hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৪৪
যাকাত সম্পর্ক কিছু প্রয়োজনীয় কথা
প্রথমঃ উপরে উল্লিখিত আট দলের যে কোন এক দলকে যাকাত দিলেও উহা সহীহ হবে। যদিও তাদের প্রতিটি দলই পাওয়ার যোগ্য তবু তাদের প্রত্যেক দলকে যাকাত দেয়াটা ওয়াজিব নয়।

দ্বিতীয়ঃ- যে ঋণভারে জর্জরিত তাকে এমন পরিমাণে যাকাত দেয়া চলে যাতে সে পূর্ণভাবে বা আংশিক ভাবে ঋণমুক্ত হতে পারে।

তৃতীয়ঃ- যাকাত কোন কাফেরকে দেয়া যাবে না। সে মূলেই কাফের হোক বা মুরতাদ (ধর্মত্যাগী) হোক। তেমনিভাবে সালাত ত্যাগকারীকে যাকাত দেয়া যাবে না। কারণ তার ব্যাপারে সঠিক ফতোয়া হল সে কাফের। তবে সে যদি সালাত আদায় করতে রাজী হয় তবে তকে যাকাত দেয়া যেতে পারে।

চতুর্থঃ- কোন ধনী ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া জায়েয নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ (উহাতে (যাকাতে) কোন ধনী বা কর্মক্ষম ব্যক্তির অংশ নেই) (বর্ণনায় আবু দাউদ)

পঞ্চমঃ- ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের যাকাত দেয়া জায়েয হবে না যাদের ভরণ পোষণের ওয়াজিব দায়িত্ব তার উপর আছে। যেমন পিতা-মাতা, সন্তান ও স্ত্রী।

ষষ্ঠঃ - যদি স্বামী দরিদ্র হন তবে ধনী স্ত্রী তাকে যাকাত দিতে পারে। কারণ সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) এর স্ত্রী তাঁকে যাকাতের মাল প্রদান করেছিলেন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা অনুমোদন করেছিলেন।

সপ্তমঃ- এক দেশের যাকাত অন্য দেশে দেয়া উচিত নয়। অবশ্য যদি সেই রকম প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে দেয়া যেতে পারে।

যেমনঃ দুর্ভিক্ষ অথবা ঐ দেশে কোন দরিদ্র ব্যক্তি না মিললে অথবা মুজাহিদদের সাহয্যের করার প্রয়োজন হলে। অথবা দেশের শাসক কোন জরুরী প্রয়োজনের খাতিরে উহা করতে পারে।

অষ্টমঃ- যদি কেউ অন্য কোন দেশে যেয়ে সম্পদের অধিকারী হয় তবে সেই দেশেই যাকাত আদায় করা তার উপর ওয়াজিব। তিনি উহা তার নিজের দেশে প্রেরণ করতে পারবেন যদি উপরোক্ত জরুরী কারণসমূহের কোনটা দেখা দেয়।

নমবঃ- কোন ফকিরকে ঐ পরিমাণ যাকাত দেয়া জায়েয যাতে তার পুরো বছর বা কয়েক মাসের চাহিদা মিটে।

দশমঃ- সোনা ও রূপার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে সর্বাবস্থাতেই যদিও উহা টাকা হিসাবে বা অলংকার হিসাবে ব্যবহৃত হউক বা অন্যকে ধার দেয়া হউক অথবা অন্য কোন অবস্থাতেই উহা থাকুক না কেন। কারণ, সাধারণভাবে যে সমস্ত দলিল প্রমাণ পাওয়া যায় তাতে উহাই প্রমাণিত হয়। তাবে কোন কোন আলেম বলেছেন, যে গহনা পরিধান করা বা ধার দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয় তাতে যাকাত নাই। তবে প্রথম দলের কথাই অধিক গ্রহণযোগ্য আর তার উপর আমল করাই সঠিক হবে।

একাদশঃ- ঐ সমস্ত জিনিস যা কেহ কোন নিজ প্রয়োজনের জন্য জড়ো করে তাতে যাকাত নেই। যেমন খাদ্য, পানীয়, বিছানা, বাড়ী, গবাদি পশু, পোশাক পরিচ্ছদ, গাড়ী ইত্যাদি। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ মুসলিমের উপর তার দাস ও ঘোড়ার যাকাত দেয়া ওয়াজিব নয়। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম) আর এর ব্যতিক্রম হল শুধুমাত্র পরিধান করার সোনার ও রূপার গহনা পত্র।

দ্বাদশঃ- যে সমস্ত বাড়ী-ঘর, গাড়ী, ঘোড়া ইত্যাদি ভাড়ায় খাটান হয় তাদের যাকাত হবে তাদের ভাড়ার মধ্যে যদি উহা নগদ টাকায় মিলে এবং তাতে এক বছর পূর্ণ হয়, যদি উহার পরিমাণ নিজে নিজে নেসাব পরিমাণ হয় অথবা ঐ টাকা অন্য টাকর সাথে মিশে নেসাব পরিমাণ হয়।

( বিঃ দ্রঃ যাকাতের এই অংশ কিছুটা পরিবর্তন করে শেখ আবদুল্লাহ বিন সালেহ এর কিতাব হতে গ্রহণ করেছি ) - লিখক

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন