hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

২১
কিভাবে রুগীরা পবিত্রতা হাসিল করবে
১। রুগীর উপর ওয়াজিব হচ্ছে, সে ছোট নাপাকী হতে পবিত্রতা অর্জন করবে ওযুর মাধ্যমে এবং বড় নাপাকী হতে পবিত্রতা হাসিল করবে গোসলের মাধ্যমে।

২। যদি পানি দিয়ে পবিত্রতা হাসিল করতে সে অসমর্থ হয়, পানির অভাবে, বা রোগ বৃদ্ধির ভয়ে, অথবা রোগ নিরাময়ে দেরী হতে পারে এই আশঙ্কায়, তখন সে তায়াম্মুম করবে।

৩। তায়াম্মুম করার পদ্ধতিঃ পবিত্র মাটিতে দু‘হাত দিয়ে একবার আঘাত করবে, তারপর তালু দিয়ে সম্পূর্ণ মুখমন্ডল একবার মসেহ করবে। এরপর এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের কনুইসহ মসেহ করবে, প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাত।

৪। যদি সে নিজে নিজে ওযূ করতে বা তায়াম্মুম করতে অসমর্থ হয়, তবে অন্য কেউ তাকে ওযু বা তায়াম্মুম করিয়ে দেবে।

৫। যদি তার ওযুর কোন অঙ্গ কাটা থাকে তবে সে উহা পানি দ্বারা ধৌত করবে। যদি পানিতে উহার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে হাত ভিজিয়ে তা ঐ স্থানে বুলাবে। যদি তাতেও তার ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে, তবে সে তায়াম্মুম করবে।

৬। যদি তার ওযুর কোন অঙ্গের উপর ব্যান্ডেজ বাঁধা থাকে, তবে সে উক্ত অঙ্গের উপর পানি দিয়ে মসেহ করবে, ধুবে না। তখন আর তায়াম্মুমের প্রয়োজন নাই। কারণ, ধৌত করার পরিবর্তে মসেহ করা হয়েছে।

৭। দেয়াল বা অন্য কোন পাক জায়গায় যেখানে ধুলাবালি লেগে আছে, সেখানে হাত মেরে তায়াম্মুম করা যায়। কিন্তু দেওয়ালে যদি তৈলাক্ত কোন পদার্থ থাকে তবে তাতে তায়াম্মুম করা যাবে না।

৮। যদি মাটিতে বা দেওয়ালে বা অন্যত্র তায়াম্মুম করার জন্য ধুলা না মিলে, তবে কোন পাত্রে বা রুমালে ধুলা নিয়ে তাতে হাত মেরে তায়াম্মুম করা যাবে।

৯। যদি কেউ এক ওয়াক্তের জন্যে তায়াম্মুম করে, তারপর পাক অবস্থায় অন্য ওয়াক্ত এসে যায় তবে প্রথম বারের তায়াম্মুমই যথেষ্ট। নূতন করে আর তায়াম্মুম করতে হবে না। কারণ সে তায়াম্মুমের দ্বারা পাক পবিত্র অবস্থায় আছে এবং এমন কোন ঘটনা ঘটেনি যে জন্য তা নষ্ট হয়ে গেছে।

১০। রুগীর উপর ওয়াজিব হচ্ছে নাপাকী হতে তার শরীরকে পবিত্র করা। যদি উহা করতে অসমর্থ হয় তবে ঐ অবস্থাতেই সালাত আদায় করবে। ঐ অবস্থার সালাত তার জন্য সহীহ হবে, নূতন করে আর আদায় করতে হবে না।

১১। রুগীর উপর ওয়াজিব হচ্ছে পাক কাপড় পরে সালাত আদায় করা। যদি পোশাকে নাপাকি লাগে তবে তাকে পাক করা তার উপর ওয়াজিব। অথবা অন্য কোন পাক পোশাক পরিধান করবে। যদি তাও সম্ভবপর না হয় তবে ঐ অবস্থাতেই সালাত আদায় করবে। একে আর পরে নতুন করে আদায় করতে হবে না।

১২। রুগীর উপর ওয়াজিব হচ্ছে কোন পাক স্থানে সালাত আদায় করা। যদি ঐ জায়গা নাপাক হয়ে যায় তবে তাকে ধৌত করা ওয়াজিব। অথবা পাক কোন জিনিসের উপর সালাত আদায় করতে হবে। যদি এগুলোর কোনটা সম্ভবপর না হয় তবে যে ভাবে আছে সেভাবেই সালাত আদায় করবে। এতেই তার সালাত সহীহ হবে, নতুন করে আর আদায় করতে হবে না।

১৩। রুগী কোন অবস্থাতে পবিত্রতা হাসিল করতে অসমর্থ হলেও ওয়াক্তের সালাত দেরী করে পড়বে না।

সাধ্যমত পাক হতে চেষ্টা করবে। তারপর নির্দিষ্ট ওয়াক্তেই সালাত আদায় করবে। এমনকি যদি তার শরীর, পোশাক বা সালাত আদায়ের স্থানে কোন নাপাকী থাকে যা দুরীভুত করতে সে অসমর্থ হয় তবুও।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন