মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রশ্নঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ এবং এর শর্তসমূহ কি কি ?
উত্তরঃ জেনে রাখুন, আল্লাহ তাআলা আমাদের এবং আপনাকেও হিদায়েত দান করুন. নিশ্চয়ই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হলো জান্নাতের চাবি। কিন্তু প্রতিটি চাবিরই দাঁত থাকে। যদি এমন কোন চাবি নিয়ে আসেন যার দাঁত আছে তবে তা দ্বারা (তালা)খুলতে পারবেন, উহা ব্যতীত খুলতেই পারবেন না।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর দাঁতসমূহ হলো নিম্ন লিখিত শর্তসমূহঃ
১।ইলমঃ ইহার অর্থ হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য সমস্ত গাইরুল্লাহকে মাবুদ বলে অস্বীকার করা এবং একমাত্র আল্লাহকে মা বুদ বলে স্বীকার করা।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
(আরবি)
আর জেনে রেখো, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মা বুদ নেই। (সূরা মুহাম্মদ,আয়াত ১৯)
আল্লাহর বাণীর মর্মার্থ যথাথই অনুধাবন করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাই বলেনঃ
من مات وهو يعلم انه لاإله دخل الجنة ) رواه مسلم (
যে ব্যক্তি এমন অবস্হায় মারা গেলো যে, জীবিত অবস্হায় সে জানত, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মা বুদ নেই, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে । (মুসলিম)
২।ইয়াকিন, যা সন্দেহকে দূর করে অর্থাৎ অন্তরে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর ইয়াকিন পূর্ণভাবে থাকতে হবে, কোনরুপ সন্দেহ থাকলে হবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
(আরবি)
সত্যিকারের মুমিন হচ্ছে তারাই,যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর ঈমান এনেছে এবং ঈমান আনার পর তাতে কোনরুপ সন্দেহ পোষণ করে না । (সূরা হুজুরাত,আয়াত-১৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বাণীর প্রতিধ্বনী করে বলেনঃ
أشهد أن لا إله إلا الله وأني رسول الله . لا يلقي الله بهما عبد ، غير شاك فيهما ، إلا دخل الجنة " .
আমি এই স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই এবং আমিই তার রাসূল”- যে ব্যাক্তি এতে কোন রকম সন্দেহ পোষন না করে আল্লাহর নিকট উপস্হিত হবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে)। (মুসলিম)
৩।কবুল করাঃ তাতে আছে, উহা অন্তর ও জিহ্বার দ্বারা স্বীকার করা। আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের অবস্হা বর্ণনা করে কলেনঃ
(আরবি)
যখনই তাদের বলতে বলা হতো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তখনই তারা সাথে সাথে অহংকারে মুখ ঘুরিয়ে নিত এবং বলতো-আমরা কি এক পাগল কবির কথায় আমাদের মা বুদদের পরিত্যাগ করবো । (সুরা ছাফফাত, আয়াত-৩৫ও৩৬)
ইবনে কাসির এ আয়াতের তফসীরে বলেনঃ যেমন ভাবে মুমিনগণ উহা উচ্চারণ করতেন ঠিক তার বিপরীত ভাবে কাফিররা উহা বলতে অস্বীকার করত অহঙ্কারের কারণে। কালেমার গুরুত্ব যে কতখানি তার আরও ব্যাখ্য পাই নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ চর্চা করলে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
أمرت أن أقاتل الناس حتى يقولوا لا إله إلا الله ، فمن قال لا إله إلا الله فقد عصم مني نفسه وماله إلا بحقه ، وحسابه على الله
আমাকে হুকুম করা হয়েছে,যতক্ষণ পর্যন্ত না লোকেরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করতে। আর যখন কেউ তা মেনে নেবে ও মুখে উচ্চারণ করবে তখন সাথে সাথে তার জান ও মাল আমার পক্ষ থেকে রক্ষা পেল। তবে ইসলামের যে হকসমূহ আছে তা আদায় করতে হবে। আর তার হিসাব নিকাশ করবেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা )। (বুখারীও মুসলিম)
৪। আত্মসর্মপণ ও অনুসরণ করাঃ ঐ ভাবে পূর্ণ আত্মসমর্পণ ও অনুসরণ করত হবে ঠিক যে ভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
(আরবি)
আর তোমরা তোমাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তন করো এবং তার নিকট সম্পুর্ণরূপে আত্মসমর্পন করো। (সূরা যুমার আয়াত-৫৪)
৫। সত্যবাদিতা,যা মিথ্যার বিপরীতঃ উহা হচ্ছে খাটি দীলে সর্বান্তঃকরণে কালেমাকে উচ্চারণ করতে হবে । আল্লাহ তাআলা মানুষকে সাবধান করে বলেনঃ
(আরবি)
আলিফ, লাম,মিম। তারা কি এ ধারণা করেছে যে,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললেই ছাড়া পেয়ে যাবে এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না? নিশ্চয়ই আমি পূর্বের যামানার লোকদের পরীক্ষা করেছি। আল্লাহ নিশ্চয়ই জানেন কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যেবাদী)। (সূরা আনকাবুত,আয়াত১-৩)
وما من احد يشهد ان لا إله إلا الله وأن محمدا عبده ورسوله صدقا من قلبه إلا حرمه الله على النار ( متفق عليه )
যদি কেহ অন্তরে হতে খাটি ভাবে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল, তবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নামের আগুনকে হারাম করে দিবেন। (বুখারী ও মুসলিম)
৬। ইখলাসঃ উহা হচ্ছে নিয়তকে শুদ্ধ করে সমস্ত ধরনের শিরক হতে নিজকে বাচিয়ে রেখে নেক আমল করা। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
আর তাদের হুকুম করা হয়েছে ইখলাসের সাথে আল্লাহর ইবাদত করতে । (সূরা বাইয়িনাহ, আয়াত ৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
اسعد الناس بشفاعتى من قال لا إله إلا الله خالصا من قلبه او نفسه ( رواه البخاري )
কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ঐ ব্যক্তি যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ স্বীকার করেন অন্তর দিয়ে ইখলাসের সাথে। (বুখারী)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেনঃ
ان الله حرم على النار من قال لا إله الا الله يبتغي بذالك وجه الله عز وجل ) رواه مسلم (
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির জন্য জহান্নামের আগুনকে হারাম করে দিয়েছেন যিনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবেন একমাত্র আল্লাহকে রাজী খুশী করার জন্য। (মুসলিম)
৭। কালেমা তৈয়েবার প্রতি ভালবাসাঃ মানুষের কাছে কালেমার দাবী হল এই যে, যে সমস্ত মুমিন উপরোক্ত শর্তসমূহ মান্য করবে শুধু তাদেরকেই মানুষ ভালবাসবে এবং যারা উহা অমান্য করবে তাদেরকে ঘৃণা করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
(আরবি)
এবং মানুষদের মধ্যে এমন এক দল আছে, যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্য মা’বুদকে (শরিক) এমনিভাবে ভালবাসে যেমন ভাবে আল্লাহকে ভালবাসা উচিৎ। আর যারা ঈমান এনেছে তাদের সর্বোচ্চ ভালবাসা হচ্ছে আল্লাহর জন্য। (সূরা বাক্বারাহ ১৬৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
ثلاث من كن فيه وجد بهن حلاوة الايمان : ان يكون الله ورسوله احب إليه مما سواهما وأن يحب المرء لا يحبه إلا لله وان يكره ان يعود في الكفر بعد إذ انقذه الله منه كما يكره ان يقذف في النار ( متفق عليه )
তিনটি গুণ যার মধ্যে আছে সে ব্যক্তি ঐ গুণের কারণে ঈমানের স্বাদ পাবে। প্রথমতঃ আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিকট সমস্ত কিছু হতে সর্বাধিক ভালবাসার পাত্র হবেন।
দ্বিতীয়তঃ কোন ব্যক্তিকে ভালবাসবে একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া অন্য কোন কারণে নয়।
তৃতীয়তঃ আল্লাহ তাআলা তাকে কুফরী হতে নিষ্কৃতি দেয়ার পর আবার তাতে প্রত্যাবর্তন করা তার নিকট এ রকম অপছন্দনীয় যে রূপ অপছন্দনীয় আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)
(এই অংশটি ডঃ মুহাম্মদ সা’য়ীদ আল কাহ-তানীর “আল ওলা ওয়াল বারা” হতে উদ্ধৃত)।
৮। তাগুতের প্রতি কুফরী করাঃ তাগুত হচ্ছে ঐ সমস্ত বাতিল উপাস্য যাদেরকে ইবাদত করা হয় আল্লাহকে ছেড়ে, যদিও সে অবস্থায় একমাত্র আল্লাহকে রব এবং সত্যিকারের মাবুদ বলে স্বীকার করে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
(আরবি)
আর যে ব্যক্তি তাগুতদের অস্বীকার করবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে নিশ্চয়ই সে এমন এক মজবুত বন্ধনকে আকড়ে ধরল যা ছুটবার নয়। (সূরা আল-বাক্বারাহ ২৫৬)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরই আলোকে ঘোষণা করেনঃ
من قال لا إله إلا الله وكفر بما يعبد من دون الله حرم ماله و دمه ) رواه مسلم (
যে ব্যক্তি অন্তর হতে বলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এবং আল্লাহকে ছেড়ে অন্য মা’বুদের ইবাদতকে অস্বীকার করে তার প্রাণ ও সম্পদ (নষ্ট করা) অন্যের উপর হারাম। (বর্ণনায় মুসলিম)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/17/72
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।