hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

২২
রুগী কিভাবে সালাত আদায় করবে
১। রুগীর উপর ওয়াজিব হচ্ছে ফরজ সালাত দাড়িয়ে আদায় করা, যদিও তা ঝুকে আদায় করে বা কোন দেওয়ালে বা লাঠিতে ভর করে আদায় করতে হয়।

২। যদি কোন মতেই দাড়াতে সমর্থ না হয়, তবে যেন বসেই আদায় করে। তবে রুকু ও সিজদার সময় মাথা বেশী ঝুকাতে চেষ্টা করবে।

৩। যদি বসে ও পড়তে সমর্থ না হয়, তবে যেন শয্যায় কাত হয়ে কেবলামুখী হয়ে সালাত আদায় করে। ডান কাত উত্তম। যদি কোন ক্রমেই সে কেবলা মুখী হতে না পারে তবে যেদিকে মুখ করে সম্ভব সেদিকেই সালাত আদায় করবে। এতেই তার সালাত সহীহ হবে নতুন করে আর আদায় করতে হবে না।

৪। যদি কাত হয়ে সালাত আদায় করাও তার পক্ষে সম্ভব না হয় তবে চিৎ হয়ে শুয়ে কেবলার দিকে পা দিয়ে সালাত আদায় করবে। এই আবস্থায় উত্তম হচ্ছে মাথা কিছুটা উঁচু করে কেবলার দিকে ফেরা। যদি তার পা কেবলার দিকে ফিরান সম্ভবপর না হয়, তবে যেভাবে সম্ভব সেভাবেই যেন আদায় করে। এ সালাত আর নতুন করে আদায় করতে হবে না।

৫। রুগীর জন্য ওয়াজিব হচ্ছে সালাতের মধ্যে রুকু ও সিজদা করা। যদি সে তা করতে সমর্থ না হয় তবে মাথা দ্বারা ইশারা করে উহা আদায় করবে। সিজদার সময় মাথাকে বেশী নিচু করবে। যদি রুকু করতে সমর্থ হয় তবে তা করবে এবং সিজদা করবে ইশারাতে। যদি শুধু সিজদা করতে সমর্থ হয়, তবে তাই করবে এবং রুকু ইশারায় করবে। এই অবস্থায় কোন বালিশের উপর সিজদা করার প্রয়োজন নেই।

৬। যদি অবস্থা এমন হয় যে, রুকু ও সিজদাতে মাথা দিয়ে ইশারাও করতে না পারে, তবে যেন চোখ দিয়ে ইশারা করে। রুকুর সময় অল্প করে চক্ষু বন্ধ করবে আর সিজদার সময় বেশী করে চোখ বন্ধ করবে। কোন কোন রুগী আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে। তা সহীহ নয়। এই ব্যাপারে ক্বুরআন ও হদীসে কোন দলিল নেই। অথবা কোন আলেমের ফতোয়াও নেই এ ব্যাপারে।

৭। যদি মাথা দিয়ে বা চোখ দিয়ে ইশারা করতেও সে অসমর্থ হয় তবে সে অন্তরে অন্তরে সালাত আদায় করবে। তকবীর বলবে এবং সুরা পড়বে, রুকু সিজদাতে দাড়ান ও বসার নিয়ত করবে। কারণ, প্রত্যেকে তাই পাবে যা সে নিয়ত করবে।

৮। রুগীদের উপর ওয়জিব হচ্ছে, প্রতিটি সালাত সঠিক সময়ে আদায় করবে এবং সাথে সাথে যে সমস্ত ওয়াজিবসমূহ আছে তাও তার সাধ্যতম আদায় করতে চেষ্টা করবে। যদি তার জন্য প্রতিটি সালাত ওয়াক্ত মত আদায় করা কঠিন হয়ে দাড়ায়, তখন জোহর ও আসর এবং মাগরিব ও এশা আকত্র করে পড়বে। হয় আসরকে জোহরের সাথে এবং এশাকে মাগরিবের সাথে মিলিয়ে“জামা তাকদীম” পড়বে। অথবা জোহরকে আসরের সাথে পড়বে এবং মাগরিবকে এশার সাথে মিলিয়ে “জমা তাখীর ” পড়বে। যেটা তার জন্য সহজ সেটাই করবে। কিন্তু ফজরের সালাতের কোন জমা নেই আগে বা পরের সালাতের সাথে।

৯। যদি কোন রুগী চিকিৎসার জন্য তার এলাকার বাইরে সফরে থাকে তখন সে চার রাক‘আতের সালাত দুই রাক‘আত করে পড়বে (এশা, যোহর ও আসর) যতক্ষণ পর্যন্ত না তার দেশে বা শহরে ফেরত আসে। সেই সফরের সময় দীর্ঘ হোক বা অল্প দিনের জন্যই হোক। (শাইখ মহাম্মদ সালেহ আল-উসাইমিন)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন