মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে কোন খারাপ ধারণা ঈমান নষ্ট করে
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/17/65
চতুর্থ ভাগঃ ঈমান নষ্টকারী আমলসমূহের মধ্যে আছে কোন একজন রাসূলকে অস্বীকার করা বা তাদের সম্বন্ধে কোন খারাপ ধারনা পোষণ করা। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছেঃ
১। আমাদের রাসূলের সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম রিসালাতকে অস্বীকার করা। কারণ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে আল্লাহর রাসূল এই সাক্ষ্য দেয়া ইসলামের রোকনের এক রোকন।
২। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কোন খারাপ ধারনা পোষণ করা বা সত্যবাদিতা সম্পর্কে বা আমানত বা পবিত্রতা সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি দেয়া, অথবা কোন ঠাট্টা বিদ্রুপ করা, অথবা তার অবমূল্যায়ন করা অথবা তার কার্য সমূহ যা সাবেত আছে সে সম্পর্কে কোন আজে বাজে কথা বলা।
৩। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন সহীহ হাদীস সম্পর্কে খারাপ কথা বলা বা তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করা অথবা তিনি যাদি কোন সত্য খবর দিয়ে থাকেন তাকে অস্বীকার করা। যেমনঃ দজ্জালের প্রকাশ পাওয়া অথবা ঈসা (আঃ) কে আসমান হতে অবতীর্ণ হয়ে তার শরীয়ত মত বিচার করবেন একথা অস্বীকার করা। এ জাতীয় আরো অনেক কথা যা কোরআন দ্বার প্রমানিত তা অস্বীকার করা।
৪। অথবা কোন একজন রাসূলকে অস্বীকার করা যাদের আল্লাহ তাআলা প্রেরণ করেছিলেন আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্বে অথবা তাদের সময়ে তাদের সমপ্রদায়ের সাথে যে ঘটনা ঘটেছিল যা আল্লাহ তাআলা কোরআনে বর্ণনা করেছেন বা রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহীহ হাদীসে বর্ণনা করেছেন তা অস্বীকার করা।
৫। যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরে মিথ্যা নবুয়তের দাবী করে। যেমন- মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী করেছে কোরআন তার দাবীর বিরোধিতা করে বলেছেঃ
(আরবি)
মুহাম্মদ তোমাদর মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন। কিন্তু তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সমস্ত নবীদের শেষ নবী। (সূরা আল আহযাব, আয়াত ৪০)
এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
أنا العاقب الذي ليس بعده نبي ( متفق عليه )
আমিই শেষ, আমার পর আর কোন নবী নেই। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)
যদি কেহ বিশ্বাস করে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর অন্য কোন নবী আছে, সে কাদিয়ানীই হউক বা অন্য কেহ, তবে সে কুফরি করল এবং তার ঈমান নষ্ট হয়ে গেল।
৬। যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এমন সব গুণে বিভূষিত করে যা আল্লাহ তাআলা করেননি । যেমনঃ সর্ব ধরনের এলমে গায়েব তিনি জানতেন। যেমনঃ অনেক সুফী পীরেরা বলে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে সম্বোধন করে তাদের এক কবি বলেঃ
হে সমস্ত গায়েব জাননেওয়ালা! আপনার উপর দরূদ বর্ষিত হউক।
৭। যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে এমন জিনিস পেতে ইচ্ছা করে যা দেবার মালিক আল্লাহ ছাড়া অন্য কেহ নয়। যেমনঃ সাহায্য চাওয়া, বিজয়ের সাহায্য চাওয়া, রোগমুক্তি অথবা এই জাতীয় কার্যসমূহ, যা আজ মুসলিমদের মধ্যে বহু দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সুফীদের মধ্যে। তাদের কবি বুসাইরী বলেনঃ এমনকি গভীর জঙ্গলে কোন সিংহ যদি কারও সম্মুখে এসে আক্রমণ করতে উদ্যত হয় এবং এমন মুহুর্তে যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট সাহায্য চাওয়া হয় তবে তিনি তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। যতবারই সময়ের চক্র আমাকে কষ্টে ফেলেছে আর আমি তার নিকট আশ্রয় চেয়েছি ততবারই উহা তার নিকট হতে পেয়েছি।
আল কোর-আনের দৃষ্টিতে এই জাতীয় কথাগুলো শিরক দ্বারা পূর্ণ। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেন।
(আরবি)
সাহায্য কখনো আসতে পারে না আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেহ হতে। (সূরা আনফাল ১০)
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও উপরোক্ত ধরণের কবিতার বিরোধিতা করে বলেনঃ
“যদি কিছু চাও আল্লাহর নিকট চাও। আর যিদি সাহায্য চাও তার নিকটেই চাও (বর্ণনায় তিরমিযি)
তাহলে কিভাবে এটা সম্ভব যে, লোকেরা বলে থাকে, আউলিয়াগণ গায়েবের এলেম জানেন অথবা তাদের জীবিত অবস্থায় বা মৃত্যুর পর নজর নেয়াজ মানত দেয়। আর তাদের জন্য পশু যবেহ কর। আর তাদের কাছে এমন সব জিনিসের দাবী করে যা আল্লাহ ছাড়া কারো নিকট পাওয়ার আশা নাই। যেমনঃ রিযিক চাওয়া, রোগ মুক্তি চাওয়া ও বিপদে উদ্ধার চাওয়া ও এই জাতীয় অন্যান্য সাহায্য প্রার্থনা! এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এই আমলগুলো বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
৮। তবে আমরা রাসূলগণের কোন মোজেযাকে অস্বীকার করি না। আর না আউলিয়াগণের কারামতসমূহ অস্বীকার করি। তবে যেটা আমরা অস্বীকার করি তা হল তাদেরকে আল্লাহর শরীক স্থির করা।
আল্লাহর নিকট যেভাবে দু’আ করি তাদের নিকট ও একই ভাবে দু’আ করা কিংবা তাদের জন্য যবেহ করা অথবা তদের জন্য নজর নেয়াজ মানত পেশ করা। এমনকি তাদের কারো কারো মাজার টাকা পয়সা দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায়। আর উহা ঐ মাজারের খাদেম ও পুজারীরা গ্রহণ করে অন্যায় ভাবে ভক্ষণ করে। আর অন্যদিকে কত ফকির মিসকিন রয়েছে যাদের এক মুষ্ঠি আহার জোটে না।
এক কবি বলেনঃ
আমাদের কত জীবিত ব্যক্তি আছেন যারা এক পয়সাও পায় না। আর অনেক মৃতরা লাখ লাখ টাকা কামাই করে।
অন্যদিকে অনেক ধরনের মাজার, (কবর) জিয়ারতের পবিত্র জায়গার মূল বলে কিছুই নেই। বরং ওগুলো মিথ্যাবাদীদের বানান। এই সমস্ত ধোকাবাজরা ঐগুলো স্থাপন করেছে যাতে করে মানত, নজরানার নামে তাদের নিকট টাকা পয়সা আসে। এর দলীল নিম্মে পেশ করছি।
প্রথম ঘটনা
ِআমার এক বন্ধু, যার সাথে আমি একত্রে পড়াশুনা করেছি তিনি বলেনঃ সুফীদের একপীর একদা আমার মা’র বাড়ীতে আসেন এবং তার নিকটে চাঁদা চায় একটা নির্দিষ্ট রাস্তায় এক ওলির কবরে সবুজ পাতাকা স্থাপন করার জন্য। তখন তিনি তাকে কিছু টাকা দেন। সে ইহা দ্বারা একটা সবুজ কাপড় খরিদ করে এবং উহা কবরের উপর স্থাপন করে। তারপর লোকদের ডেকে ডেকে বলতে থাকেঃ ইনি আল্লাহর অলিদের একজন। আমি স্বপ্নে তার দেখা পাই। এইভাবে সে টাকা পয়সা জমাতে শুরু করে। তারপর যখন সরকারের তরফ হতে রাস্তা প্রশস্ত করতে চায় এবং কবরকে উচ্ছেদ করতে চায় তখন ঐ ব্যক্তি, যে এই মিথ্যা কবরকে স্থাপন করেছিল, এই বলে চতুর্দিকে গুজব ছড়াতে লাগল যে, যে যন্ত্র দ্বারা এই মাজার উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল উহা ভেঙ্গে গিয়েছে। কিছু কিছু লোক উহা বিশ্বাসও করে। চতুর্দিকে এ কথা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সরকারী লোকজন ও এ ব্যাপারে ভয় পেতে শুরু করে। এই দেশের এক মুফতি সাহেব আমাকে বলেন যে, হুকুমতের লোকেরা এক মধ্যরাত্রিতে তার নিকটে এসে বলল, ওমুক অলীর কবরকে অপসারণ করতে হবে। তিনি সেখানে যেয়ে দেখেন সৈন্যরা ঐ জায়গা ঘিরে রেখেছে। তারপর যন্ত্রপাতি এনে কবরকে উচ্ছেদ কারা হয়। এই মুফতী কবরস্থানে প্রবেশ করলেন ভিতরে কি আছে তা দেখার জন্য, কিন্তু তিনি ভিতরে কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন বুঝাতে পারলেন এই কবর মিথ্যা ও বানান।
দ্বিতীয় ঘটনা
আমরা মক্কার হারাম শরীফের এক শিক্ষকের নিকট এই ঘটনা শুনেছিলাম। একদা এক ফকির ব্যক্তি তার মত আর এক ফকিরের সাথে সাক্ষাৎ করে। প্রত্যেকেই তাদের দারিদ্রের ব্যাপারে বহু কথা বলে। তারপর তারা এক অলীর কবরের প্রতি খেয়াল করে দেখে যে, উহা টাকা পয়সা, সম্পদ দ্বারা পরিপূর্ণ। তখন তাদের একজন অন্যজনকে বলে যে, এসো, আমরা একটা কবর বানিয়ে তা এক অলীর নামে প্রচার করি, ফলে আমরা অনেক টাকার মালিক হয়ে যাব
তার বন্ধু তাতে সম্মত হয় এবং তারা একত্রে রাস্তা দিয়ে হাটতে শুরু করে। রাস্তায় দেখে, এক গাধা চিৎকার করছে। তখন তারা তাকে যবেহ করে এবং এক গর্তে তাকে পুতে রাখে। আর তার উপরে এক কবর ও গুম্বুজ তৈরী করে। তখন তাদের প্রত্যেকে ঐ কবরে মাথা ঘষতে থাকে, সিজদা করতে থাকে বরকতের জন্য। রাস্তা দিয়ে যারা যাচ্ছিল তারা এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। তারা বলে, ইহা হচ্ছে আল্লাহর অলী হুবাইশ ইবনে তুবাইশের কবর। তার যে কত কেরামত ছিল তা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। ফলে, কবরের নিকটে লোকেরা নজর মানত হিসাবে টাকা পয়সা, সদকাহ ও অন্যান্য দান খয়রাত করতে শুরু করে। এভাবে আস্তে আস্তে প্রচুর টাকা জমা হয়। একদিন এই ফকিরদ্বয় বসে বসে তাদের টাকা পয়সা ভাগ করতে শুরু করে। ভাগ করতে যেয়ে তাদের মধ্যে মত বিরোধ দেখা দেয়। তাদের চেচামেচি শুনে লোকেরা জড় হতে শুরু করল। তখন তাদের একজন বললঃ এই অলীর কসম আমি তোমার নিকট হতে কোন টাকা গ্রহণ করিনি। তখন অন্যজন বললঃ তুমি এই অলীর কসম খাচ্ছ! তুমি ও আমি এটা ভাল করেই জানি যে, এই কবরে এক গাধা আছে যাকে আমরাই দাফন করেছিলাম। লোকেরা তার কথা শুনে বিস্ময়ে অবাক হয়ে গেল। আর তারা যে নজর নেয়াজ দিয়েছিল তার জন্য আফসোস করতে শুরু করল। তখন তাদের ধমকিয়ে ও তিরষ্কার করে লোকেরা তাদের মালামাল ফেরত নিয়ে গেল!!
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/17/65
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।