hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাকওয়া

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

তাকওয়ার কিছু Spiritual দিক
তাফসীর ইবনে কাসীর-এর এক ব্যাখ্যা অনুসারে অপছন্দনীয় বস্তু বা ব্যবহার পরিত্যাগ করা বা পরিহার করার নামই তাকওয়া। খলিফা উমর ইবনে খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু একবার [বিখ্যাত সাহাবী] উবাই ইবনে কাআব-কে তাকওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করলে উবাই বলেছিলেন : “আপনি কি কখনো কাঁটায় ভরা রাস্তা দিয়ে হেঁটেছেন?” উমর বললেন : “হ্যা, হেঁটেছি বৈকি!” উবাই তখন জানতে চাইলেন : “কী করে আপনি সেই রাস্তাটা অতিক্রম করেছিলেন?” উমর বললেনঃ “আমি আমার জামার হাত গুটিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করে পরিশ্রম করে রাস্তাটা পার হয়েছিলাম। তখন উবাই বললেন : “ঐ হচ্ছে তাকওয়া। সকল গুনাহের কাজ থেকে সর্বদা নিজেকে বাচিয়ে চলা এবং অক্ষত (বেগুনাহ নিষ্পপ) অবস্থায় যাত্রা শেষ করতে পারাটাই হচ্ছে তাকওয়া।”

সূরা বাকারা (২), আয়াত ৫ [যেখানে আল্লাহর নির্দেশিত পথের উল্লেখ রয়েছ] এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু বলেছেন : “মুত্তাকী হচ্ছে তারাই যারা শিরক থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলে এবং আল্লাহর আদেশ মেনে চলে।” তিনি আরো বলেছেন : “মুত্তাকী তারাই যারা আল্লাহর শাস্তিকে ভয় পায়, যারা জেনে শুনে সৎপথ থেকে বিচ্যুত হয় না। তারা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশা করে আল্লাহর বাণীতে বিশ্বাস রেখে ।”

তাকওয়া ইসলামের একটা বিশেষ ধরণের পরিভাষা (terminology) যার অর্থ নিয়ে আলেমগণ (ইসলামী চিন্তাবিদগণ) বহু আলোচনা করেছেন, বহু বইপত্রে তাঁদের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেছেন, এবং আলোচনা আজো অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে আমরা নূতন নূতন অর্থ খুঁজে পাচ্ছি এই “তাওয়া” কথাটির ।

একটা যুগ ছিল যখন তাকওয়া বলতে শুধুমাত্র আল্লাহর ভয় (আল্লাহভীতি), Fear of Allah-ই বোঝানো হতো। কোন কোন মহল আজো এই আল্লাহভীতি নিয়েই সন্তুষ্ট, এর বাইরে তারা অন্য অর্থ খুঁজতে নারাজ। অধিক আলোর সন্ধানী যারা তারা আরো এগিয়ে গিয়ে বলছেন যে না, তাকওয়া শুধু আল্লাহভীতিতেই সীমাবদ্ধ নয়, তাক্ওয়ার পরিধি আরো ব্যাপক যার আওতায় আল্লাহ কে সেই পরিচয় জানা এবং আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলাও অন্তর্ভুক্ত, আল্লাহভীতি তো অবশ্যই রয়েছে।

আর একদল চিন্তাবিদ এখানেও থামতে রাজী নন, কারণ তাঁরা খুঁজে বের করেছেন কুরআনের সেই আয়াত যেখানে ইরশাদ হয়েছে “বল (হে মুহাম্মাদ)! যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা আলে ইমরান : ৩১)

তাই তাঁরা তাকওয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আল্লাহকে ভালোবাসাকেও (Fear for Allah) যোগ করেছেন। ফলে অবস্থাটা এই দাঁড়ালো যে তাকওয়ার প্রাচীন সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে যে ও তাকওয়া হলো আল্লাহর পরিচয় জানা (তাঁর তাওহীদে ঈমান আনা)।

১) আল্লাহকে ভয় করা

২) আল্লাহর আদেশ-নিষেধ বিনা শর্তে মানা

৩) আল্লাহকে ভালোবাসা।

তাকওয়ার ক্ষেত্রটা বহু বিস্তৃত এবং এখন তাকওয়া কি বস্তু সেটা বোঝার অস্পষ্টতাটা দূর হয়ে গেছে। তাকওয়া আজ আর অবোধ্য কিছু নয়, তাই তাকওয়া অবলম্বন করার কাজটা সহজ হয়েছে। এখন বাকি শুধু অনশীলন, চেষ্টা। আমরা জানি সকল মানবশিশু তার ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে । অতঃপর তাদের বাবা-মা তাদেরকে খৃষ্টান অথবা ইহুদি, অথবা অগ্নিপূজক/মূর্তিপূজক ইত্যাদিতে পরিণত করে ।

এই “ফিতরত” কথাটার অর্থ হচ্ছেঃ এক আল্লাহর উপর ঈমান ও তাঁর ইবাদত। আল্লাহর তাওহীদে ঈমান এবং সেই অনুসারে জীবনযাপন। এই শিক্ষাটা শিশুটিকে দেয়ার গুরুদায়িত্ব মা-বাবার উপর বর্তায় কারণ সে তখন ভিন্নমুখী কোন চিন্তা বা ideology থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকে। সুতরাং মা-বাবাকেই শুরুতে তাকওয়াবান (মুত্তাকি) হতে হবে এটা একটা অনস্বীকার্য সত্য।

তাকওয়াবিহীন বান্দা কখনো তার ‘মনযিলে মকসূদ (আল্লাহর নৈকট্য ও ক্ষমা) হাসিল করতে পারে না কারণ সে তখন থাকে দিশাহারা । যে ঠিকানা জানা নেই। সেই ঠিকানায় যেমন পৌছা অসম্ভব, ঠিক তেমনি তাকওয়া নামক আলোটি ক্বলবের ভেতরে সর্বক্ষণ জ্বলতে না থাকলে চতুর্দিকে বাতিলের অন্ধকারের প্রভাব কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়, হাক্ বা সত্যের দেখা পাওয়াও সম্ভব নয়। একথা তো সত্য যে গভীর অন্ধকারে কেউ পথ চিনে চলতে পারে না কারণ তখন তার জন্যে উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব অথবা পশ্চিম কোন দিকই নির্ণয় করা সম্ভব হয় না, সব অগ্রগতি তখন রুদ্ধ হয়ে পড়ে।

তাকওয়া হচ্ছে আলো ও সাগরের তীরের সন্ধানকারী একটা Lighthouseও বটে যে গভীর অন্ধকার সমুদ্রে পথহারা নাবিককে শক্ত স্থলভাগের নিরাপত্তার সন্ধান দেয়। তাকওয়া একটা Compassও বটে কারণ সে বান্দাকে সদাসর্বদা আল্লাহ-অভিমুখী করে রাখে, শয়তান বা পরিবেশ তাকে বাতিলপন্থী কোন চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত করতে অথবা পথভ্রষ্ট করতে পারে না। তাকওয়া হচ্ছে মযবুত ঈমানের নিদর্শন। তাকওয়া হচ্ছে মাঝির হাতের হাল যার সঠিক চালনায় নৌকা তার গন্তব্যে পৌঁছে। হালবিহীন নৌকা দিশাহারা হয়ে নদীতে ভেসে বেড়ায় ।

তাকওয়া হচ্ছে একটা দুর্ভেদ্য বর্ম, a strong shield, যা বান্দাকে গুমরাহীর শত আক্রমণ ও কুপ্রভাব থেকে তাকে আত্মরক্ষার ক্ষমতা প্রদান করে। তাকওয়া বান্দাকে সিরাতুল মুস্তাকীমের উপর দৃঢ় পায়ে চলতে সাহায্য করে, সে তখন আল্লাহকে ছাড়া জগতের আর কোন শক্তিকেই ভয় পায় না বা অন্য কারো ইবাদতও করে না। তার মনে তখন অপার শান্তি (সুকুন) বিরাজ করে। আল্লাহকে স্মরণ রাখলে তবেই কলবের শান্তি-স্বস্তি লাভ করা যায়, আল্লাহ আমাদের এই আশ্বাস দিয়েছেন সূরা রা'দ (১৩), আয়াত ২৮] আল্লাহর নৈকট্য (কুরবাত) লাভ করতে হলে তাকওয়ার কোন বিকল্প নেই এবং আল্লাহ এই আশ্বাসও দিয়েছেন যে মুত্তাকিরা থাকবে জান্নাতে [কুরআন ৩৮ ও ৪৯, ৫০; ১৫ : ৪৫, ৪৬]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন