hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৬৯
দ্বিতীয় অধ্যায় ইসলাম ও ঈমানের অর্থ
প্রশ্নঃ ইসলাম কি?

উত্তরঃ ইসলাম হচ্ছে তাওহীদ কিংবা আল্লাহর একত্ববাদের কথা মনে প্রাণে স্বীকার করে তার নিকট নিজকে সম্পূর্ণভাবে সমর্পন করা। আর সাথে সথে তার আনুগত্য করা এবং শিরকের যাবতীয় কার্যবলী হতে দূরে থাকা। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

বরং যে ব্যক্তি সম্পূর্ণরূপে নিজকে আল্লাহ তাআলার নিকট উত্তমভাবে সমর্পন করে আর সে সুন্দরভাবে সৎকর্ম সম্পাদনকারী তার পুরস্কার মিলবে তার রবের নিকট থেকে। তাদের কোন ভয় থাকবে না, আর না হবে তারা দুঃখিত। (সূরা আল-বাক্বারাহ ১১২)

রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

الإسلام أن تشهد أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله ، وتقيم الصلاة ، وتؤتي الزكاة ، وتصوم رمضان ، وتحج البيت إن استطعت إليه سبيلا .

ইসলাম হচ্ছে মনে প্রাণে এই স্বাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকারের কোন মা’বুদ নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার প্রেরিত পুরুষ, সালাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, রমযান মাসে সিয়াম পালন করা, আর যদি সামর্থ্য থাকে তবে আল্লাহর ঘরে হজ করা।(বর্ণনায় মুসলিম)

প্রশ্নঃ ঈমান কি?

উত্তরঃ ঈমান হচ্ছে অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাস এবং সাথে সাথে উহা মুখে উচ্চারণ করা এবং অঙ্গ প্রতঙ্গ দ্বারা আমল করা। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আরবের বেদুইনেরা বলে, আমরা ঈমান এনেছি। হে নবী (তাদের) বলুনঃ তোমরা এখন পর্যন্ত ঈমান আননি, বরং বলঃ আমরা নিজেদের আশা আকাংখাকে আল্লাহর উপর সর্মপন করেছি। কারণ ঈমান এখন পর্যন্ত তোমদের অন্তরে প্রবেশ করেনি। (সূরা হুজুরাত ১৪)

আর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

أن تؤمن بالله ، وملائكته ، وكتبه ، ورسله ، واليوم الآخر . وتؤمن بالقدر خيره وشره

ঈমান হল আল্লাহর উপর, তার মালাইকাদের উপর (ফিরিশাতাদের) উপর, তার কিতাবসমূহের উপর, তার রাসূলদের উপর, আখিরাতের উপর, এবং ক্বদর বা ভাগ্যের ভালমন্দের উপর আস্থা বা বিশ্বাস স্থাপন করা। (বর্ণনায় মুসলিম)

ইমাম হাসান আল বসরী (রঃ) (মৃত্যু১১০ হিজরী) বলেনঃ শুধুমাত্র মনের ইচ্ছা কিংবা বাইরের সাজ পোশাকই ঈমান নয়, বরং উহা হচ্ছে অন্তরের দৃঢ়তা এবং আমল উহাকে সত্যায়িত করে।

প্রশ্নঃ আপনার রব কে?

উত্তরঃ আমার রব হচ্ছে ঐ আল্লাহ, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং

প্রতিপালনও করছেন, আর সাথে সাথে সমস্ত মাখলুককেও সৃষ্টি করেছেন এবং তার নিয়ামত দ্বারা লালন পালন করছেন। তিনিই আমার মা’বুদ, তিনি ব্যতীত আমার অন্য কোন মা’বুদ বা উপাস্য নেই। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক। (সূরা ফাতিহা ২)

প্রশ্নঃ আপনার দ্বীন বা ধর্ম কি?

উত্তরঃ আমার দ্বীন হচ্ছে আল্লাহ মনোনীত একমাত্র ধর্ম ইসলাম, আর উহা ইবাদত ও আনুগত্যের ঐ সমস্ত কথা ও কাজ যা কোরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। (সূরা আল ইমরান ১৯)

প্রশ্নঃ আপনার নবী কে?

উত্তরঃ আমার নবী হচ্ছেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম । তিনি মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম। তিনি মক্কা শরীফে জন্ম গ্রহণ করেন। তার মা হলেন আমিনা বিনতে ওয়াহাব। তিনি সমস্ত মানব জতির জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত নবী ও রাসূল। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যের কোন পুরুষের পিতা নন। বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সমস্ত নবীদের শেষ নবী। (সূরা আহযাব ৪০)

যখন তার উপর এই আয়াত নাযিল হয় তখন তিনি নবী রূপে পরিগণিত হনঃ

(আরবি)

পড় তোমার ঐ রবের নামে যিনি (সমস্ত কিছু) সৃষ্টি করেছেন। (সূরা আলাক ১)

অতঃপর তিনি রাসূল রূপে প্রকাশ পান ঐ সময়, যখন তার উপর নাজিল হয় আল্লাহ তাআলার ঐ বাণীঃ

(আরবি)

হে চাদরে আবৃত ব্যক্তি ! উঠুন এবং ভয় প্রদর্শন করুন। (সূরা মুদ্দাসেসর ১-২)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ

(আরবি)

আপনি বলুন, হে মানবমন্ডলী ! আমি তোমাদের সকলের প্রতি আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। (সূরা আল আ’রাফ ১৫৮)

তিনি শেষ নবী, তারপর আর কোন নবী ও রাসূল নেই।

তার বয়স যখন চল্লিশ বছর তখন তার উপর ওহী নাজিল হয়। নবূয়ত প্রাপ্তির তের বছর পর তিনি মদীনায় হিজরত করেন। এরপর তিনি সেখানে দশ বছর অবস্থান করেন এবং যখন তার বয়স তেষট্টি বছর তখন তিনি মদীনায় ইন্তেকাল করেন।

তিনি প্রথমে যে কথার দিকে দাওয়াত দিয়েছেন তা হচ্ছে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ। উহা হচ্ছে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলা। অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মা’বুদ বা উপাস্য নেই। তার প্রভূ তাকে নির্দেশ দেন একমাত্র তার নিকটই দু’আ করতে এবং উহাতে কাউকে শরিক না করতে। তার যামানায় মুশরিকরা দু’আর ভিতরে যে শিরক করত তা হতে তাকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাকে বলেনঃ

(আরবি)

হে নবী আপনি বলুন, আমিতো একমাত্র আমার রবের প্রার্থনা করি এবং তার সাথে অন্য কাউকে শরিক করি না। (সূরা জিন, ২০)

রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

الدعاء هو العبادة ( رواه الترمذى )

দু’আ হচ্ছে ইবাদত। (বর্ণনায় তিরমিযী)

তাই মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব হচ্ছে, একমাত্র আল্লাহকে ডাকা এবং তার সাথে অন্য কাউকে না ডাকা। তা তিনি নবী হউন বা ওলীই হউন, কাউকে দু’আ প্রার্থনায় চশরিক না করা। কেননা, একমাত্র আল্লাহই সমস্ত কিছু করার ক্ষমতা রাখেন। অন্য যে মৃতরা কবরে শুয়ে আছেন তারা তাদের নিজেদের কষ্টই দূর করতে অপারগ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যদের ডাকে তারা কোন জিনিস সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে না বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা জীবিত নয়, বরং মৃত। এমনকি তাদের ঐ খবরও নেই যে, কবে তাদের পুনর্জীবিত করা হবে।

(সূরা নাহাল ২০-২১)

প্রশ্নঃ আখিরাতে পূণর্জীবন সম্বন্ধে আপনার আক্বীদা বিশ্বাস বা ধারণা কি? আর উহাকে অস্বীকারকারীর হুকুম কি?

উত্তরঃ আখিরাতে পূণর্জীবন সম্বন্ধে আমার আক্বীদা হচ্ছেঃ উহার উপর ঈমান আনা ওয়াজিব। উহা আল্লাহর উপর ঈমান আনার ব্যাপারে এমন একটি অংশ যা কখনই পৃথক করা যায় না। যিনি সমস্ত সৃষ্টিকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব দান করেছেন। তিনিই সমস্ত কিছু ধ্বংস হওয়ার পরে ঐ সমস্ত সৃষ্টিকে আবার একই অবয়বে জীবিত করতেও সক্ষম। এই কথাকে অস্বীকার করা কুফরি এবং ঐ অস্বীকারকারী চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে অবস্থান করবে। এর দলিল হল আল্লাহ তাআলার ঐ বাণীঃ

(আরবি)

এবং আমাদের সামনে উদাহরণ পেশ করে, কিন্তু সে তার নিজের সৃষ্টি হওয়াকে ভুলে গেছে। আর বলে, হাড়, অস্হিসমূহ,যা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে, তাকে আবার কে জীবিত করবে? বলুনঃ তিনিই আবার তাদের জীবিত করবেন যিনি প্রথমবার তাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি প্রতিটি সৃষ্টি সম্বন্ধেই সম্যক জ্ঞাত। (সূরা ইয়াছিন,আয়াত৭৮ও৭৯)।

প্রশ্নঃ মৃত ব্যক্তির উত্তমভাবে মৃত্যু হওয়ার নিদর্শন কি?

উত্তরঃ উত্তমভাবে মৃত্যু হওয়ার বহু নিদর্শন রয়েছে। উহার কোন একটিও যদি মৃত্যুকালে কারও ভাগ্যে জোটে তবে উহা তার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।

এ গুলি হচ্ছেঃ

১। মৃত্যুকালে কালেমা পড়া।

২।জুম’আর রাতে বা দিনে মৃত্যু হওয়া।

৩।মৃত্যুকালে ঘামে কপাল সিক্ত হওয়া।

৪।ধর্মীয় যুদ্ধে বা জিহাদের ময়দানে শহীদ হওয়া।

৫।আল্লাহর রাস্তায় গাজী হয়ে মৃত্যু বরণ করা। এর অর্ন্তভুক্ত হলোঃ প্লেগে মৃত্যু বরণ করা, পেটের পীড়া, বমি, পেট ফাপা, অথবা কলেরায় মারা যাওয়া।

৬।পানিতে ডুবে অথবা আগুনে পুড়ে মারা গেলে।

৭। প্রসবকালীন অবস্থায় কোন মহিলা মৃত্যু বরণ করলে।

৮। পক্ষাঘাত (অর্ধাঙ্গ অবশ) রোগে মারা গেলে।

৯। পিঠের পীড়া, যেমন পাঁজরে ব্যাথার কারণে মারা গেলে।

১০। নিজের দ্বীন, জীবন, কিংবা সম্পদদের হেফাজত করতে যেয়ে মারা গেলে।

১১। জিহাদের ময়দানে পাহারারত অবস্থায় মারা গেলে।

১২। কোন নেক কাজ করার সময় মারা গেলে। যেমন, কলেমা পড়ার সময়, সিয়াম পালন অবস্থায়, দান খয়রাত করার সময় ইত্যাদি।

এ সবকটি বিষয়ে বিশুদ্ধ হাদীসের প্রমাণ আছে

অন্য একটি রেওয়াতে আছে, শহীদ সাত শ্রেণীরঃ প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তি, পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী, নিওমোনিয়া রোগে মৃত্যু প্রাপ্ত ব্যক্তি, পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি, আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি, কোন কিছু চাপা পড়ে মৃত্যু প্রাপ্ত ব্যক্তি এবং প্রসব কালীন মৃত মুহিলা। (হাদীসটি ইমাম হাকেম সহীহ বলেছেন এবং হাফেজ যাহাবী হাকেমের সহীহ বলাকে সমর্থন করেছেন।)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন