hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৭৩
আক্বীদা ও তাওহীদের গুরুত্ব
প্রশ্নঃ দ্বীনের অন্যান্য কাজ হতে আমরা তাওহীদের গুরুত্ব কেন বেশী দেই ?

উত্তরঃ আমরা যে তাওহীদের বিশেষ গুরুত্ব দেই তার অনেকগুলো কারণ রয়েছে।

১। তাওহীদ হচ্ছে শিরকের বিপরীত। উহা হচ্ছে দ্বীনের ভিত্তি সমূহের মধ্যে বিশেষ ভিত্তি যার উপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। আর তা কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর স্বাক্ষীর মধ্যে প্রকাশ পায়।

২। তাওহীদ হচ্ছে ঐ জিনিস যা উচ্চারণের কারণে একজন কাফির ইসলামে দাখিল হয়, ফলে তাকে হত্যা করা যাবে না। আর যদি কোন মুসলিম উহা (তাওহীদ) অস্বীকার করে অথবা ঠাট্টা তামাশা করে তখন সে দ্বীন হতে বের হয়ে যায়।

৩। তাওহীদ হচ্ছে সমস্ত রাসূলদের দাওয়াতের মূল কথা যার দিকে তাঁরা তাদের উম্মতদের দাওয়াত দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

এবং নিশ্চয় আমি প্রত্যেক উম্মতের নিকট এই বার্তা নিয়ে রাসূলদের প্রেরণ করেছি যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুতদের হতে দূরে থাক। (সূরা নাহাল ৩৬)

৪। এই তাওহীদের কারণেই আল্লাহ তাআলা সমস্ত জগতকে সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

নিশ্চয়ই আমি জ্বীন এবং ইনসানকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।

(সূরা যারিয়াত ৫৬)

আয়াতে ইবাদত অর্থ আল্লাহর একত্ববাদ ও অদ্বিতীয়তা প্রকাশ করাকে বুঝানো হয়েছে।

৫। তাওহীদ এমন এক ব্যাপক অর্থ সম্বলিত শব্দ যার মধ্যে সামিল আছে রবুবিয়াত, উবুদিয়াত, হুকুম আহকাম, আল্লাহ তাআলার সুন্দর নামসমূহ এবং পরিপূর্ণ সিফাত, আর সমস্ত ধরণের ইবাদত।

৬। তার গুণবিশিষ্ট নাম ও গুণাবলী সম্পর্কীয় তাওহীদের গুরুত্ব অনেক বেশী। লেখক বলেনঃ একদা এক মুসলিম যুবকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। সে বলেছিলঃ আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক স্থানে এবং প্রত্যেক বস্তুর মধ্যে বিরাজমান। আমি তাকে বল্লামঃ যদি মনে কর, তার জাত সর্বত্র বিরাজমান তবে ইহা বড় ভুল ধারণা। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

নিশ্চয়ই আল্লাহ রহমান আরশের উপর সমাসীন।। (সূরা ত্বাহা ৫)

আর যদি ধারনা করে থাক যে, আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথেই আছেন, আমাদের কথা শ্রবন করেন, আমাদের অবস্থা জানেন ও দেখেন। তাহলে ইহা সঠিক কথা। আমার এই বিশ্লেষণে ঐ যুবক খুশি হয়ে তা মেনে নিল।

৭। তাওহীদের উপরই নির্ভর করছে মানুষের ইহজগত ও পরজগতের সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য।

৮। তাওহীদের কারণেই আরবের লোকেরা শিরক, জুলুম, মূর্খতা ও দলাদলি হতে বের হয়ে ন্যায়-পরায়ণতা, সম্মান, জ্ঞান-গরিমা, ঐক্য ও সাম্য অর্জন করেছিল।

৯। তাওহীদের মাধ্যমেই মুসলিমগণ রাজ্যসমূহ জয় করেছিল। যারা ছিল অত্যাচারী, শয়তানের দাস ও তাগুতদের ইবাদতকারী তার হয়েছিল এক আল্লাহ তাআলার ইবাদতকারী। সাথে সাথে তারা বিকৃত দ্বীন ধর্মের জুলুম হতে বের হয়ে প্রবেশ করেছিল ইসলামের ন্যায়পরায়ণতার স্বর্ণযুগে।

১০ তাওহীদের মাধ্যমেই মুসলিমগণ জিহাদ, আত্মোৎসর্গ এবং জানমাল কোরবান করায় উদ্বুদ্ধ হতে পেরেছিল।

১১। তাওহীদ আরব ও অনারবকে একসূত্রে গ্রথিত করে একই কাতারে সামিল করে। তাই দেখতে পাই, তাওহীদের যে পুনঃ দাওয়াত দিয়েছিলেন মুজাদ্দেদে ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব, তা হাজীদের মাধ্যমে যখন পাক-ভারতে পৌছে তখন ইংরেজেরা খুবই ভয় পেয়ে যায়। কারণ ইংরেজেরা বুঝেছিল যে, এ দাওয়াত পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার সমস্ত মুসলিমদের একতাবদ্ধ করে দেবে এবং যেসব দেশ তারা জবর দখল করে আধিপত্য কায়েম করেছি ঐ সমস্ত দেশ হতে মুসলিমরা ইংরেজদের তাড়িয়ে দেবে। তাই ইংরেজরা তাদের অনুসারীদের নিয়ে এই তাওহীদের দাওয়াতর মুকাবিলা করতে থাকল। আর তারা এই তাওহীদের দাওয়াতের নাম পাল্টিয়ে প্রচারণা চালাতে থাকল “ওহাবী মতবাদ” বলে। যাতে মুসলিমরা তাওহীদী দাওয়াত হতে দূরে সরে থাকে। শায়েখ আলী আত তানতাভী

তার “শহীদ আহম্মদ ওরফান” এবং “মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহব” নামক কিতাবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।

১২। তাওহীদ মানুষের শেষ অবস্হান কোথায় হবে তা নির্ধারণ করে। যদি সে একত্ববাদী হয় তবে তার ঠিকানা হবে জান্নাত। আর যদি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয় তবে সে হবে জাহান্নামী।

১৩। তাওহীদের কারণেই যুদ্ধ, জিহাদ ঘটে। ঐ রাস্তাতেই মুসলিমরা শাহাদাৎ বরণ করেন। উহার কারণেই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। আর তাওহীদের কারণেই মুসলিমগণ আজও পর্যন্ত যুদ্ধ, জিহাদ করছে। তাদের কোন ইজ্জত লাভ হবে না অথবা সাহায্য আসবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তাওহীদকে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করে। ইসলামের উষালগ্নে এই তাওহীদই মুসলিমদের একত্রিত করেছিল এবং বিশাল ইসলামীরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছিল।

বর্তমানেও মুসলিমগণ তাদের পূর্ব গৌরব-সম্মান এবং রাষ্ট্রকে ফিরে পেতে পারে যদি তারা তাওহীদের দিকে প্রত্যাবর্তন করে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

হে ঈমানদারগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে (আল্লাহর দ্বীনকে) সাহায্য কর তবে তিনি তোমাদের অবশ্যই সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা কে দৃঢ় রাখবেন। (সূরা মুহাম্মদ ৭)

প্রশ্নঃ দ্বীন ও আক্বীদা মানুষের জন্য কেন আবশ্যকীয়?

উত্তরঃ মানুষ প্রকৃতিগত কারণেই সীমাবদ্ধ ক্ষমতার অধিকারী। তাকে সমস্ত ধরণের ইবাদত করতে হবে একমাত্র আল্লাহ তাআলার খুশির জন্য। মানুষ তার স্বভাবজাত অভ্যাস অনুযায়ী কখনও চায় না যে, সামান্য অবহেলিত বস্তু- পদার্থের মত বেচে থাকুক। এজন্য অবশ্যই তার আল্লাহ্ প্রদত্ত আক্বীদার জ্ঞান থাকা দরকার যা তাকে তার চতুস্পার্শ্বের জিনিসের ব্যাখ্যা দেবে এবং তার অবস্থান ও শক্তিকে নির্দিষ্ট করে দেবে এবং তার সমস্ত কার্যকলাপকে নিয়মের মধ্যে এনে দেবে। সাথে সাথে তার জন্য সরল সঠিক এক রাস্তা বের করে দেবে যা তার দুনিয়া ও আখিরাতে সুখ-সমৃদ্ধির কারণ হবে। এই আক্বীদাই হচ্ছে তার জন্য স্পষ্ট আলোকবর্তিকা স্বরূপ, যার থেকে বের হয়ছে হুকুম আহকাম ও শরিয়তের নিয়মাবলী। যাতে করে মানুষ চলার রাস্তাকে নির্দিষ্ট করে খুজে পায় এবং তাকে পৌছায় এমন এক নিরাপত্তা ও দৃঢ়তায় যাতে আছে তার জন্য হিদায়াত ও নূর আর বিজয় ও কামিয়াবী।

আল্লাহ তালা বলেনঃ

(আরবি)

আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করলাম । আল্লাহর রং অপেক্ষা অধিক সুন্দর আর কে আছ? আমরা সকলেই তার বান্দা।। (সূরা বাক্বারাহ ১৩৮)

প্রশ্নঃ আল্লাহর দ্বীনের প্রতি দাওয়াত দাতা (দায়ী) এবং ইসলামী দলগুলোর উপর ওয়াজিব কি?

উত্তরঃ আল্লাহর প্রতি আহবানকারী ইসলামী জামাআতের উপর ওয়াজিব হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার কিতাব ও সহী সুন্নাত মুতাবেক জীবন যাপন করা। আর তাদের দাওয়াতের কাজ ঐ ভাবে শুরু করা যেভাবে সমস্ত নবী ও রাসূলগণ শুরু করেছিলেন। তাদের মধ্যে সর্বোত্তম আমাদের নবী সায়্যেদানা মুহম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব প্রথম তাওহীদের দিকে দাওয়াত দিয়েছিলেন “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কবুল করার জন্য। এই কালেমার অর্থ হচ্ছে –আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তিনি তের বছর যাবত মক্কায় এই কালেমার দিকেই দাওয়াত দিয়েছিলেন। এ ভাবেই আস্তে আস্তে তার সাহাবা (রাঃ) কিরামের মধ্যে ইবাদত কি জিনিস সে ধারণা দৃঢ়ভাবে তাদের অন্তরে গেথে যায়। তারা বুঝতে পারেন, দুআ, যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে নিবেদন করা চলবে না। কারণ একমাত্র তিনিই সব কিছু করার মালিক, অন্যেরা অসমর্থ। আর শরিয়তের হুকুম আহকাম প্রবর্তন করা এবং বিচার করার মালিক আল্লাহ তাআলা। কারণ, তিনিই হচ্ছেন স্রষ্টা। আর বান্দার মঙ্গলও উপযোগী কর্ম সম্পর্কে তিনিই অধিক জ্ঞাত। তারপর তিনি মদীনায় হিজরত করেন এবং ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করেন এবং লোকদের জিহাদ ও যুদ্ধের জন্য আহবান করেন, যাতে আল্লাহ্ তাআলার কালেমা ও বাণী সমুন্নত হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন