hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৮৭
অসিলা ও শাফায়াত চাওয়া
প্রশ্নঃ কিভাবে আমরা আল্লাহ তাআলার নিকট অসিলা ভিক্ষা করব?

উত্তরঃ কিছু কিছু অসিলা আছে যা জায়েয (শরিয়ত সম্মত) আর কিছু আছে নিষিদ্ধ।

১। জায়েয ও আকাংখিত অসিলাঃ তা হল আল্লাহ তাআলার সুন্দর নামসমূহ ও উত্তম গুণাবলী ও নেক আমল সমূহকে অসিলা করা। আর সাথে সাথে নেককার জীবিত ব্যক্তিদের নিকট দু’আ চাওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর আল্লাহ তাআলার সুন্দর সুন্দর নামসমূহ আছে, তাদের অসিলায় তার নিকট দু’আ কর। (সূরা আ’রাফ ১৮০)

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ-কে ভয় কর এবং তাঁর নিকট অসিলা তালাশ কর। (সূরা মায়িদাহ ৩৫)

অর্থাৎ তাঁর নৈকট্য হাসিল কর তাঁর আনুগত্যের মাধ্যমে এবং ঐ সমস্ত আমলের দ্বারা যা তাকেঁ খুশী করে। এ কথা ইবনে কাসীর কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

أسألك بكل اسم هو لك سميت به نفسك . رواه احمد

আমি আপনার নিকট ঐ সমস্ত নামের অসিলায় দু’আ করছি যা দ্বারা নিজেকে বিভূষিত করেছেন। (বর্ণনায় আহমদ)

সাহাবী রাবিয়াহ ইবনে কাআব আল আসলামী (রাঃ) যখন রাসূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে জান্নাতে থাকার ইচ্ছা করলেন তখন তার উত্তরে বলেনঃ

فأعني على نفسك بكثرة السجود

তাহলে বেশী করে সেজদার মাধ্যমে আমাকে তোমার ব্যাপারে সাহায্য কর। (বর্ণনায় মুসলিম)

অর্থাৎ বেশী বেশী সালাত অর্থাৎ নেক আমল দ্বারা।

একই ভাবে দেখা যায়, গুহায় আটকে পড়া তিন ব্যক্তির কাহিনীতে। তারা তাদের নেক আমল বা সৎ কাজের অসিলায় দু’আ করেছিল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের বিপদ হতে উদ্ধার করেন। আল্লাহ তাআলাকে যে আমরা ভালবাসি, তার অসিলায় দু’আ করাও জায়েয। সাথে সাথে তাঁর নবী ও অলিদের প্রতি যে আমাদের ভালবাসা আছে, তার অসিলা করাও জায়েয। কারণ, তাদেরকে ভালবাসা নেক আমলের শামিল। যেমন বলাঃ হে আল্লাহ, আপনার রাসূল ও আউলিয়াদের প্রতি যে আমাদের ভালবাসা আছে, সেই অসিলায় আমাদের সাহায্য করুন, আর তাদের প্রতি যে আমাদের ভালবাসা আছে সে অসিলায় আমাদের সুস্থতা দান করুন।

২। নিষিদ্ধ অসিলাঃ উহা হচ্ছে মৃতদের নিকট দু’আ করা। তাদের নিকট নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস চাওয়া যা বর্তমান যামানায় দেখা যায়। উহা বড় শিরকের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর আল্লাহকে ছেড়ে এমন অন্যদের ডেক না, যারা না তোমাদের কোন উপকার করতে পারে, আর না পারে ক্ষতি করতে। যদি তা কর, তবে নিশ্চয় তুমি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে। (সূরা ইউনুস, ১০৬)

৩। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মানের অসিলায় যেমন বলাঃ হে আমার রব, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসিলায় আমাকে সুস্থতা দান করুন। ইহা বিদ’আত। কারণ, সাহাবায়ে কেরামগণ (রাঃ) কেহই ইহা করেননি। আর ওমর (রাঃ) আব্বাস (রাঃ) এর দু’আর দ্বারা অসিলা করেছিলেন তাঁর জীবদ্দশায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর কেহ তাঁর অসিলায় দু’আ করেননি।

এই জাতীয় অসিলা তালাশ করা মানুষদের শিরক পর্যন্ত পৌছিয়ে দেয়। যখন কেউ এই ধারনা করে যে, আল্লাহ তাআলার নৈকট্য পেতে হলে মানুষদের মত মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন, তখন তা স্পষ্ট শিরক। যেমন আমীর বা শাসকবৃন্দের নিকট যেতে হলে মধ্যস্থ দরকার তেমনি যদি আল্লাহ তাআলার ব্যাপারেও ধারনা করা হয় তাহলে সৃষ্টিকে স্রষ্টার সাথে তুলনা করা হয়ে যায়।

আবু হানিফা (রঃ) বলেনঃ আল্লাহ তাআলার নিকট কোন কিছু চাইতে, আল্লাহ ছাড়া অন্যের অসিলা করাকে আমি অপছন্দ করি। (দুররে মুখতার)

প্রশ্নঃ দু’আতে কি কোন সৃষ্টির অসিলা করা প্রয়োজন?

উত্তরঃ না, এই ধরণের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর যখন আমার বান্দা আপনার নিকট আমার কথা জিজ্ঞেস করে তখন (তাদের বলুন) নিশ্চয় আমি অত্যন্ত নিকটে। (সূরা বাক্বারাহ, ১৮৬)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

إنكم تدعون سميعا قريبا وهو معكم . رواه مسلم

নিশ্চয় তোমরা এমন এক সত্বাকে ডাকছ যিনি অত্যন্ত নিকটে ও সর্বশ্রোতা এবং তোমাদের সাথেই আছেন। (বর্ণনায় মুসলিম)

প্রশ্নঃ জীবিত ব্যক্তিদের নিকট দু’আ চাওয়া জায়েয আছে কি?

উত্তরঃ হ্যাঁ জীবিত এবং উপস্থিত ব্যক্তিদের নিকট দু’আ চাওয়া জায়েয। আল্লাহ তালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবিত অবস্থাতেই তাকেঁ সম্বোধন করে বলেনঃ

(আরবি)

আর আপনি ক্ষমা প্রার্থনা করুন আপনার গুনাহের জন্য, আর সাথে সাথে মুমিন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য। (সূরা মুহাম্মদ ,১৯)

একদিন এক চোখ কানা এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যাতে আমাকে সুস্থ করে দেন। তিনি বলেনঃ যদি চাও, তবে তোমার জন্য দু’আ করব। কিন্তু যদি পার তবে সবর কর। উহাই তোমার জন্য উত্তম।

প্রশ্নঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যম কি?

উত্তরঃ তাঁর মাধ্যম হল তাবলীগ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

হে রাসূল ! আপনার রবের নিকট হতে যা আপনার উপর অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার করুন। (সূরা মায়িদাহ, ৬৭)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে আল্লাহ ! আপনি স্বাক্ষী থাকুন। একথা তখন বলেছিলেন, যখন সাহাবায়ে কিরাম বলেনঃ আমরা স্বাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি নিশ্চয় সঠিকভাবে বার্তা পৌছিয়েছেন। (বর্ণনায় মুসলিম)

প্রশ্নঃ কার নিকটে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফায়াত প্রার্থানা করব?

উত্তরঃ তাঁর শাফায়াত একমাত্র আল্লাহ্ তাআলার নিকট প্রার্থনা করব। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

হে নবী বলুনঃ সমস্ত শাফায়াত একমাত্র আল্লাহর জন্য। (সূরা যুমার, ৪৪)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বলতে শিখিয়েছেনন:

আল্লাহুম্মা শাফফিহু ফিইয়া। অর্থাৎ হে আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমার জন্য শাফায়াতকারী বানিয়ে দিন। (বর্ণনায় তিরমিযি, হাসান সহীহ)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

وإني اختبأت دعوتي شفاعة لأمتي يوم القيامة . فهي نائلة ، إن شاء الله ، من مات من أمتي لا يشرك بالله شيئا .

رواه مسلم

আমি আমার ঐ দু’আকে গোপন রেখেছি, যে দু’আদ্বারা আমি কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের জন্য শাফায়াত করব। আমার ঐ সমস্ত উম্মতের জন্য শাফায়াত, যারা মারা গেছে কিন্তু কোন শিরক করে নাই। (বর্ণনায় মুসলিম)

প্রশ্নঃ আমরা কি জীবিতদের নিকট শাফায়াত প্রার্থনা করব?

উত্তরঃ দুনিয়ার ব্যাপারে তাদের নিকট ইসলাম সম্মত শাফায়াত (সুপারিশ) তালাশ করা যাবে।

আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

যে উত্তম সুপারিশ করবে, তার ভাগ্যেও উহার কিছু মিলবে। আর যে নিকৃষ্ট শাফায়াত করবে তার ভাগ্যেও ঐ নিকৃষ্ট জিনিসই মিলবে। (সূরা নিসা, ৮৫)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ শাফায়াত কর, প্রতিদান পাবে। (বর্ণনায় আবুদাউদ)

প্রশ্নঃ আমরা কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করব?

উত্তরঃ আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রশংসা অবশ্যই করব। তবে উহাতে আমরা বাড়াবাড়ি করব না।

আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

হে নবী বলুন, আমি তোমাদের মতই মানুষ। আমার নিকট ওহি প্রেরণ করা হয়। নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক ও অদ্বিতীয়। (সূরা কাহাফ, ১১০)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমার প্রশংসার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি কর না, যেমন ভাবে খৃষ্টানরা ঈসা ইবনে মরিয়ামের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি তো একমাত্র আল্লাহর বন্দা। তাই বল, আল্লাহর বান্দাও তার রাসূল। (বর্ণনায় বুখারী)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রশংসার ব্যাপারে যা কোরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে তাকে অবশ্যই করতে হবে। কারণ উহা তাঁর পাওনা।

প্রশ্নঃ প্রথম সৃষ্টি কি কি?

উত্তরঃ মানুষদের মধ্যে আদম (আঃ)। আর অন্যদের মধ্যে আরশ, তারপর কলম।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর যখন তোমার রব মালাইকাদের (ফিরেশতাদের) বললেনঃ নিশ্চয় আমি মাটি হতে মানুষ সৃষ্টি করব। (সূরা সোয়াদ, ৭১)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

كلكم بنو آدم وآدم من تراب . رواه البزار

তোমরা সকলে আদমের সন্তান। আর আদম (আঃ) কে মাটি হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। (বর্ণনায় বাজ্জার)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

إن أول ما خلق الله القلم . رواه أبوداود الترمذي حسن صحيح

আল্লাহ তাআলা প্রথম সৃষ্টি করেছেন কলম। অর্থাৎ পানি ও আরশের সৃষ্টির পর তিনি কলম সৃষ্টি করেছেন।

(বর্ণনায় আবু-দাউদ, তিরমিযি, হাসান সহীহ)

আর যে হাদীসে বলা হয়েছেঃ হে যাবের ! আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন- উহা মউদু বা বানোয়াট হাদিস, উহার কোন সনদ নেই।

প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলা কি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নূর হতে, না বীর্য হতে সৃষ্টি করেছেন?

উত্তরঃ আল্লাহ তাআলা অন্যান্য মানুষের মতই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বীর্য হতে সৃষ্টি করেছেন। এ প্রসংগে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি হতে, তারপর বীর্য হতে। (সূরা গাফির, ৬৭)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী পাঠ করলে দেখা যায় যে, তিনি পিতা-মাতান মাধ্যমে জন্ম লাভ করেছেন। অন্যান্য মানুষরা যেমনি ভুমিষ্ট হয়, তিনিও তেমনি ভুমিষ্ঠ হয়েছেন। তাকে অন্যান্যের মতো রোগ, ক্ষুধা, পিপাসা ও কষ্ট স্পর্ষ করত। অহুদের যুদ্ধে আহত হয়েছেন, এবং এই জাতীয় অন্যান্য সাধারণ অবস্থা, যা অন্য মানুষদের ব্যাপারে ঘটে থাকে তার ব্যাপারেও ঘটেছিল। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের হুকুম করেছেন তাঁর অনুসরণ করতে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনীতে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আল আহযাব: ২১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন