hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাকওয়া

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৩৯
অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দ্বীনের পথে খরচ করা
অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ আল্লাহর কাজে লাগালে কোন কাজে আসবে না এবং অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের যাকাত দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। বরং এ অর্থ বহন করা মানে জলন্ত অঙ্গার বহন করা। রসূল (ﷺ) বলেছেন, হারাম পথে সম্পদ উপার্জন করে বান্দা যদি তা দান করে দেয় আল্লাহ সে দান গ্রহণ করেন না। প্রয়োজন পূরণের জন্যে সে সম্পদ ব্যয় করলেও তাতেও কোন বরকত হয় না । সে ব্যক্তি যদি সে সম্পদ রেখে ইন্তিকাল করে তা জাহান্নামের সফরে তার পাথেয় হবে। আল্লাহ অন্যায় দিয়ে অন্যায়কে মিটান না। বরং তিনি নেক কাজ দিয়ে অন্যায়কে মিটিয়ে থাকেন। নিশ্চয়ই মন্দ মন্দকে দূর করতে পারে না।

একটি বাস্তব উদাহরণ :

আমি যদি বলি যে, আমি লটারী খেলি এজন্য যে, এতে যদি কোটি টাকা পাই তাহলে গরিবদের জন্য হসপিটাল বানাবো, এতিমখানা বানাবো, স্কুল বানাবো ইত্যাদি। কিন্তু মহান আল্লাহ এই ধরণের কাজ করতে কোথাও বলেননি। অর্থাৎ অবৈধভাবে আয় করে সেই টাকা সদাকা করা নিষেধ।

কার জন্য এই এতো কষ্ট? আমি কার জন্য এই এতো কষ্ট করছি? কার জন্য এই গাড়ি, বাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স করছি? মনে রাখতে হবে যাদের জন্য আমি আজ এই অবৈধ উপায়ের আশ্রয় নিচ্ছি তারাই একদিন আখিরাতের ময়দানে। আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং বলবে, আমরা তো তাকে এভাবে আয় করতে বলিনি। সূরা মুনাফিকুন-এর ৯ নং আয়াতে আল্লাহ সতর্ক করে বলেন:

“মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন করে না দেয় যারা উদাসীন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত”।

আলাহ আরো বলেন : “কোন বোঝা বহনকারী অন্য কোন লোকের বোঝা বহন করবে না। মানুষের জন্য তাই যার জন্য সে চেষ্টা করেছে। তার চেষ্টা-প্রচেষ্টা খুব শীঘ্রই দেখানো হবে।” (সূরা আন নাজম, ৫৩ : ৩৮-৪০)

আমরা এই একটা বিষয়ে নিজের নফসের কাছে খুব দুর্বল । খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে যে লেনদেনে পরিষ্কার। তাই রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে লেনদেনে ভাল তার চরিত্র ভাল । এখানেও সব কিছুর মূলে আল্লাহভীতি অর্থাৎ এই বিষয়ে নিজেকে রক্ষা করার একমাত্র ঔষধ হচ্ছে তাকওয়া অবলম্বন করা, তাকওয়া ছাড়া খুব কম লোককেই এই বিষয়ে ঠেকিয়ে রাখা যাবে । সে শিক্ষিত হোক আর অশিক্ষিত হোক, যখনি সুযোগ পাবে তখনি সে অবৈধ আয়ের দিকে হাত বাড়াবে । রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন : “মানুষ বলে বেড়ায় আমার সম্পদ! আমার সম্পদ! কিন্তু হে আদমসন্তান, তোমার সম্পদ শুধু সেটুকুই যা তুমি খেয়ে-পড়ে ভোগ করে গেছ, আর যা তুমি আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে [আখিরাতের পূজি হিসেবে] অগ্রীম পাঠিয়েছ”। (সহীহ মুসলিম)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন