hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

মুখলিস কে ?
যিনি কালেমার অর্থ বুঝেন, তার উপর আমল করেন এবং সর্বপ্রথমে কালেমার দাওয়াত দেন আর্এ সকল কিছু আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করেন তিনিই মুখলেস। কারণ এর ভিতরে ঐ তাওহীদ রয়েছে যার জন্য আল্লাহ তাআলা জ্বিন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন।

৩। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর চাচা আবূ তালিবের যখন মৃত্যু মুহুর্ত উপস্থিত হয় তখন তাকে দাওয়াত দিয়ে বলেনঃ (হে আমার চাচা ! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলুন, উহা বললে আমি আল্লাহর নিকট আপনার জন্য আবেদন করতে পারব। কিন্তু তিনি কালেমা বলতে অস্বীকার করলেন । (বর্ণনায় বুখারি ও মুসলিম)

৪। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কাতে ১৩ বছর যাবত মুশরিকদের এই দাওয়াত দিয়েছেন যে, তোমরা বল, আল্লাহ্ ছাড়া সত্যিকারের কোন মাবুদ নেই। তারা উত্তরে যা বলত সে সম্পর্কে কোরআন পাকে আল্লাহ্ তেআলা বলেনঃ

(আরবি)

এবং যখন তাদের নিকট তাদের মধ্য হতে ভয় প্রদর্শক আসলেন তখন তারা অবাক হয়ে গেল এবং কাফিররা বললঃ ইনি তো যাদুকর ও মিথ্যাবাদী। সে কি আমাদের সমস্ত মা‘বুদকে এক মা‘বুদ বানাতে চায়। ইহাতো বড়ই অবাক হওয়ার কথা। তখন তাদের নেতারা তাদেরকে ঘুরে ঘুরে বুঝালঃ তোমরা তোমাদের মা‘বুদ নিয়েই চলতে থাক, তাতে যত সবরই করতে হোক না কেন। এটাই চাওয়া হচ্ছে। আমরা তো আগের জামানার লোকদের নিকট এটাকখনও শুনিনি। বরঞ্চ এটা বানানো কথা। (সূরা ছোয়াদ আয়াত ৪-৭)

কারণ আরবরা কালেমার অর্থ বুঝেছিল। যে ব্যক্তি উহা মুখে উচ্চারণ করবে কিংবা স্বীকার করবে সে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট দু‘আ করতে পারবে না। ফলে তাদের বেশীর ভাগই কালেমা পড়তে অস্বীকৃতি জানাল। আল্লাহপাক তাদের তাদের সম্পর্কে বলেনঃ

(আরবি)

যখন তাদের বলা হত লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, তখনই তারা অহংকার করত আর বলতঃ আমরা কি এক পাগল কবির কথায় আমাদের মা‘বুদদের পরিত্যাগ

করব? কিন্তু তিনি সত্য নিয়ে এসেছিলেন এবং পূর্বের নবীদের ও সত্য বলে মেনে ছিলেন। (সূরা সাফফাত ৩৫-৩৭)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

من قال لا إله إلا الله وكفر بما يعبد من دون الله حرم ماله ودمه وحسابه على الله عزوجل ( رواه مسلم )

যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলে এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মা‘বুদের ইবাদত করাকে অস্বীকার করে তার সম্পদ, রক্ত অন্যের জন্য হারাম আর তার হিসাব নিপতিত হয় আল্লাহ পাকের উপর। (বর্ণনায় মুসলিম)

এই হাদিসের অর্থঃ যখনই কেউ কালেমা পড়বে তখনই তার উপর জরুরী হয়ে যাবে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদত, উপাসনা অস্বীকার করা ও তার বিরুদ্ধাচরণ করা। যেমন মৃতদের নিকট দু‘আকরা বা এই জাতীয় অন্যান্য ইবাদত। সত্যিই অবাক লাগে, কোন কোন মুসলিম এই কালেমা পড়ে, কিন্তু তাদের কাজে কর্মে এর বিরুদ্ধাচরণ করে। এমনকি আল্লাহকে ছেড়ে অন্যের নিকট দু‘আ ও করে।

৫। কালেমা (লা ইলাহা ইল্লাহল্লাহ) হচ্ছে তাওহীদ (একত্ববাদ) ও ইসলামের ভিত্তি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তা পরিপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেয়, যাতে আছে সমস্ত ধরণের ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য হবে। কারণ, যখন কোন মুসলিম আল্লাহর সামনে নিজেকে অবনত করবে, একমাত্র তাঁর নিকট দু‘আ করবে এবং তাঁর প্রদত্ত শরীয়ত অনুযায়ী বিচার করবেব তখনই তার জীবন পূর্ণভাবে আল্লাহ প্রদত্ত হবে।

৬। ইবনে রজব (রঃ) বলেনঃ ইলাহ হচ্ছেন ঐ সত্বা যার আনুগত্য করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করা হয় না তাঁর প্রতি ভয়ে ও সম্ভ্রমে। তাঁর প্রতি থাকবে ভালবাসা, ভয় ও আশা। তাঁর উপর ভরসা করে তাঁর নিকট অনুকম্পা চাওয়া হয় দু‘আ করে। এগুলো দেবার যোগ্যতা একমাত্র আল্লাহ পাকের। একমাত্র মা‘বুদের জন্যই প্রযোজ্য উপরোক্ত ইবাদতসমূহ। কোন সৃষ্টিকে শরীক করলে কালেমার মধ্যে যে ইখলাস থাকার কথা তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তা মাখলুকের ইবাদত হিসাবে শামিল হয়।

৭। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

لقنوا موتاكم لا إله إلا الله فإنه من كان آخر كلامه لا إله إلا الله دخل الجنة يوما من الدهر وإن أصابه قبل ذلك ما أصابه ) رواه مسلم (

মৃতুর সময় তোমরা মৃত্যুপথ যাত্রীদের কালেমার তালকীন (বারে বারে পড়া) দাও। কারণ, যে ব্যক্তির শেষ কথা হবে لا إله إلا الله (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু) সে, একদিন না একদিন জান্নাতে প্রবেশ করবেই, এর পূর্বে তার যত শাস্তিই হোক না কেন। (বর্ণনায় সহিহ ইবনে হিব্বান)

তালকীন শুধুমাত্র মৃত্যুর সময় কালেমা পড়ার নাম নয়, বরঞ্চ অন্যেরা যদি কোন বদ ধারণা করে তার বিরুদ্ধাচরণ করাও এতে শামীল। এর দলীল হচ্ছে আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) এর হাদিসঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন এক আনসারী সাহাবির রোগ দেখতে যান। তাঁকে বললেনঃ হে মামা! বলঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। তিনি বললেনঃ মামা না চাচা? উত্তরে রাসূল বললেন বরং মামা। তিনি বললেনঃ তবেতো আমার জন্য উত্তম হচ্ছে কালেমা পড়া। উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ হাঁ, অবশ্যই। (বর্ণনায় সহিহ, মসনদে আহমদ)

৮। কালেমা

لاإله إلا الله

তার পাঠককে উপকারর দেয় যদি সে উহা তার জীবনে প্রতিফলিত করে। আর কোন শিরকী কাজ না করে, যা কালেমার বিরুদ্ধাচরণ বলে গণ্য। যেমনঃ মৃত কোন ব্যক্তি অথবা অনুপস্থিত কোন ব্যক্তির নিকট দু‘আ করা। এটা হচ্ছে অযুর ন্যায়, যা অযু ভঙ্গের যে কোন কারণ ঘটলে নষ্ট হয়ে যায়। তেমনি কালেমা ভঙ্গের কোন কারণ ঘটলে কালেমা নষ্ট হয়ে যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়বে উহা তাকে একদিন না একদিন সমস্ত ধরণের শাস্তি (জাহান্নামের) হতে উদ্ধার করবে। (বর্ণনায় সহিহ বায়হাকি)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন