৪ : সকল বন্ধুত্ব কিয়ামতের দিন শত্রুতায় পরিণত হবে, শুধু মুত্তাকীদের বন্ধুত্ব ব্যতীত। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “সেদিন বন্ধুরা একে অন্যের শত্রু হবে, মুত্তাকীরা ছাড়া।” (সূরা যুখরুফ : ৬৭)

উপকারিতা ১৫ : আখিরাতে মুত্তাকীরা তাকওয়ার কারণে পাপী ও কাফিরদের সাথে তুল্য হবে না। আল্লাহ তা'আলা বলেন : “যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে আমি কি তাদেরকে জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সমতুল্য গণ্য করব? নাকি আমি মুত্তাকীদেরকে পাপাচারীদের সমতুল্য গণ্য করব?” (সূরা সাদ : ২৮)।

উপকারিতা ১৬ : আখিরাতে মুত্তাকীদের জন্য নিরাপদ স্থান, জান্নাত ও ঝর্ণাধারা থাকবে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

“নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে, বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে, তারা পরিধান করবে পাতলা ও পুরু রেশমী বস্ত্র এবং বসবে মুখোমুখী হয়ে। এরূপই ঘটবে, আর আমি তাদেরকে বিয়ে দেব ডাগর নয়না হুরদের সাথে। সেখানে তারা প্রশান্তচিত্তে সকল প্রকারের ফলমূল আনতে বলবে। প্রথম মৃত্যুর পর সেখানে তারা আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না। আর তিনি তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।” (সূরা দুখান : ৫১-৫৬)

উপকারিতা ১৭ : আখিরাতে মুত্তাকীদের জন্য আল্লাহর নিকট তাদের তাকওয়া অনুপাতে বিভিন্ন আসন থাকবে । আল্লাহ তা'আলা বলেন :

“নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে। যথাযোগ্য আসনে, সর্বশক্তিমান মহাঅধিপতির নিকটে।” (সূরা কামার : ৫৪-৫৫)

উপকারিতা ১৮ : মুত্তাকীরা তাকওয়ার ফলে আখিরাতে বিভিন্ন নহরে গমন করতে পারবে। যেমন পরিচ্ছন্ন পানির নহর, সুস্বাদু দুধের নহর যার স্বাদ কখনো নষ্ট হবে না । আল্লাহ তা'আলা বলেন :

“মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হল, তাতে রয়েছে। নির্মল পানির নহরসমূহ, দুধের ঝরনাধারা, যার স্বাদ পরিবর্তিত হয়নি, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নহরসমূহ এবং আছে পরিশোধিত মধুর ঝরনাধারা। তথায় তাদের জন্য থাকবে সব ধরনের ফলমূল আর তাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা।” (সূরা মুহাম্মাদ : ১৫)

উপকারিতা ১৯ : আখিরাতে তাকওয়ার ফলে মুত্তাকীরা জান্নাতের বৃক্ষসমূহের তলদেশ দিয়ে বিচরণ করবে ও তার ছায়া উপভোগ করবে। আল্লাহ তা'আলা বলেন :

“নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে ছায়া ও ঝর্ণাবহুল স্থানে, আর নিজদের বাসনানুযায়ী ফলমূল-এর মধ্যে। (তাদেরকে বলা হবে) তোমরা যে আমল করতে তার প্রতিদানস্বরূপ তৃপ্তির সাথে পানাহার কর।” (সূরা মুরসালাত : ৪১-৪৩)

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : নিশ্চয় জান্নাতে একটি বৃক্ষ রয়েছে, আরোহী যার ছায়া তলে একশত বছর ভ্রমণ করেও শেষ করতে পারবে না। (সহীহ বুখারী)

উপকারিতা ২০ : তাকওয়ার ফলে মুত্তাকীরা আখিরাতের মহাভীতির কারণে পেরেশান হবে না। তাদের সাথে ফিরিশতারা সাক্ষাত করবে । আল্লাহ বলেন : “শুনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই, আর তারা পেরেশানও হবে না। যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করত। তাদের জন্যই সুসংবাদ দুনিয়াবি জীবনে এবং আখিরাতে।” সুরা ইউনুস : ৬২-৬৪)।

“মহাভীতি তাদেরকে পেরেশান করবে না। আর ফিরিশতারা তাদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলবে, এটাই তোমাদের সেই দিন, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল।” (সূরা আম্বিয়া : ১০৩)

উপকারিতা ২১: আখিরাতে মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে চমৎকার ঘর । আল্লাহ তাআলা বলেন : “আর নিশ্চয় আখিরাতের আবাস উত্তম এবং মুত্তাকীদের আবাস কতই না উত্তম!” (সূরা নাহাল : ৩০)

উপকারিতা ২২ : আখিরাতে মুত্তাকীদের তাকওয়ার কারণে তাদের নেকি ও প্রতিদান বহুগুণ বর্ধিত করা হবে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ

“হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আন, তিনি স্বীয় রহমতে তোমাদেরকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন, আর তোমাদেরকে নূর দেবেন যার সাহায্যে তোমরা চলতে পারবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।” (সূরা হাদীদ : ২৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন