hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৮৯
কোরআন হাদীস অনুযায়ী আমল করা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যত্র বলেনঃ

تركت فيكم أمرين لم تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله و سنة رسوله . رواه مالك )

আমি তোমাদের মাঝে দুইটা জিনিস রেখে যাচ্ছি। যদি তাদের আঁকড়ে ধর, তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। তা হল আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নাত। (বর্ণনায় মুয়াত্তা মালেক)

প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলা কোরআন কেন অবতীর্ণ করেছেন ?

উত্তরঃ আল্লাহ তাআলা কোরআন অতীর্ণ করেছেন, উহার মাধ্যে যা কিছু আছে তা অনুসরণ করার জন্য ও সে অনুযায়ী তা কর্মে বাস্তবায়ন করার জন্য। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের তরফ হতে যা অতীর্ণ হয়েছে তাকে অনুসরণ কর। (সূরা আ’রাফ, ৩)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোরআনকে তিলাওয়াত কর, আর সে অনুযায়ী কাজ কর। তার দ্বারা খাওয়া পরার ব্যবস্থা কর না। (বর্ণনায় আহমদ)

প্রশ্নঃ কোরআন মানুষের নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন জিনিস ব্যাখ্যা করেছে?

উত্তরঃ উহা হচ্ছে আল্লাহ তাআলার বর্ণনা। যিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করার জন্য। তিনিই একমাত্র ইবাদত পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। আর মুশরিকরা যে তাদের আউলিয়াদের মূর্তি বানিয়ে পূজা করে, মানুষেরা যেন তার বিরুদ্ধাচরণ করে।

আল্লাহ তাআলা তার রাসূলকে বলতে বলেনঃ

(আরবি)

হে নবী বলুন, নিশ্চয় আমি আমার রবকে ডাকি, আর তার সাথে অন্য কাউকে শরিক করি না। (সূরা জিন, ২০)

প্রশ্নঃ কেন আমরা কোরআনুল কারীম তিলাওয়াত করি ?

উত্তরঃ আমরা এ জন্য কোরআন পাঠ করি যাতে বুঝতে পারি, চিন্তাভাবনা করতে পারি এবং তার উপর আমল করতে পারি।

আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আমি আপনার নিকট যে কিতাবকে অতীর্ণ করেছি তা বরকতময়, যাতে করে মানুষেরা তার আয়াতসমূহকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে। আর বুদ্ধিমানগণ যেন উপদেশ গ্রহণ করে। (সুরা সোয়াদ, ২৯)

আলী (রাঃ) হতে দুর্বল সনদে বর্ণিত হয়েছে - যদিও অর্থের দিক দিয়ে সহীহ- তিনি বলেনঃ ওহে নিশ্চয় নানা ধরণের ফিৎনা হবে। বললামঃ এর থেকে বাঁচাঁর উপায় কি ? তিনি বললেনঃ আল্লহর কিতাব! তাতে আছে তোমাদের পূর্বের যুগের সংবাদ এবং পরের যুগের খবর। আর নিজেদের মধ্যে কিভাবে বিচার করবে তাও তাতে আছে। উহা কোন জিনিসকে নির্দিষ্ট করে। উহা কোন কবিতা কাহিনী নয়। কোন শক্তিশালী ব্যক্তিও যদি উহাকে পরিত্যাগ করে তবে আল্লাহ তাআলা তাকে ধ্বংস করবেন। যে ব্যক্তি কোরআনকে ত্যাগ করে অন্যত্র হিদায়েত খোজেঁ, আল্লাহ্ তাআলা তাকে গোমরাহ করবেন। উহাতে বর্ণিত হয়েছে আল্লাহ্ তাআলার দেয়া সঠিক পথ-নির্দেশ। উহা হচ্ছে হিকমতে পূর্ণ। উহাই হচ্ছে সঠিক পথ। উহার বিধান অনুযায়ী চললে নফসের গোমরাহি ও মুখের কথার ক্ষতি হতে বাঁচা যায়।

উহা পাঠ করে ওলামারা কখনও পূর্ণ তৃপ্ত হয় না, আকাংখা থেকেই যায়। বারে বারে তিলাওয়াত করলেও উহা পুরাতন হয় না। তার সুন্দর সুন্দর কথাগুলোর স্বাদ কখনও শেষ হয় না। উহা শ্রবণ করে জিনরা পর্যন্ত বলে উঠেঃ

(আরবি)

নিশ্চয় আমরা বড়ই আশ্চর্য্য কোরআন শ্রবণ করেছি। (সূরা জিন, ১)

কোরআন অনুযায়ী যে কথা বলবে, সে সত্যবাদী। যে উহা অনুযায়ী বিচার করবে, সে ন্যায় বিচারকারী। আর যে উহার উপর আমল করবে, সে উত্তম প্রতিদান পাবে। যে তাঁর দিকে ডাকবে, সে সঠিক রাস্তায় হিদায়েত পাবে।

প্রশ্নঃ কোরআন কি জীবিতদের জন্য, নাকি মৃতদের জন্য ?

উত্তরঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা কোরআনকে জীবিতদের জন্য নাযিল করেছেন যাতে তারা জীবিতাবস্থায় উহা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে সঠিক রাস্তায় চলা ও নেক আমল করতে পারে। উহা মৃতদের জন্য নয়। কারণ তাদের আমলসমূহ বন্ধ হয়ে যায় তাদের মৃত্যুর সাথে সাথেই। না তারা মৃত্যুর পর উহা পড়তে পারে, আর না পারে আমল করতে। অন্যরা তিলাওয়াত করলে তা তার নিকট পৌঁছাবে না, একমাত্র তার সন্তানের পাঠকরা ব্যতীত। কারণ সন্তান তার নিজের কষ্টার্জিত উপার্জন।

আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

যারা জীবিত তাদের যাতে ভয় প্রদর্শন করা যায়। আর কাফিরদের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তা ঘটেই। (সূরা ইয়াসিন, ৭০)

আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেনঃ

(আরবি)

মানুষ নিজে যা উপার্জন করেছে উহা ছাড়া কিছুই পাবে না। (সূরা নজম, ৩৯)

এই আয়াত হতে ইমাম শাফেয়ী (রঃ) হুকুম বের করেছেন যে, কুরআন তেলাওয়াত করে তার সাওয়াব মৃতদের জন্য বখশিস করে দিলে উহা তাদের কাছে পৌঁছবে না। কারণ উহা তার আমলও না উপার্জন। (তফসির ইবনে কাসীর)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

إذا مات الإنسان انقطع عمله إلا من ثلاث صدقة جارية أو علم ينتفع به أو ولد صالح يدعو له . رواه مسلم

যখন কেহ মারা যায় তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়, তিনটি ব্যতিক্রম ছাড়া। সদকায়ে জারিয়া, ঐ ইলম যার দ্বারা মানুষ দ্বীনি উপকার পায়, আর ঐ নেক সন্তান, যে তার জন্য দু’আ করবে। (বর্ণনায় মুসলিম)

আর কোন বিনিময় ছাড়া যে দু’আ বা সাদাকাহ্ মৃতদের জন্য করা হয়, তা উহাদের নিকট পৌছেঁনোর ব্যাপারে কোরআন ও হাদীস দ্বারা দলীল আছে। (তফসীর ইবনে কাসীর)

প্রশ্নঃ সহীহ হাদীসের উপর আমল করার হুকুম কি?

উত্তরঃ সহীহ হাদীসের উপর আমল করা ওয়াজিব। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা তোমাদের করতে বলেন তাকে আঁকড়ে ধর, আর যা করতে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থেক। (সূরা হাশর,৭)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين تمسكوا بها . رواه احمد

তোমদের উপর ওয়াজিব হচ্ছে আমার সুন্নাত ও খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নতকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরা। (বর্ণনায় আহমদ)

প্রশ্নঃ হাদীস ব্যতীত কোরআন কি একাই যথেষ্ট ?

উত্তরঃ হাদীস হল কোরআনের পরিপূরক। হাদীস ব্যতীত কোরআন একাই যথেষ্ট নয়। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর আমি আপনার নিকট এই কোরআনকে এ জন্য প্রেরণ করেছি যাতে তাকে মানুষের নিকট ব্যাখ্যা করতে পারেন ঐ সমস্ত কথা, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। যাতে করে তারা সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করতে পারে। (সূরা নাহাল, ৪৪)

প্রশ্নঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথার বিপরীতে কি আমরা কথা বলব?

উত্তরঃ না, তাদের কথার উপর আমরা কোন কথা বলব না। কারণ, আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের কথার উপর কথা বল না। (সূরা হুজরাত, ১)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

لاطاعة لمخلوق في معصية الخالق . رواه احمد

স্রষ্টার সাথে পাপের ব্যাপারে সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না। (বর্ণনায় আহমদ)

ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ আমার ভয় হয়, তোমাদের উপর আসমান হতে (আজাবের) পাথর বর্ষিত হবে। আমি বলছি, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আর তোমরা বল আবু বকর (রাঃ) ওমর (রাঃ) বলেছেন।

প্রশ্নঃ কোরআন ও হাদীস অনূযায়ী বিচার করার হুকুম কি ?

উত্তরঃ উহা হচ্ছে ওয়াজিব। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

না, তোমরা রবের কসম ! তারা কক্ষণই ঈমানদার হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের মধ্যে যে বিরোধ দেখা দেয়, তার বিচারের ভার তোমার উপর অর্পন না করে। তারপর তুমি যে বিচার করবে উহার ব্যাপারে অন্তরে কোন কষ্ট পাবে না এবং তাকে পরিপূর্ণ ভাবে গ্রহণ করবে। (সূরা নিসা, ৬৫)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

ومن لم تحكم ائمتهم بكتاب الله ويتخيروا مما انزل الله إلا جعل الله بأسهم بينهم . رواه ابن ماجة

যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের শাসকগণ আল্লাহর কিতাব দ্বারা বিচার করবে না এবং আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তাতে কম বেশী করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ তাআলা তাদের নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ লাগিয়ে রাখবেন। (বর্ণনায় ইবনে মাজাহ)

প্রশ্নঃ যদি আমাদের মধ্যে কোন ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দেয় তখন আমরা কি করব ?

উত্তরঃ তখন আমরা কোরআন ও সহীহ হদিসের দিকে প্রত্যাবর্তন করব। কারণ আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

যদি তোমরা কোন বিষয়ে মতবিরোধ কর তবে উহার বিচারের ভার আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের উপর ছেড়ে দাও, যদি তোমরা সত্যই আল্লাহ্ ও আখিরাতের উপর বিশ্বাস করে থাক। উহাই হচ্ছে উত্তম ও সুন্দর ব্যাখ্যা। (সূরা নিসা, ৫৯)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

تركت فيكم أمرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنة رسوله . رواه مالك

তোমাদের মধ্যে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যদি তাদের আকড়ে ধর, তবে কক্ষণই পথভ্রষ্ট হবে না। উহা হচ্ছে, আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত। (বর্ণনায় মুয়াত্তা ইমাম মালেক)

প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, শরীয়তের আদেশ ও নিষেধাবলী মান্য করা জরুরী নয়, তার সম্বন্ধে শরীয়তের হুকুম কি ?

উত্তরঃ তার হুকুম হল। সে কাফির, মুরতাদ। ইসলাম হতে সে বের হয়ে গেছে। কারণ, দাসত্ব একমাত্র আল্লাহর জন্য প্রযোজ্য। তার বুঝ পাওয়া যায় কালেমার স্বাক্ষীর মাধ্যে। আর বহ্যিকভাবে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে যখন পূর্ণভাবে আল্লাহর ইবাদত করা হয় তখন। এর মধ্যে আছেঃ আক্বীদার মূলনীতি সমূহ, ইবাদতের নিদের্শন সমূহ, শরীয়ত মত বিচার করা ইত্যাদি। আর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আল্লাহপাক প্রদত্ত নিয়ামাবলীকে মেনে চলতে হবে। আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ হুকুম ছাড়া অন্য কোন আইনের মাধ্যমে যদি হালাল হারাম সাব্যস্ত করা হয় তবে তা এক শ্রেণীর শিরক বলে গণ্য হবে। উহা ইবাদতের মধ্যে শিরক থেকে কোন অংশে কম নয়।

প্রশ্নঃ কিভাবে আমরা আল্লাহ ও তার রাসূলকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালবাসব ?

উত্তরঃ তাদেঁরকে ভালবাসব তাদেঁর আনুগত্যের মাধ্যমে। সাথে সাথে তাদের হুকুমাবলী পালনের মাধ্যমে

আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

হে নবী আপনি বলুন ! যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসতে চাও তবে আমার অনুসরণ কর, তবেই আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন, আর তোমাদের গুনাহ্ সমূহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ খুবই ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা আল-ইমরান. ৩১)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من والده وولده والناس أجمعين ( متفق عليه )

তোমাদের কেহ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি তার নিকট তার পিতা, সন্তান ও অন্যান্য সমস্ত মানুষদের হতে অধিক প্রিয় না হইব। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

প্রশ্নঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভালবাসার শর্ত কি কি ?

উত্তরঃ এই শর্ত অনেক, তম্মধ্যে আছে :

তাঁরা যা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন ঐ সমস্ত জিনিসকেও ভালবাসা।

২। তাঁরা যা অপছন্দ করেন অথবা যাতে রাগান্বিত হন তা হতে বিরত থাকা।

৩। তাঁরা যা ভালবাসেন তাকে ভালবাসা আর তাদেঁর শত্রুদের সাথে শত্রুতা করা।

৪। যারা তাদের বন্ধু তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা, আর যারা শত্রু তাদের সাথে শত্রুতা করা।

৫। তাদেঁরকে যারা মান্য করে সর্বদা তাদের সাহায্য করতে তৎপর হওয়া, আর তাদের প্রদর্শিত পথে চলার চেষ্টা করা। আর যারা এর বিরুদ্ধাচরণ করবে তারা যে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভালবাসার দাবী করে তা মিথ্যার শামিল। এ সম্বন্ধে কবি বলেনঃ যদি তোমার ভালাবাসা সত্যই হত তবে অবশ্যই তার আনুগত্য করতে। কারণ, যে যাকে ভালবাসে, সে তার আনুগত্য করে।

প্রশ্নঃ ভয়ের সাথে ও অবনত হয়ে কাকে ভালবাসতে হয়?

উত্তরঃ এই ধরণের ভালবাসা একমাত্র আল্লাহ তালার জন্যই হতে হবে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

র মধ্যে একদল লোক আছে, যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যদেরকে তাঁর সমকক্ষ বানিয়ে নেয়, আর তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহকে ভালবাসার মতই। আর যারা ঈমান এনেছে, তাদের সর্বোচ্চ ভালবাসা একমাত্র আল্লাহরই জন্য। (সূরা বাক্বারাহ্ ১৬৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন