hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাকওয়া

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৫২
তাকওয়ার ক্ষেত্রে তাওহীদ ও শিরক
ইসলামের সব নিয়ম-কানুন চর্চা করলেও কোন মুসলিম যদি তাওহীদের মূল সূত্রাবলী না বুঝেন অথবা না মানেন তবে তিনি ইসলামী জীবন-বিধানে পূর্ণভাবে প্রবেশ করেছেন বলা যাবে না। আর এভাবেই তাওহীদ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে বর্তমানে বহু মুসলিম কুরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত শরীয়াহ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। তাওহীদ ও শিরক এবং সুন্নাত ও বিদ’আত এই চারটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। শিরক তাওহীদের বিপরীত (Negation) আর বিদ’আত সুন্নাতের বিপরীত। শিরক হলো “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ” এই কালিমার প্রথম অংশের অস্বীকৃতি। আর বিদ’আত হচ্ছে এই কালিমার শেষাংশের বিপরীত এবং অন্তর থেকে তার অস্বীকৃতি।

তাওহীদ কী?

তাওহীদ’ মানে আল্লাহর নির্ভেজাল একত্ব। আল্লাহর এ একত্ব সার্বিক, পূর্ণাঙ্গ এবং সর্বাত্মক। এ দৃষ্টিতে আল্লাহ শুধু সৃষ্টিকর্তাই নন তিনি। একমাত্র পালনকর্তা, মালিক, রিযিকদাতা, রক্ষাকর্তা ও আইন-বিধানদাতাও বটে। অতএব মানুষ ভয় করবে কেবল আল্লাহকে, ইবাদত-বন্দেগী ও দাসত্ব করবে একমাত্র আল্লাহর । বাস্তব চিত্র : বাস্তবে আজ মুসলিম সমাজে আল্লাহকে এক ও অনন্য বলে সাধারণভাবে স্বীকার করা হয় বটে। কিন্তু কার্যত দেখা যায়, আল্লাহর উলুহিয়াতী (ইবাদত) তাওহীদের প্রতি যদিও বিশ্বাস রয়েছে কিন্তু তাঁর রবুবিয়াতের (প্রভুত্ব) তাওহীদ স্বীকার করা হচ্ছে না। মুখে স্বীকার করলেও বাস্ত বে রব হিসেবে মেনে নেয়া হচ্ছে আরো অনেক শক্তিকে। আর এটাই হচ্ছে। শিরক। শব্দগত আকীদা হিসেবে যদিও আল্লাহকে-ই রিযিকদাতা, জীবনদাতা, মৃত্যুদাতা, সৃষ্টিকর্তা, প্রভাবশালী, কর্তৃত্বসম্পন্ন, বিশ্বব্যবস্থাপক এবং রব বলে স্বীকার করা হয়, কিন্তু এ শ্রেণীর লোকেরাই মৃত ‘বুযুর্গ’ (?) লোকদের নিকট প্রার্থনা করে, আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদেরই ভয় করে চলে, তাদেরই নিকট থেকে কোনো কিছু পেতে আশা পোষণ করে। বিপদে পড়লে তাদের নিকটই নিস্কৃতি প্রত্যাশা করে, তাদের নিকটই সকল উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। এক শ্রেণীর লোকেরা মনে করে ? এরা অলৌকিকভাবে মানুষের দু’আ শুনতে ও কবুল করতে পারে, সাহায্য করতে পারে, ফায়েয দিতে পারে । ভালমন্দ করাতে ও ঘটাতে পারে। এই উদ্দেশ্যে তাদের সন্তোষ কামনা করে। আর তাদের সন্তোষ বিধানের জন্যেই তাদের উদ্দেশ্যে মানত মানে, পশু জবাই করে, মরার পর তাঁদের কবরের ওপর সিজদায় মাথা লুটিয়ে দেয়, নিজেদের ধন-সম্পদের একটা অংশ তাদের জন্যে ব্যয় করা কর্তব্য মনে করে। আর এসব কারণেই দেখা যায়, এ শ্রেণীর লোকদের কবরকে নানাভাবে ইজ্জত করা হচ্ছে, বহু অর্থ খরচ করে কবরের ওপর পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে দেশ-দেশান্তর সফর করা হয়। এক নির্দিষ্ট দিনে ও সময়ে চারিদিক থেকে তাদের ভক্তেরা এসে মিলিত হয়। ঠিক যেমন মুশরিক জাতিগুলো গমন করে তাদের ধর্মীয় তীর্থভূমে । ইসলামে তাওহীদী আকীদার দৃষ্টিতে আল্লাহ ছাড়া আর কারো নিকট দু'আ (প্রার্থনা) করা বা আর কাউকে সম্বোধন করে দু’আ করা সুস্পষ্ট শিরক। ইসলামে তা স্পষ্ট ভাষায় নিষিদ্ধ। কুরআনের স্পষ্ট ঘোষণা হলো :

“আল্লাহ ব্যতীত তোমরা যাকে ডাকছো তারা তোমাদের সাহায্য করতে সক্ষম নয়। বরং নিজের সাহায্যেও অক্ষম।” (সূরা আল আরাফ, ৭: ১৯৭)

“কোনো দুঃখ বা বিপদ যদি তোমাকে গ্রাস করে থাকে তবে তা (আল্লাহর মজীতেই হয়েছে মনে করতে হবে এবং তা দূর করার কেউ নেই একমাত্র আল্লাহ ছাড়া। এমনিভাবে তুমি যদি কোন কল্যাণ লাভ করে থাকো তবে তিনিই তো সর্বশক্তিমান।” (সূরা আল আনআম, ৬: ১৭)

“আল্লাহ যদি তোমাকে কোন ক্ষতি বা বিপদ দেন, তবে তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ-ই দূর করতে পারবে না। আর তিনিই যদি তোমার প্রতি কোন কল্যাণ দান করতে ইচ্ছা করেন, তাহলে দানকে প্রত্যাহার করতে পারে এমন কেউ নেই। তবে তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে চান কল্যাণ দেন, তিনিই ক্ষমা দানকারী, করুণাময়।” (সূরা ইউনুস, ১০: ১০৭)।

“আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা আর যারই নিকট দু’আ কর, তাদের কেউই একবিন্দু জিনিসের মালিক নয়। তা সত্ত্বেও যদি তোমরা তাদেরই ডাক, তাদের নিকটই দু’আ কর, তবে জেনে রাখ যে তারা তো তোমাদের ডাক শুনতেও পায় না।” (সূরা ফাতির, ৩৫: ১৩-১৪ )

আর তারা তাঁর (আল্লাহর) পরিবর্তে ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে অন্যদেরকে যারা কিছুই সৃষ্টি করে না, বরং ওরা নিজেরাই সৃষ্ট এবং ওরা নিজেদের অপকার অথবা উপকার কিছুই করার ক্ষমতা রাখেনা, এবং মৃত্যু, জীবন ও পুনরূত্থানের উপরও কোন ক্ষমতা রাখে না। (সূরা আল ফুরকান, ২৫: ৩)

“সমস্ত গায়েবের চাবিকাঠি তাঁরই (আল্লাহর) নিকট, তিনি ছাড়া আর কেউ তা জানে না।” (সূরা আল আনআম, ৬: ৫৯)।

“ (হে রসূল) বল ও আল্লাহ ব্যতীত কেউই আকাশ ও পৃথিবীতে গায়েব বা অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না।” (সূরা আন নামল, ২৭: ৬৫)

শিরক কী?

শিরক হলো অংশীদারিতৃ; শরীক হলো অংশীদার। ইসলামের পরিভাষায় শিরক হচ্ছে আল্লাহর নামের সাথে, আল্লাহর গুণের সাথে, আল্লাহর কাজের সাথে, আল্লাহর সত্ত্বার সাথে অথবা আল্লাহর ইবাদতে অন্য কাউকে অংশীদার করা, তুলনা করা অথবা আল্লাহর সমকক্ষ বানানো। আল্লাহ বলেনঃ সার্বভৌমত্বে তাঁর কোন শরীক নাই। (সূরা আল ফুরকান, ২৫: ২)

যে সব মুসলিম রসূল (ﷺ) -এর কাছে প্রার্থনা করে অথবা সূফীদের বিভিন্ন আউলিয়া এবং পীর-বুজুর্গের কাছে প্রার্থনা করে এই বিশ্বাসে যে, এরা তাদের প্রার্থনায় সাড়া দিতে পারেন, সেই সব মুসলিম শিরক আল-আকবর করে । শিরক-এর পরিণাম জাহান্নাম এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন : “আল্লাহর সাথে শিরক করলে তিনি তা কখনও ক্ষমা করবেন না। শিরক ছাড়া অন্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। যে কেউ আল্লাহর শরীক করে সে এক মহাপাপ করে।” (সূরা আন নিসা, ৪: ৪৮, ১১৬) পীরের প্ৰতি ভয় না আল্লাহর প্রতি ভয় - একটি বাস্তব উদাহরণ তরিকতের অনেক ভাই আছেন যারা পীরের মুরিদ এবং সরাসরি কবিরা গুনাহর সাথে জড়িত অর্থাৎ হারাম সুদের সাথে জড়িত। যেমন অনেকেই সুদে বাড়ি কিনে তাতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন এবং ঐ সুদের বাড়িতে বসেই মোরাকাবা (আধ্যাতিক ধ্যান) আর যিকর করে কলব পরিষ্কার করছেন।

এখন প্রশ্ন :

সূরা বাকারার ২৭৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন : “আল্লাহ ব্যবসাকে করেছেন হালাল এবং সুদকে করেছেন হারাম।”

আবার সূরা বাকারার ৪৪ নং আয়াতে আরো বলছেন যে, “তোমরা মানুষকে ভাল কাজের আদেশ করো কিন্তু নিজের জীবন সংশোধনের ব্যাপারে উদাসীন থাক অথচ তোমরা কুরআন পড়। তোমরা কি চিন্তা কর না?”

দেখা যায় এই তরিকতের ভাইরা অনেক ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর চেয়ে তাদের পীরকে বেশী মান্য করে থাকেন। যেমন : আল্লাহ কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে বলেছেন সুদ একটি কবিরা গুনাহ এবং তা সুস্পষ্ট হারাম । তারপরেও তারা সূদের সাথে জড়িত কিন্তু এই মুহূর্তে যদি তাদের পীর সাহেব বলেন যে সুদ একটি জঘন্যতম অপরাধ, তোমরা তা ত্যাগ কর, তাহলে ঐ মুহূর্তে তরিকতের ভাইয়েরা সুদের বাড়ি বিক্রি করে দিবেন। কিন্তু আল্লাহ যে বারেবারে আল কুরআনে বলছেন সেটাকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এরকম অনেক বিষয় আছে। যা আল-কুরআনে সুস্পষ্ট নিষেধ যা তারা অনেকেই করে যাচ্ছেন কিন্তু যখনই পীর সাহেব তা থেকে বিরত থাকতে বলবেন শুধু মাত্র তখনই তারা বিরত থাকবেন। অনেক ক্ষেত্রেই তারা মহান আল্লাহর চেয়ে পীর সাহেবকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকেন যা সুস্পষ্ট শিরক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন