hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৭৫
আমল কবুল হওয়ার শর্তসমূহ
প্রশ্নঃ আমল কবুল হওয়ার শর্তসমূহ কি কি ?

উত্তরঃ আল্লাহ তাআলার নিকট আমল কবুল হওয়ার শর্ত হচ্ছে চারটি।

১। আল্লাহ তাআলার উপর ঈমান আনা এবং তাওহীদকে স্বীকার করা। আল্লাহ তা আলা বলেনঃ

(আরবি)

নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করেছে তাদের ঠিকানা হবে জান্নাতুল ফিরদাউস। (সূরা কাহাফ ১০৭)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বাণীর প্রতিধ্বনি করে বলেনঃ

قل امنت بالله ثم استقم ( رواه مسلم )

বল, আমি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি এবং তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো। (বর্ণনায় মুসলিম)

২। ইখলাসঃ উহা হচ্ছে, শুধুমাত্র লোক দেখানো অথবা সুনাম আদায়ের জন্য কাজ না করে একমাত্র আল্লাহর জন্য কাজ করা। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আল্লাহর ইবাদত করো, দ্বীনের প্রতি ইখলাস রেখে। (সূরা যুমার ২)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইখলাসওয়ালাদের প্রতি সুসংবাদ দিয়ে বলেনঃ

من قال لا إله إلا الله مخلصا دخل الجنة ( رواه البزار )

যে ব্যক্তি ইখলাসের সাথে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বর্ণনায় বাজ্জার )

৩। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে তরীকা বা পদ্ধতি নিয়ে এসেছেন শুধুমাত্র সে অনুযায়ী আমল করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের যা করতে বলেন তাকে আঁকড়ে ধর। আর যা করতে নিষেধ করেন তা হতে বিরত হও। (সূরা হাশর ৭)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে কেউ ঐ সমস্ত ‘আমল করবে যাতে আমাদের হুকুম নেই উহা বতিল বলে গণ্য হবে। (বর্ণনায় মুসলিম)

৪। ঈমানদার ব্যক্তি এমন কোন শিরক বা কুফর ‘আমল করবে না যাতে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। কোন অবস্থাতেই তার ইবাদতের কোন অংশ গাইরুল্লাহর জন্য ব্যয় করবে না। সে নবী, রাসূল, অলি (তাদের মৃত্যুর পর) অথবা অন্য কোন মৃত ব্যক্তির নিকট দু’আ করবে না বা সাহায্য চাবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ দু’আ হচ্ছে ইবাদত। (বর্ণনায় তিমিযী )

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আল্লাহ ছাড়া এমন কারো নিকট দু’আ করনা যারা না পারে তোমার উপকার করতে, আর না পারে ক্ষতি করতে। আর যদি উহা কর তবে অবশ্যই তুমি জালিমদের (মুশরিকদের) অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে। (সূরা ইউনুস ১০৬)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ

(আরবি)

তুমি যদি কোন শিরক কর তবে তোমার সৎ কর্ম বাতিল হয়ে যাবে আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে। (সূরা যুমার ৬৫)

প্রশ্নঃ নিয়ত বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ নিয়ত হচ্ছে উদ্দেশ্য বা সংকল্প। আর এর স্থান হচ্ছে অন্তর। মুখে উহা উচ্চারণ করা জায়েয নেই। কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবাগণ কখনও উহা জবানে বলেননি। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর তোমরা তোমাদের কথা গোপন কর অথবা প্রকাশ্যেই বল না কেন, তিনি (আল্লাহ) অবশ্যই অন্তরের কথাও জ্ঞাত আছেন। (সূরা মুলক ১৩)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

إنما الاعمال بالنيات وإنما لكل مرئ ما نوى ( متفق عليه )

নিশ্চয় সমস্ত ‘আমলই নিয়তের উপর নির্ভর করে। আর প্রতিটি ব্যক্তি তাই পাবে যা সে নিয়ত করে। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

এই হাদিসের অর্থঃ ‘আমল সহীহ হওয়ার অথবা কবুল হওয়া কিংবা পূর্ণতা লাভ করার জন্য নিয়ত হল শর্ত । (ইমাম নববী রহ. এর ‘হাদিসে আরবাইন দেখুন)

প্রশ্নঃ কিছু লোক বলেঃ “দ্বীন হচ্ছে অন্তরের বস্তু” –এ কথার অর্থ কি?

উত্তরঃ এ ধরণের কথা ঐ সমস্ত লোকেরাই বলে থাকে যারা শরিয়তের দায়িত্ব (হুকুম আহকাম) হতে মুক্ত হয়ে দূরে পালিয়ে বাঁচতে চায়। দ্বীনের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত আছে আক্বীদা, ইবাদত, মুয়ামালাতসহ সব কিছু।

১। আক্বায়েদঃ অন্তরে ঈমানের রোকনের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস। ইহার বিশ্লেষণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীঃ

الايمان ان تؤمن بالله وملائكته و كتبه ورسله واليوم الاخر وبالقدر خيره وشره ( رواه مسلم )

ঈমান হচ্ছে আল্লাহর উপর, তার মালাইকাদের (ফিরেশতার) উপর, তার পক্ষ হতে অবতীর্ণ কিতাবসমূহের উপর, রাসূলদের উপর, আখিরাতের উপর, এবং তকদিরের ভালমন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। (বর্ণনায় মুসলিম)

২। ইবাদতঃ উহা হবে অংঙ্গ প্রতঙ্গের দ্বারা। তবে নিয়ত থাকবে অন্তরে, যেমন ইসলামের রোকন সমূহ। এ সম্বন্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ (ইসলামের ভিত্তি পাচটিঃ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তিনি ছাড়া অন্যদের সাথে কুফরী করা, সালাতকে উহার যথা নিয়মে আদায় করা, যাকাত আদায় করা, আল্লাহর ঘরে হজ করা এবং রমযান মাসে সিয়াম পালন করা। (বর্ণনায় মুসলিম)

এই সমস্ত রোকন (ভিত্তি) সমূহকে পালন করতে হবে অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দ্বারা কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে।

ওমর (রাঃ) এর মতো আমরাও বলতে চাই যে, আমরা যে কোন মুসলিমের ব্যাপারে রায় দেব তার বাহ্যিক কর্ম দেখে। আর অন্তরে কি আছে তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। যদি ঐ ব্যক্তির অন্তর শুদ্ধ হতো তবে তা তার শারিরীক আমল যথাঃ সালাত, যাকাত ও অন্যান্য ফরয ইবাদতের মাধ্যমে প্রকাশ পেতো এবং হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন ও অন্যান্য মুশরিক জাতি হতে পৃথক-মুসলিম জাতির প্রতীক তার মুখমন্ডল ও শরীরে প্রকাশ পেত। এদের দিকেই ইঙ্গিত করে রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথার্থই বলেছেনঃ ওহে, নিশ্চয় শরীরের মধ্যে এমন একটি অঙ্গ আছে, যদি উহা সহীহ শুদ্ধ হয় তবে সমস্ত শরীরই শুদ্ধ হবে, আর যদি উহা নষ্ট হয়ে যায় তবে সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যাবে আর উহা হচ্ছে ক্বলব বা দিল। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

হাসান বসরী রহ. বলেনঃ ঈমান কেবল অন্তরের আশা কিংবা বাহ্যিক পরিচ্ছদ প্রদর্শনীর নাম নয় বরং ঈমান হচ্ছে অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাস। আর উহার সত্যতার প্রতিফলন ঘটে কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে। (বর্ণনায় বুখারী)

ইমাম শায়েয়ী রহ. বলেনঃ ঈমান হচ্ছে কথা ও কাজ। যা বৃদ্ধি পায় ও কমে যায়।

সালাফে সালেহীনরা বলেনঃ ঈমান হচ্ছে অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে উচ্চারণ করা এবং অঙ্গ প্রতঙ্গ দ্বারা আমল করা। (ফত হুল বারী ১/৪৬)

ইমাম বুখারী (রঃ) (১৯৪-২৫৬ হিঃ) বলেনঃ ঈমানদারদের সম্মানের তারতম্য ঘটে ‘আমলের কারণে। (বর্ণনায় বুখারী ১/১১)

প্রশ্নঃ তাওবা কবুল হওয়ার শর্তসমূহ কি কি?

উত্তরঃ তাওবা কবুল হওয়ার শর্তসমূহ হচ্ছে নিম্মরূপঃ

১। ইখলাসঃ গুনাহগার ব্যক্তি তাওবা করবে একমাত্র আল্লাহ তাআলার কাছে, অন্য কারো উদ্দেশ্যে নয়।

২। অনুশোচনাঃ যে সমস্ত পাপ কাজ করেছে তার জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হবে।

৩। পাপ কাজ হতে বিরত থাকাঃ যে গোনাহ তার দ্বারা সংগঠিত হয়েছে ঐ কাজ সে পুরোপুরি ভাবে ত্যাগ করবে।

৪। পাপের কার্যে প্রত্যাবর্তন না করাঃ একজন মুসলিমের মনে এতখানি দৃঢ়তা আনতে হবে যাতে সে আর উক্ত কাজ পূনর্বার না করে।

৫। ইস্তেগফারঃ আল্লাহ তাআলার হকের ব্যাপারে সে যে অন্যায় করছে, সে জন্যে আল্লাহর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করবে।

৬। হক বা অধিকারসমূহ আদায় করাঃ সে লোকদের যে হক নষ্ট করেছে ঐ হক প্রাপ্য লোকদের কাছে ফিরিয়ে দিবে অথবা ঐ সব হক তাদের কাছ থেকে মাফ করিয়ে নিবে।

৭। তাওবা কবুলের সময়ঃ গুনাহগার তাওবা করবে তার জীবদ্দশায়। মৃত্যু হাজির হওয়ার পূর্বে তওবা করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

إن الله يقبل توبة عبده مالم يغرغر ) رواه الترمذي (

নিশ্চয় আল্লাহ তার বান্দার তাওবা কবুল করেন তার মৃত্যুর কষ্ট শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। (বর্ণনায় তিরমিযি)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন