hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাকওয়া

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৮০
দ্বীন প্রতিষ্ঠার মুভমেন্টে শরীক না হবার পরিণাম
সাধারণত এ দেশের দ্বীনদার ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ দ্বীন প্রতিষ্ঠার কার্যক্রমকে তাকওয়া-পরহেজগারীর বা দ্বীনদারীর বহির্ভূত কাজ মনে। করে থাকেন। অথচ যেখানে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা নেই, যেখানে আল্লাহর আইনের ভিত্তিতে শাসন চলে না, সমাজের কাজকর্ম চলে না, বিচার ফয়সালা হয় না সেখানে তাকওয়ার ন্যূনতম দাবিও পূরণ করা সম্ভব হয় না। শত চেষ্টা। করেও, মনের ষোলআনা আন্তরিকতা সত্ত্বেও দ্বীনদারী রক্ষা করা যায় না এবং তাকওয়ার দাবি পূরণ করা সম্ভব হয় না। এমতাবস্থায় কোনো এক পর্যায়ে দ্বীন বিরোধী পরিবেশের সাথে এ দ্বীনদার লোকেরা মনের অজান্তেই পুরোপুরি আপোষ করে ফেলতে বাধ্য হন। যার ফলশ্রুতিতে ঈমান শূন্যের কোঠায় পৌঁছে। যাবার উপক্রম হয়। আল্লাহর রসূলের ঘোষণার আলোকে এ প্রতিকূল ও দ্বীন বিরোধী পরিবেশের মোকাবেলায় যারা ক্ষমতা প্রয়োগের যোগ্যতার অধিকারী তারাই প্রথম সারির ঈমানদার। আর যারা মৌখিক প্রতিবাদে সক্ষম তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর ঈমানদার । আর যারা মনে মনে ঘৃণা করে তারা হলো দূর্বলতম ঈমানদার । রসূল (ﷺ) -এর উল্লেখিত ঘোষণায় সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে আল্লাহর নাফরমানীর পর্যায়ে পড়ে এমন কাজের প্রতি যার মনে ঘৃণাটুকুও নেই তার মধ্যে ঈমান আছে এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণই থাকতে পারে না। আরো বাস্তব কথা হলো প্রতিষ্ঠিত অনৈইসলামী সমাজ পরিবর্তনের চিন্তা-চেতনা যাদের মনে নেই, এ কাজে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে যারা অপারগ তাদের মনের ঘৃণাটুকুও কোনো এক পর্যায়ে নিঃশেষ হয়ে যায় । অতএব দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক না হওয়ার ব্যক্তিগত পরিণাম ঈমানের দাবি পূরণে ব্যর্থতা। আর এ অবস্থায় এক পর্যায়ে ঈমানের ন্যূনতম পুঁজিটুকুও হারাবার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক না হবার আরো একটি ভয়াবহ পরিণাম রয়েছে। তাহলো দুনিয়াতেই আল্লাহর গযবের আশঙ্কা । কোনো সমাজে আল্লাহর নাফরমানী যদি ব্যাপকতা লাভ করে আর সেখানে সংস্কার, সংশোধন ও পরিবর্তনের কোনো প্রচেষ্টা না থাকে, তাহলে আল্লাহর চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী আল্লাহর গজব আসে। অতীতের নবী-রসূলগণের দাওয়াত অস্বীকারকারী অনেক জাতিকেই তো আল্লাহ তাআলা সমূলে ধবংস করে দিয়েছেন। তাই অবাধে আল্লাহর নাফরমানীর সয়লাব বয়ে যাবে এটাও আল্লাহ সহ্য করবেন না। এ নাফরমানী ব্যাপক হলে মহামারী, দুর্ভিক্ষ, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, পারস্পরিক মারামারি, খুন-খারাবি তথা গৃহযুদ্ধের আকারে আল্লাহর সেই গজব উম্মাতের উপরে আসবে। এমন সমাজে ব্যক্তিগতভাবে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল লোক। থাকলেও সে গজব থেকে রেহাই নেই ।

এ পর্যায়ে আল্লাহর শেষ নবী অতীত যুগের ইতিহাস থেকে একটি ঘটনা বলে তার উম্মাতকে সতর্ক করেছেন। সেই ঘটনা হলো- কোনো একটি জনপদের লোকদের নাফরমানীমূলক আচরণের কারণে আল্লাহ তা'আলা উক্ত জনপদ ধবংস করার জন্য নির্দিষ্ট ফিরিশতাকে নির্দেশ দিলেন। ফিরিশতাদের পক্ষ থেকে বলা হলো, হে আল্লাহ! উক্ত জনপদে তো একজন বুজুর্গ লোক আছে। তবুও কি ঐ এলাকা ধবংস করতে হবে? আল্লাহ তা'আলা বললেন, একথা জেনেই তো আমি নির্দেশ দিয়েছি। ঐ বুজুর্গ লোকটি থাকা সত্ত্বেও ঐ জনপদকে ধবংস করতে হবে এবং ঐ লোকটি সহই ধবংস করতে হবে। যার ব্যক্তিগত ইবাদতবন্দেগী জনপদের লোকদের নাফরমানীমূলক কাজের ব্যাপারে তার মনে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। ব্যক্তিগতভাবে বন্দেগীতে মশগুল থাকা সত্ত্বেও নাফরমানীতে ভরপুর ঐ সমাজ পরিবর্তনের কোনো চিন্তা-ভাবনাই সে করেনি।

সত্য প্রতিষ্ঠায় ডা. জাকির নায়েক ও নওমুসলিমগণ এখন সারা পৃথিবী-ই ডা. জাকির নায়েককে চেনে। তিনি এই যুগের একজন মুজাহিদ। তিনি একা নন তার সাথে রয়েছেন আরো একদল মুজাহিদ যারা নওমুসলিম (Converted)। তার পিস টিভি সারা পৃথিবীর ঘরে ঘরে সঠিক ইসলামের ম্যাসেজ পৌছে দিচ্ছে। আল্লাহ এই আধুনিক টেকনোলজির যুগে ১২০ কোটি হিন্দুর মাঝে পাঠিয়েছেন একজন দা-ঈকে যিনি নির্দিধায় দ্বীনের দাওয়াতী কাজ করে যাচ্ছেন এবং তার প্রচারে প্রতিদিন হাজার হাজার অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করছেন। যারা ইসলাম গ্রহণ করছেন তাদের মধ্যে বেশীরভাগই বুঝে ইসলাম গ্রহণ করছেন। তারা আল-কুরআন পড়েছেন এবং বুঝেছেন, তারা রসূল (ﷺ) -এর জীবনী ও সাহাবাদের জীবনী পড়েছেন এবং সেই অনুযায়ী নিজেদের জীবনকে সাজিয়েছেন। তারা সরাসরি আল-কুরআনে যা বলা হয়েছে। এবং নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) সাহাবাদের মতো করে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করছেন। তাদের কাছে ইসলামের প্রকৃত বুঝ হচ্ছে আল-কুরআন ও সুন্নাহ। নবী (ﷺ) এবং সাহাবা (রা.)-গণ জীবনে যা করেছেন তাই তারা তাদের জীবনে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে যারা ওয়েষ্টে দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রথম সারিতে রয়েছেন এই নওমুসলিমগণ। আর এই দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করতে গিয়ে তারা পদে পদে নানারকম বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন। কেউ কেউ নিজ দেশ থেকেও বিতারিত হচ্ছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন