hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৭১
তাওহীদের শ্রেণী বিভাগ ও তৎপর্য
প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলা রাসূলদের কেন প্রেরণ করেছিলেন?

উত্তরঃ আল্লাহ্ তাআলা তাদের প্রেরণ করেছিলেন একমাত্র তার ইবাদতের প্রতি দাওয়াত দিতে এবং তার সাথে যাবতীয় শিরক করা হতে বিরত থাকতে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

নিশ্চয় আমি প্রত্যেক উম্মতের নিকট রাসূলদের প্রেরণ করেছি এ জন্য যে, তারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাগুতদের (শয়তান) ইবাদত হতে বিরত থাকবে। (সূরা নাহাল ৩৬)

তাগুত হচ্ছে, মানুষ যাদের ইবাদত করে এবং আল্লাহকে ছেড়ে তার নিকটে দুআ করে এবং সে তাতে রাজী খুশি থাকে।

রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

والأنبياء إخوة ودينهم واحد ( متفق عليه )

আন্বিয়াগণ (আঃ) প্রত্যেকে একে অন্যের বৈমাত্রেয় ভাই। (সৎ ভাই), আর তাদের দ্বীনও এক। (বর্ণনায় বুখারি ও মুসীলিম)

অর্থাৎ প্রত্যেক রাসূলই আল্লাহর একত্ববাদের দিকে ডাকছেন।

প্রশ্নঃ আল্লাহ যে রব, তার একত্ববাদ কি?

উত্তরঃ উহা হল আল্লাহকে তার কাজে একক মনে করা। যেমন সৃষ্টি, মহা-জগত পরিচালনা করা, ব্যবস্থাপনাসহ ও অন্যান্য কার্যসমূহে তাকে একক বলে জানা।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তাআলার জন্য যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক (সূরা ফাতিহা ২)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

أنت رب السموات والأرض ( متفق عليه )

আপনি আসমানসমূহ ও পৃথিবীর প্রতিপালক। (বর্ণনায় বুখারি ও মুসলিম)

প্রশ্নঃ আল্লাহ যে উপাস্য তার একত্ববাদ কি?

উত্তরঃ তা হচ্ছে তার ইবাদতে একত্ববাদ প্রকাশ করা। যেমন দু’আ, বিপদে আপদে আল্লাহকে ডাকা আর তারই নামে যবেহ করা, কেবল তারই নামে নযর (মানত) মানা, তারই নিকট বিচার প্রার্থী হওয়া এবং তারই বিচার গ্রহণ করা, তারই জন্য সালাত আদায় করা সব কাজে তারই উপর আশা ভরসা করা, সব বিষয়ে তাকেই ভয় করা, সমস্ত কাজে তারই সাহয্য প্রার্থনা করা ইত্যাদি। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর তোমাদের মাবুদ এক। তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই। তিনি দয়ালু ও সবর্দা দয়াবান। (সূরা বাক্বারাহ,আয়াত-১৬৩)

রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

فليكن اول ما تدعوهم إليه شهادة أن لا أله إلا الله ( متفق عليه )

“সর্ব প্রথম যে কথার প্রতি তুমি তাদের দাওয়াত দিবে তা হলো কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। (বুখারী ও মুসলিম)

বুখারীর অন্য এক রেওয়ায়েতে আছেঃ তাদেরকে আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি দাওয়াত দিবে।

প্রশ্নঃ ইবাদত ও রব হওয়ার ব্যাপারে একত্ববাদের উদ্দেশ্য কি?

উত্তরঃ এর মূল উদ্দেশ্য হলো, মানুষ তাদের প্রতিপালক এবং মা’বুদের মহত্বের পরিচয় পেয়ে তাদের ইবাদতে একমাত্র তাকেই একক ভাবে গ্রহণ ও প্রচার করবে। আর সাথে সাথে তাদের চলার পথে সেই রবেরই আনুগত্য করবে যেন ঈমান তাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে গেথে যায়। মানুষ ভূ-পৃষ্ঠে তার উপরই আমল করবে, ফলে ইসলামী রাষ্ট্র গঠিত হবে।

প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলার সিফাত (গুণ) ও উত্তম নামসমূহের ক্ষেত্রে তাওহীদ কি?

উত্তরঃ উহা হচ্ছে ঐ সমস্ত গুণাবলীকে মেনে নেয়া যা আল্লাহ তাআলা নিজের সম্পর্কে তার কিতাবে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সহীহ হাদীসে বর্ণনা করেছেন। উহা যেমন ভাবে বলা হয়েছে সেভাবেই বিশ্বাস করতে হবে। কোন বিকৃত ব্যাখ্যা, উদাহরণ, তুলনা, অস্বীকার অথবা কোন স্বরূপ (নিজস্ব) কল্পনা ব্যতীত। যেমনঃ এসতোয়া (বসা), নযুল (অবতীর্ণ হওয়া), ইত্যাদি। উহাদের প্রতিটিই আল্লাহ্ তাআলার পরিপূর্ণতার সাথে সমঞ্জস্য পূর্ণ।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

তার মতো কেউ নয় এবং তিনি সমস্ত কিছু দেখেন ও শুনেন। (সূরা শুরা ১১)

রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

ينزل الله في كل ليلة إلى السماء الدنيا ( رواه مسلم )

আল্লাহ তাআলা প্রতি রাতে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ হন। (বর্ণনায় মুসলিম)

তিনি যে অবতরণ করেন তা তাঁর মহান সত্বার জন্য যেমন প্রযোজ্য সে অনুযায়ী। উহা তাঁর কোন সৃষ্টির সাথে তুলনীয় হতে পরে না।

প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলা কোথায় আছেন?

উত্তরঃ আল্লাহ তাআলা আসমানসমূহের উর্দ্ধে আরশের উপর আছেন। আল্লাহ তাআলা যেমন নিজেই বলেনঃ

(আরবি)

রহমান (আল্লাহ তাআলা) আরশের উপর আছেন। (সূরা ত্বাহা, ৫)

“উপরে” এবং “উচ্চে” আছেন যেমন বুখারী শরীফে তাবেয়ীনগণ হতে বর্ণিত হয়েছে। এর সত্যায়ন পাই আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের বর্ণিত হাদিসে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

إن الله كتب كتابا فهو عنده فوق العرش ( متفق عليه )

নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এক কিতাব লিখেছেন, আর উহা তাঁর নিকট আরশের উপর আছে। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

আল্লাহ যে আরশের উপর আছেন এ কথা যে ব্যক্তি অস্বীকার করলো সে যেন আল্লাহকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করলো। আর আল্লাহকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করাই কুফরী করা।

প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলা কি আমাদের সাথে সব জায়গায় আছেন?

উত্তরঃ আল্লাহ্ আমাদের সব অবস্থা সব সময় জানেন, শুনেন ও দেখেন। তিনি আছেন আমাদের দেখার মাধ্যমে এবং শুনার মাধ্যমে।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

তিনি (আল্লাহ) মুসা ও হারুনকে বললেন, তোমরা ভয় পেয় না, আমি তোমাদের সাথে আছি। তোমাদের কথা শুনি ও দেখি। (সূরা ত্বাহা, ৪৬)

إنكم تدعون سميع قريبا وهومعكم ( رواه مسلم )

নিশ্চয় তোমরা এমন সত্বাকে ডাকছ যিনি খুবই নিকটে তোমাদের কথা শুনেন এবং তিনি তোমাদের সাথে আছেন। অর্থাৎ ইলমের মাধ্যমে। (বর্ণনায় মুসলিম)

প্রশ্নঃ তাওহীদের উপকারিতা কি?

উত্তরঃ তাওহীদের উপকারিতা হল আখিরাতের চিরস্থায়ী আযাব হতে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়, আর দুনিয়াতে হিদায়াত প্রাপ্ত হওয়া এবং গুনাহখাতে মাফ হয়ে যাওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

যারা ঈমান আনবে এবং তার সাথে কোন জুলম (শিরক) মিশ্রিত করবে না তাদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তা এবং তারাই হচ্ছেন হিদায়াত প্রাপ্ত। (সূরা আন’আম ৮৩)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

حق العباد على الله أن لايعذب من لا يشرك به شيئا ك ( متفق عليه )

আল্লাহর উপর বান্দার হক হল এই যে, বান্দা কোন শিরক করবে না, তাহলে আল্লাহর তরফ থেকে তাকে কোন আযাব না দেয়া। (বর্ণনায় বুখারি ও মুসলিম)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন