hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৬৪
ঈমান নষ্টকারী আমলের মধ্যে আল্লাহর সিফাতসমূহে শিরক করা
তৃতীয় ভাগঃ এতে আছে আল্লাহ তাআলার সিফাত সমূহকে বা সুন্দর নামসমূহ অস্বীকার করা বা তাতে কোন সন্দেহ পোষণ করা।

১। ঈমান নষ্টকারী আমলের মধ্যে আছে, কোন মুমিন কর্তৃক আল্লাহ তাআলার সুন্দর নাম বা সিফাত সমূহকে অস্বীকার করা যা কোরআন ও সহীহ হাদীস দ্বরা প্রমাণিত। যেমন- আল্লাহ তাআলা যে সর্বজ্ঞাত তা অস্বীকার করা, অথবা তার কুদরতকে বা তার জীবনকে বা শোনা বা দেখাকে বা তার রহমতকে অথবা তিনি যে আরশের উপর আছেন তাকে অথবা তিনি যে দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ হন তাকে অথবা তার হাতকে অথবা চক্ষুদ্বয়কে অথবা অন্যন্য যে সিফাতসমূহ সাবেত আছে তা কোনটি অস্বীকার করা। আবার তা স্বীকার করতে যেয়ে তার কোন বিষয়কে কোন মাখলুকের সাথে তুলনা করা যাবে না। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

তার মত কিছু নেই, কিন্তু তিনি শুনেন ও দেখেন। (সূরা শোরা ১১)

আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে এই আয়াতে বলেছেন যে, তার সাথে কোন সৃষ্টির কোন মিল নেই। কিন্তু তার যে শোনার ও দেখার ক্ষমতা আছে তা তিনি বর্ণনা করেছেন। অন্যন্য সিফাত ও একই রকম।

২। বিশেষ করে কিছু কিছু সিফাতকে ঘুরিয়ে অন্যভাবে বলাও বিশেষ ভুল ও গোমরাহির অন্তর্ভুক্ত। উহাদের প্রকাশ্য অর্থ হতে অন্য অর্থে নিয়ে যাওয়াও এর মধ্যে শামিল। যেমন এসতোয়াকে এসতাওলা বলা। এসতোয়া অর্থ হল উর্দ্ধারোহণ এবং উচু হওয়া যা ইমাম বুখারী (রঃ) তার সহীহ কিতাবে বলেছেন। ইমাম মুজাহিদ ও আবুল আলিয়া হতে বর্ণনা করেন -তারা উভয়ে ছিলেন সালাফে সালেহীনদের অন্তর্ভুক্ত, কারণ তারা ছিলেন তাবেয়ীন- যখন কোন সিফাতকে ঘুরিয়ে ব্যাখ্যা করা হয় তখন তা অস্বীকারের পর্যায়ে পড়ে। কারণ এসতোয়াকে যখন এসতাওলা বলা হয় তখন আল্লাহ তাআলার এক সিফাতকে অস্বীকার করা হয়। উহা হল, আল্লাহ যে আরশের উপর আছেন সেই সিফাতকে অস্বীকার করা, যার কথা কোরআন ও হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

(আল্লাহ তাআলা) রহমান আরশে অবস্থান নিলেন। (উঠলেন ও উর্দ্ধারোহণ করলেন)। (সূরা ত্বাহা ৫)

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

তোমরা কি ঐ সত্বা হতে নির্ভয় হয়ে গেলে যিনি আসমানের উপর আছেন আর যিনি তোমাদের পৃথিবীতে ধ্বসিয়ে দিতে পারেন। (সূরা মুলুক ১৬)

আর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা এক কিতাব লিখেছেন... উহা তার নিকট আছে আরশের উপর। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

যখন কোন সিফাতের ঘুরিয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়, উহা সাথে সাথে বিকৃত ব্যাখ্যায় পরিণত হয়।

শাইখ মুহাম্মদ আমিন আশ্মানকিতি “আদ্ওয়াউল বয়ান” নামক তফসীরের লেখক তার “মানহাজ ওয়া দেরাসাত ফিল আসমা ওয়াস্সিফাত” নামক গ্রন্থে ২৩ নং পৃষ্ঠায় বলেনঃ আমি এই প্রবন্ধকে শেষ করতে চাচ্ছি ২টি বিষয়ে আলোচনা করেঃ

প্রথমতঃ যারা এভাবে ঘুরিয়ে ব্যাখ্যা করে তাদের খেয়াল করা উচিত আল্লাহ তাআলার ঐ কথার প্রতি যাতে তিনি ইহুদীদের বলেছিলেনঃ

(আরবি)

এবং তোমরা বল, হিততাহ (সূরা আল-বাক্বারাহ ৫৮)

তারা এই শদ্বের মধ্যে নুন অক্ষরটি বাড়িয়ে বলেছিল “হিনতা” আর ইহাকে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তার কথা বদল করেছিল। এই সম্পর্কে তিনি বলেনঃ

(আরবি)

আর যারা যালিম ছিল তারা ঐ কথা, যা তাদের বলতে বলা হয়েছিল, তা বদলিয়ে বলল। ফলে আমি ঐ যালিমদের উপর তাদের ফাসিকী কার্যের জন্য আসমান হতে আযাব বর্ষণ করি। (সূরা আল বাক্বারাহ ৫৯)

ঠিক তেমনি আল্লাহ বলেন ‘এসতোয়া’ বলতে, আর তারা বলছে এসতা’লা।

খেয়াল করে দেখুন এরা এখানে “লামকে” বাড়িয়েছে যেমন করে ইহুদীরা “নুনকে” বাড়িয়েছিল। (ইহা ইবনে কাইয়ুম রহ. উল্লেখ করেছেন।

আল্লাহ তাআলা তার নিজের জন্য খাস করে এমন কিছু সিফাত রেখেছেন যা তার মাখলুকের কারো মধ্যেই নেই। যেমন গায়েবের এলেম।

এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর তার নিকট আছে সমস্ত গায়েবের চাবি কাঠি যা অন্য কেহ জানে না। (সূরা আন’আম৫৯)

আর আল্লাহ তাআলা তার রাসূলদের মাঝে মাঝে কিছু গায়েবের কথা জানিয়েছেন ওহীর মাধ্যমে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

তিনি হচ্ছেন গায়েব সম্বন্ধে জ্ঞাত। অন্য কারো কাছে উহা তিনি প্র্র্র্রকাশ করেননি। তবে রাসূলদের মধ্যে কাউকে কাউকে খুশী হয়ে (জিনিয়েছেন)। (সূরা জিন, ২৬)

বুরদাহ নামক কবিতায় বুছাইরি রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে যা বলেছেন তাতে কুফরি ও গোমরাহী প্রকাশ পায়।

তিনি বলেনঃ নিশ্চয়ই আপনার দয়াতেই দুনিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং চলমান।

আর আপনার এলেম হতেই ল্ওহে মাহ্ফুজ ও কলমের এলেম।

কিন্তু, সত্যিকারভাবে দুনিয়া ও আখিরাতের সৃষ্টি হয়েছে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক ও তারই দয়ায়। উহা রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের দয়ায় বা তার সৃষ্টির কারণে হয়নি, যেমন ভাবে উক্ত কবি বলেছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

নিশ্চয়ই আমার জন্যই আখিরাত ও দুনিয়া । (সূরা লাইল, আয়াত১৩)

নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম লওহে মাহফুজে কি আছে তা জানেন না, আর কলম দ্বারা কি লেখা হয়েছে তাও তিনি জানেন না। কিন্তু এই কবি তার বিপরীত বলেছেন।

কারণ এগুলো হচ্ছে এমন গায়েব যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেহ জানে না। এই সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

হে নবী! আপনি বলুন, আসমান ও জনিনের গায়েব কেহ জানে না আল্লাহ ব্যতীত। (সূরা নমল ৬৫)

আর ওলী-আল্লাহদের তো প্রশ্নই উঠে না যে, তারা গায়েব জানবে। আর ওহীর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা রাসূলদের যে গায়েবের খবর দিতেন তাও তারা জানতে পারে না। কারণ, ওহী কখনও আউলিয়াদের উপর অবতীর্ণ হয় না। উহা শুধু নবী-রাসূলদের উপর অবতীর্ণ হত। তাই, যে ব্যক্তিই দাবী করবে যে, সে এলমে গায়েব জানে আর যারা তাদের বিশ্বাস করবে, উভয় দলেরই ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।

এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন গায়েব জানার দাবীদার ব্যক্তি বা গণক (যারা হাত দেখে) এর নিকট যাবে এবং তারা যা বলে তা বিশ্বাস করবে তবে সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাকে অস্বীকার করে কুফরি করল। (বর্ণনায় আহমদ)

এই জাতীয় এলমে গায়েব জানার দাবীদার ও চরম মিথ্যাবাদী দজ্জালরা যা বলে উহা হচ্ছে তাদের ধারনা, এবং শয়তানের ধোকাবাজী। যদি তারা সত্যিই সত্যবাদী হত তবে ইহুদীদের গোপন কথাগুলো আমাদের জানিয়ে দিত। আর জমিনের গুপ্তধনসমূহ বের করে দিত। আর এভাবেই তারা মানুষদের উপর বোঝা হয়ে পড়েছে আর ভন্ডামীর মাধ্যমে তাদের পয়সা গ্রহণ করছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন