hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাকওয়া

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৬৮
১১শ অধ্যায় : তাকওয়াবানদের পরিচয় আল কুরআনে তাকওয়াবানদের বিভিন্ন স্তর
নিয়মিত তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে ঈমানের গভীরতা বৃদ্ধি পায় এবং ঈমান মজবুত হয়। এভাবে দিন-দিন ঈমানের গভীরতা বৃদ্ধির সাথে-সাথে মহান আল্লাহ পাকের সাথে সম্পর্কও ঘনিষ্ট হয়। নিচের পিরামিডের উদাহরণের মাধ্যমে তাকওয়াবানদের বিভিন্ন স্তর দেখানো হয়েছে।

আল্লাহর বান্দাদের স্তর

মুমিন

মুসলিম

মুত্তাকী

মুহসিন

১) মু'মিন : একজন মানুষ যখন ৬টি বিষয়ের উপর ঈমান (বিশ্বাস) আনে, এবং তাতে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হয় তখন তাকে বলা হয় মু'মিন। যেমন :

১) আল্লাহতে বিশ্বাস

২) ফিরিশতাগণে বিশ্বাস

৩) আসমানী কিতাবে বিশ্বাস

৪) নবী এবং রসূলদের উপর বিশ্বাস

৫) পরকাল এবং বিচার দিবসে বিশ্বাস এবং

৬) তকদীরে বিশ্বাস।

কোন কোন স্কলারের গবেষণায় প্রথমে মুসলিম এবং দ্বিতীয় মু'মিন। তবে আমাদের এই আলোচনায় আগে এবং পরে মূল বিষয় না, এখানে তাকওয়ার গভীরতা বুঝানোর জন্য এই ধাপগুলো দেখানো হয়েছে।

২) মুসলিম : যারা ঈমান আনার পর অর্থাৎ মু'মিন হওয়ার পর মহান আল্লাহ তা'আলার সমস্ত ফরয হুকুমগুলো মেনে চলে তাদেরকে মুসলিম বলা হয় । যেমন : সূরা আলে ইমরানের ১০২ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর, তাকে যেরূপ ভয় করা উচিত। তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।”

৩) মুস্তাকী : যারা পরিপূর্ণভাবে মু'মিন ও মুসলিম হওয়ার পর তার প্রত্যেক দিনের প্রতিটি কাজকর্ম তাকওয়ার সাথে করবে অথাৎ প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহকে ভয় করে চলবে এবং যা করবে তা শুধু মহান আল্লাহর জন্যই করবে সে মুত্তাকী হতে পারবে । ঈমানের শাখা-প্রশাখাগুলো সত্যিকার অর্থে বাস্তবে করে দেখাতে হবে। এই বইয়ের প্রথম দিকে মুত্তাকীদের চারিত্রিক গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই শ্রেণীর লোকজনদেরকে সিদ্দিকিনও বলা হয় । যেমন আমরা যদি আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু এর জীবনী পড়ি তাহলে আমরা জানতে পারি রসূল (ﷺ) তাঁকে সিদ্দিক উপাধি দিয়েছেন।

৪) মুহসিন : এটা হচ্ছে তাকওয়াবানদের সর্বোচ্চ স্তর। ধাপে ধাপে মু'মিন, মুসলিম এবং মুত্তাকী হওয়ার পর এবার তাকওয়ার পরীক্ষার সর্বোচ্চ স্তর যা মহান আল্লাহ তাআলার সাথে খুব গভীর সম্পর্ক স্থাপন বা আল্লাহ তাআলার খুব কাছাকাছি পৌছার সুযোগ করে দেয় তা হলো এই স্তর (মুহসিন)। আর তা একমাত্র উন্নত ও বিশুদ্ধ তাকওয়ার মাধ্যমেই সম্ভব । পূর্বে আমরা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর তাকওয়ার পরীক্ষাগুলো দেখেছি। যেমন :

১) আগুনের কুন্ডে নিক্ষিপ্ত করা,

২) নবজাতক শিশু সন্তানকে তার মাসহ মরুভূমির মধ্যে রেখে আসা, এবং

৩) নিজ হাতে নিজের সন্তানকে কুরবাণী করা ।

এই তিনটি তাকওয়ার পরীক্ষাতেই ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছেন। এ জন্যেই আল্লাহ তা'আলা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কে মুহসিন বলেছেন। তাহলে আমরা তাকওয়াবানদের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেলাম । আসুন, এবার আমরা নিজেদের তাকওয়া পরিমাপ করে দেখি আমাদের কার অবস্থান কোন স্তরে । আল্লাহর বান্দাদের এই চারটি ধাপ আল্লাহ কুরআনে এক সংগে কোথাও এভাবে উল্লেখ করেননি। ইসলামের স্কলারগণ বিভিন্ন আয়াত গবেষণা করে কুরআনের তাফসীরে তা ব্যখ্যা করেছেন। তাই এই বিষয়টা তাকওয়া বুঝার সুবিদার্থে আমরা সহজভাবে নেই এবং আকীদার সাথে কোন প্রকার conflict তৈরী না করি ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন