মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১। যেমন অনেকে বলেন যে, আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের কারণে দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন। তারা দলীল হিসাবে এই বানোয়াট মিথ্যা হাদীসে কুদসী পেশ করে। উহা হলঃ যদি না তুমি হতে তবে দুনিয়া সৃষ্টি করতাম না।
ইবনে জাওযী রহ. বলেন ইহা মাউজু বা বানোয়াট হাদীস। আর বুছাইরী যখন এই কবিতা বলে তখন তা মিথ্যাই বলেঃ
যদি তিনি (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) না হতেন তবে দুনিয়াকে অনস্তিত্ব হতে অস্তিত্বে আনা হত না।
নিশ্চয় আমি জ্বীন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। (সূরা যারিয়াত ৫৬)
এমনকি নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পর্যন্ত তিনি তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেন। কারণ তার প্রতিপালক তাকে বলেনঃ
(আরবি)
আপনি আপনার রবের ইবাদত করতে থাকুন যতক্ষণ না আপনার মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়। (সূরা হিজর ৯৯)
আর আল্লাহ তাআলা সমস্ত রাসূলদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদতের দিকে দাওয়াত দেয়ার জন্য।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
(আরবি)
আর নিশ্চয় আমি প্রত্যেক উম্মতদের নিকট এই বলে রাসূল প্রেরণ করেছিলাম যে, তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুতেদের হতে দূরে থাক। (সূরা নাহল ৩৬)
“তাগুত” হচ্ছে তারা, যাদের ইবাদত করা হয় আল্লাহকে বাদ দিয়ে, আর তারা তাতে রাজী খুশী থাকে।
তাই এখন চিন্তা করে বলুন, কিভাবে কোন মুসলিম ঐ আক্বীদা পোষণ করবে যা কোরআনের বিরোধী ও সমস্ত রাসূলদের কথার বিরোধী?
২। এই কথা বলা যে, আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের নূরকে সৃষ্টি করেন। আর তার নূর হতেই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়। এই আক্বীদা ও বাতিল আক্বীদা। এর স্বপক্ষে কোন দলীল নেই। সত্যিই অবাক লাগে, এই কথা যখন মিশরের এক প্রসিদ্ধ আলেম বলেন। তিনি হলেন শাইখ মুহাম্মাদ মোতাওয়াল্লী আশশারাভী। তার বিখ্যাত গ্রন্থ “আনতা তাসআলু ওয়াল ইসলামু ইয়াজীব” (আপনি প্রশ্ন করুন ইসলাম উত্তর দিচ্ছ)। এতে তিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর এবং সৃষ্টির শুরু নামক অধ্যায়ে বলেন:
প্রশ্নঃ হাদীস শরীফে আছেঃ সাহাবি জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে প্রশ্ন করেনঃ আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম কি সৃষ্টি করেন? উত্তরে তিনি বলেনঃ হে জাবের, তোমার নবীর নূর।
এই হাদীসে কিভাবে কোরআনের ঐ আয়াতের বিরোধী হতে পারে যাতে বলা হয়েছে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হল আদম (আঃ) এবং তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি হতে?
উত্তরঃ কোন জিনিসের পূর্ণতা এবং স্বাভাবিক নিয়মই হচ্ছে সর্বদাই কোন উচ্চমানের জিনিস প্রথম সৃষ্টি করা। তারপর উহা হতে নিচের দিকে যাত্রা করা। তাই এটা বুদ্ধির বোধগাম্য বিষয় হল এই যে, মাটির তৈরী জিনিস আগে সৃষ্টি করা হবে এবং তারপর উহা হতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সৃষ্টি করা হবে। কারণ মানুষদের মধ্যে সর্বোত্তম হলেন রাসূলগণ (আঃ) আর সমস্ত রাসূলদের মধ্যে উত্তম হলেন মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম । তাই প্রথমে মাটি দ্বারা কোন সৃষ্টি হয়ে পরে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টি হতে পারে না। তাই অব্যশ্যই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের নূরকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এভাবেই জাবের (রাঃ) এর হাদীস সত্য বলে প্রমাণিত হল।
এই ভাবেই তিনি তার অপরিপক্ক বুদ্ধি দ্বারা উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা দেন যে, নবীর নূরই প্রথম, তারপর অন্যান্য বস্তু।
প্রথমতঃ শা’রাভীর কথা আল্লাহপ তাআলার কথার বিরোধী। শারাভী বলেছেন, প্রথম মানুষ হলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
(আরবি)
আর যখন তোমার রব ফেরেশতাদের (মালায়েকাদের) বললেনঃ নিশ্চয়ই আমি মাটি হতে মানুষ সৃষ্টি করব। (সূরা সোয়াদ ৭১)
অন্যত্র তিনি বলেনঃ
(আরবি)
তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন প্রথমে মাটি হতে তারপর বীর্য হতে। (সূরা গাফির ৬৭)
এর তাফসীরে ইবনে জরীর (রঃ) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাদের পিতা আদম (আঃ) কে মাটি হতে সৃষ্টি করেন, তারপর তোমাদের সৃষ্টি করেন বীর্য হতে। (মুখতাসার ইবনে জারীর, দ্বিতীয় ভাগ, পৃষ্ঠা ৩০০)
আর শা’রাভীর কথাও ঐ হাদীসের বিপরীত যাতে বলা হয়েছেঃ তোমরা প্রত্যেকে আদমের সন্তান। আর আদম (আঃ) কে মাটি হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। (বাজ্জার)
শা’রাভী বলেছেনঃ প্রাকৃতিক নিয়ম হচ্ছে, প্রথমে উচ্চু স্তরের কোন কিছু সৃষ্টি করে তা হতে নীচু স্তরের জিনিস সৃষ্টি করা। এমনকি কোরআন পাকেও এই জাতীয় মতবাদ পেশ করেছে ইবলিস, যখন সে আদমকে সিজদা করতে অস্বীকার করল।
(আরবি)
আমি তার থেকে উত্তম। আমাকে সৃষ্টি করেছেন আগুন হতে আর তাকে মাটি হতে। (সূরা সোয়াদ ৭৬)
ইবনে কাসির (রঃ) বলেনঃ সে এই দাবী করেছিল যে, সে আদম হতে উত্তম। কারণ তাকে সৃষ্টি করা হয় আগুন হতে আর আদমকে সৃষ্টি করা হয় মাটি হতে। আর তার ধারনা মতে আগুন মাটি হতে উত্তম। (তাফসীরে কাসির, চতুর্থ খন্ড, পৃঃ৪৩)
ইবনে জরীর তবারী (রহঃ) বলেনঃ ইবলিস তার রবকে বলে (আমি কখনো আদমকে সিজদা করব না, কারণ আমি তার থেকে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে আগুন হতে সৃষ্টি করেছেন। আর আদম কে মৃত্তিকা হতে সৃষ্টি করেছেন। আর আগুন মাটিকে পোড়ায় এবং তার উপর শ্রেষ্ঠত্ব রাখে। (মুখতাসার ইবনে জরীর, দ্বিতীয় অংশ, পৃঃ ২৭০)
এর থেকে প্রমানিত হল সর্বপ্রথমে আদম কে মাটি হতে সৃষ্টি করা হয় এবং তার থেকে পরে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সৃষ্টি করা হয়। আর তা হল মাটি, যা হতে আদম কে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আদম (আঃ) এর বংশ ও পুত্র। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ (আমি আদমের সন্তানদের সর্দার। (বর্ণনায় মুসলিম)
তৃতীয়তঃ শা’রাভী আরও বলেছেনঃ নিশ্চয়ই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের নূরকে প্রথমে সৃষ্টি করা হয়েছে।
আসলে এ কথার পক্ষে কোন দলীল নেই। বরং কোরআনে প্রমাণিত আছে, প্রথম মানুষ হলেন আদম। সৃষ্টির মধ্যে আরশ ও কলম সৃষ্টির পরই তাকে সৃষ্টি করা হয়)।
কারণ রাসূলুলআহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ সর্ব প্রথমে আল্লাহ তাআলা কলম সৃষ্টি করেন। (বর্ণনায় তিরমিযি)
কোন দলীল বা বুদ্ধি দ্বারাও প্রমাণ হয় না যে, নূরে মুহাম্মদীকে প্রথমে সৃষ্টি করা হয়েছে। কারণ, আল কোরআন আল্লাহ্ তালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে বলেনঃ
(আরবি)
হে নবী!আপনি বলুনঃ আমিতো তোমাদর মত মানুষ, আর আমার কাছে ওহী প্রেরণ করা হয়। (সূরা কাহাফ ১১০)
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামও বাস্তবে তাই বলেনঃ
إنما أنا بشر مثلكم ( رواه أحمد )
আমি তোমাদের মতই মানুষ (বর্ণনায় আহমদ)
সত্যিকার অর্থে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাপ ও মা হতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তার আব্বা ছিলেন আব্দুল্লাহ আর মা ছিলেন আমেনা বিনতে ওহাব। অন্যরা যেমনি ভাবে জন্ম গ্রহণ করে তিনিও তেমনিভাবে জন্ম গ্রহণ করেছেন। তার দাদার নাম আব্দুল মুত্তালিব।
কোরআন ও হাদীসের উপরোক্ত আলোচনা হতে এটা প্রমাণিত হয় যে, মানুষদের মধ্যে প্রথম সৃষ্টি হলেন আদম (আঃ) আর পদার্থের মধ্যে কলম। এগুলো ঐ কথার বিরোধিতা করে যে, আল্লাহ তাআলার প্রথম সৃষ্টি হল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম । কারণ, উহা কোরআন ও সহীহ হাদীসের বিরোধী। তবে হাদীসে যা আছে তা হলঃ আদম (আঃ) কে সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ তাআলার নিকট লেখা ছিল যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন শেষ নবী। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ তাআলার নিকট শেষ নবী বলে লিখিত ছিলাম তখন, যখন আদম (আঃ) মাটিতেই ছিলেন। (বর্ণনায় হাকেম)
এই হাদীসে আছেঃ লিখিত ছিলাম। এতে বলা হয়নি যে, সৃষ্টি করা হয়েছিল।
অন্য হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি তখনও নবী বলে পরিগণিত হই যখন আদম (আঃ) রুহ ও শরীর উভয়ের মাঝে ছিলেন। (অর্থাৎ সৃষ্টি হন নাই)। (বর্ণনায় আহমদ)
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে “সৃষ্টির দিক দিয়ে আমি প্রথম নবী, আর প্রেরণের দিক দিয়ে সর্বশেষ নবী” । এ হাদীসটি দুর্বল হাদীস- বলেছেন ইবনে কাসির ও শায়খ আলবানী।
উহা আল কোরআন ও পূর্বোক্ত সহীহ হাদীসের সাথে বিরোধপূর্ণ কথা। সাথে সাথে উহা বুদ্ধিও বিবেকের বিপরীত। কারণ আদম (আঃ) এর পূর্বে কোন মানূষকে সৃষ্টি করা হয়নি।
চতুর্থতঃ শা’রাভী বলেনঃ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের নূর হতেই সমস্ত জিনিস সৃষ্টি করা হয়েছে। তার কথায় বুঝা যায়, আদম (আঃ), শয়তান, মানুষ, জিন, পশুপক্ষী, পোকা মাকড়, জীবাণুও অন্যান্য সমস্ত জিনিসই উহা হতে সৃষ্টি। কিন্তু উহা কোরআনে যে কথা বলা আছে তার বিপরীত কথা। কারণ আদম (আঃ) কে মাটি হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। শয়তানকে আগুন হতে, আর মানুষদেরকে বীর্য হতে। শা’রাভীর কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামেনর ঐ কথার বিরোধী যাতে তিনি বলেনঃ
خلقت الملائكة من نور . وخلق الجان من مارج من نار . وخلق آدم مما وصف لكم
ফেরেশতাদের (মালাইকাদের) সৃষ্টি করা হয়েছে নূর হতে। আর জ্বীনদের সৃষ্টি করা হয়েছে আগুনের শিখা হতে। আর আদম কে ঐ জিনিস হতে সৃষ্টি করা হয়েছে যা হতে তোমাদের সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। (বর্ণনায় মুসলিম)
এতে দেখা যাচ্ছে, শারাভীর কথা বুদ্ধি, বিবেক ও বর্তমান পরিস্থিতি সব কিছুরই বিপরীত। কারণ মানুষ, জীবজন্তু সৃষ্টি হয় গর্ভধারণ এবং সন্তান প্রসবের মাধ্যমে। যদি ধরা হয় যে, জীবাণু, বিষাক্ত ও কষ্টদায়ক পোকা মাকড় এবং এই জাতীয় সমস্ত কিছু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর হতে সৃষ্টি হয়েছে তবে কেন আমরা ঐ সব ক্ষতিকর জীবাণুকে হত্যা করি। বরং আমাদের হুকুম করা হয়েছে সাপ, মশা, মাছিও অন্যান্য ক্ষতিকর জীবজন্তু হত্যা করতে।
পঞ্চমতঃ শা’রাভী আরও বলেনঃ জাবের (রাঃ) এর ঐ হাদীস, যাতে বলা হয়েছেঃ “হে জাবের ! সর্ব প্রথম আল্লাহ তাআলা তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেন।”
এই হাদীসটি নবীর নামে মিথ্যা বানান হয়েছে। শা’রাভীর কথা মত ইহা সত্য নয়। কারণ, উহাতে কোরআনের বিরোধী কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম যে মানুষ সৃষ্টি করেন তিনি হলেন আদম। আর বস্তুর মধ্যে কলম। আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আদমের সন্তান। যাকে নূর হতে সৃষ্টি করা হয়নি। বরং তিনি আমাদের মত মানুষ যা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। তার বিশেষত্ব হল তিনি নবী ছিলেন এবং তার নিকট ওহী আসত। লোকেরা তাকে নূর হিসাবে দেখেনি বরং মানুষ হিসাবে দেখেছে।
অবশ্য এ বিষয়ে যে হাদীসটি কে শা’রাভী সহীহ বলেছেন তা হাদীস বিশারদদের নিকট মিথ্যা, মাউদু ও বাতিল হাদীস।
৩। আরও বতিল আক্বীদার মধ্যে হচ্ছে আল্লাহ তাআলা সমস্ত জিনিস তার (নবীর) নূর হতে সৃষ্টি করেছেন, যা বহু সুফীই বলে থাকে। আর শা’রাভী উপরে উল্লখিত তার কিতাবেও উহা স্পষ্টভাবে বলেছেন।
তার কথা যদি সত্য হয় তবে বলতে হয়, আল্লাহ তাআলা সমস্ত জিনিস তার নূর হতে সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ তার নূরের রশ্মী হতেই সমস্ত পদার্থ সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি বলি, এই কথার প্রমাণে কোরআন, সুন্নাহ বা জ্ঞানের কোন দলীল নেই। আগেই বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলা আদমকে মাটি হতে, শয়তানকে আগুন হতে এবং মানুষদেরকে বীর্য হতে সৃষ্টি করেছেন। ইহা শা’রাভীর কথার বিরোধিতা করে আর তাকে বাতিলও বলে। আর শা’রাভীর কথার মধ্যে পরস্পর বিরাধীতা রয়েছে। প্রথমে বলেনঃ সমস্ত জিনিস মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের নূর হতে সৃষ্টি হয়েছে। অন্যত্র বলেনঃ সমস্ত জিনিস আল্লাহ তাআলার নূর হতে সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই নূরের মধ্যে বহু পার্থক্য আছে। যে সমস্ত জিনিস আল্লাহর নূর হতে সৃষ্টি হয়েছে তাতে আছে বানর , শুকর, সাপ, বিছা, জীবাণু ও অন্যান্য ক্ষতিকারক জীব। তবে কেন আমরা তাদের হত্যা করি?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/17/66
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।