hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাকওয়া

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

তাকওয়া কী?
ভাষাগতভাবে তাকওয়া কথাটার অর্থ হচ্ছে : ধৈর্য; ভয় ও নিবৃত্তি; পরিহার করে চলা। কিন্তু ইসলাম ধর্মে এর অর্থটা ভিন্ন মাত্রার । সেখানে তাকওয়া হলো হৃদয়ের এমন একটা অবস্থা যেখানে আল্লাহর স্মরণ সদা উপস্থিত থাকে, যা তাকে আমলে সলেহা (সৎকাজ) করতে উৎসাহিত করে এবং একই সংগে আমলে সাইয়েআহ (অসৎকাজ) করতে নিষেধ করে। তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর রোষ ও শাস্তির বিরুদ্ধে ঢালস্বরূপ।

আল্লাহ বলেন : হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে যথার্থভাবে ভয় কর, এবং তোমরা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান, ৩ : ১০২)

এই আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইবনে মাসুদ রাদিআল্লাহু আনহু বলেছেন যেএই নির্দেশের অর্থ হলো :

(ক) আল্লাহকে মানতে হবে;

(খ) তাঁর অবাধ্য হওয়া চলবে না;

(গ) সর্বদা তাঁকে স্মরণে রাখতে হবে, তাঁকে ভুললে চলবে না;

(ঘ) তাঁর শুকরিয়া আদায় করতে হবে, তাঁর প্রতি অকৃতজ্ঞ হওয়া চলবে না।

তাক ইবনে হাবীদ (একজন তাবেঈ) বলেছেনঃ তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য, তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহর অবাধ্যতা পরিত্যাগ করা। (সহীহ)

[সূত্র শাইখ আল-আলবানী, ইবনে আবি শাইবাহ রচিত কিতাবুল ঈমান থেকে]

আল্লাহর দৃষ্টিতে তাকওয়াই হচ্ছে বান্দার আনুগত্য বিচারের একমাত্র মাপকাঠি/ মানদণ্ড (criterion). কুরআনে আল্লাহ বলেন:

“হে মানুষ! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সংগে পরিচিত হতে পার। তোমাদের কাছে আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে অধিক মুত্তাকী। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন।” (সূরা হুজুরাত, ৪৯ : ১৩)

মানুষে মানুষে জাতিগত, বর্ণগত, শ্ৰেণীগত সব ভেদাভেদ আল্লাহ দূর করে দিয়েছেন, ধার্য করেছেন একটি মাত্র মানদণ্ড উৎকৃষ্টতা বিচারের, আর সেটা হলো মানুষের তাকওয়া। রসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সকল শিক্ষার মূল কথাই ছিল তাকওয়া। যখনি তিনি তাঁর কোন সাহাবীকে কোন সামরিক অভিযানে পাঠাতেন তখনি তিনি তাকে তাকওয়ার কথা সদা স্মরণে রাখতে নির্দেশ দিতেন, সেই সৈন্যবাহিনীকেও ঐ একই উপদেশ দিতেন।

রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পরবর্তী ইসলামের নেতাগণও একইভাবে তাকওয়ার অনুসারী ছিলেন। খলিফা উমর ইবনে খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু তাঁর পুত্র আবদুল্লাহকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন : “অবশ্যই আমি তোমাকে মহান। আল্লাহর তাকওয়া স্মরণে রাখতে নির্দেশ দিচ্ছি কারণ যেকেউ আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তাকে রক্ষা করেন; যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেয়, আল্লাহ তাকে। পুরস্কৃত করেন; যেকেউ আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তিনি তার তাকওয়া বৃদ্ধি করেন।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন