hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৯০
সুন্নাত ও বিদআত
প্রশ্নঃ দ্বীনের মধ্যে কি বিদাআতে হাসানাহ্ বলে কিছু আছে ?

উত্তরঃ না, দ্বীনের মধ্যে বিদআতে হাসানাহ্ বলে কিছুই নেই। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম, আর আমার নিয়ামতসমূহকেও পূর্ণ করে দিলাম। আর ইসলামকেই তোমাদের দ্বীন হিসাবে নির্দিষ্ট করে রাজী হয়ে গেলাম। (সূরা মায়িদাহ্ , ৩)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

إياكم ومحدثات الأمور فان كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة و كل ضلالة فى النار . ( رواه ابوداؤد و الترمذي حسن صحيح )

তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন কোন সংযোজনের ব্যাপারে সাবধান থেক, কারণ প্রতিটি নতুন সংযোজনই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহি। আর প্রতিটি গোমরাহির ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম।

(বর্ণনায় আবুদাউদ, তিরমিযি,হাসান সহিহ।

প্রশ্নঃ দ্বীনের মধ্যে বিদআত কি ?

উত্তরঃ দ্বীনের মধ্যে বিদ'আত হচ্ছে ঐ সমস্ত আমল যাতে শরিয়তের কোন হুকুম বা দলীল নেই।

আল্লাহ্ তাআলা মুশরিকদের বিদআত সমূহকে অস্বীকার করে বলেনঃ

(আরবি)

তাদের কি এমন শরিক আছে যারা দ্বীনের মধ্যে এমন সব জিনিসের প্রবর্তন করেছে যাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ অনুমতি দেননি। (সূরা শুরা, ২১)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

من أحدث فى أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد ( متفق عليه )

যারা আমাদের হুকুম সমূহের মধ্যে নতুন কোন জিনিস প্রবর্তন করবে যা আমাদের দ্বারা প্রবর্তিত নয়, তা বাতিল। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

প্রশ্নঃ বিদা'আতের শ্রেণী বিভাগ কি কি ?

উত্তরঃ উহার নানা ভাগ আছে, তম্মধ্যে-

১। কুফরী বিদআতঃ মৃতদের নিকট অথবা অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট দু'আ করা কিংবা তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। যেমন লোকেরা বলেঃ হে আব্দুল কাদের জিলানী, আমাকে সাহায্য কর।

২। হারাম বিদআতঃ আল্লাহর নিকট কোন মৃতদের অসিলা করে সাহায্য চাওয়া, কবরের দিকে সালাত আদায় করা, তাদের মানত দেয়া, কবরের উপর গুম্বুজ নির্মাণ করা ইত্যাদি।

৩। মাকরুহ বিদআতঃ যেমন জুমআর সালাত আদায় করার পর জোহরের সালাত আদায় করা, আযানের পূর্বে ও পরে জোরে জোরে সালাত ও সালাম (দরুদ) পাঠ করা ইত্যাদি। নিয়ম হল, আজানের পর মনে মনে দরূদ (দু'আ)পড়া।

প্রশ্নঃ ইসলামে কি সুন্নাতে হাসানাহ্ (উত্তম সুন্নাত) বলে কিছু আছে ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, যেমন কোন ভাল কাজে অগ্রগামী হওয়া। যেমনঃ দান করতে অগ্রগামী হওয়া যাতে অন্যেরাও তাতে উদ্বুদ্ধ হয়।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর আমাদের মুত্তকীদের ইমাম নিযুক্ত করুন। (সূরা ফুরক্বান,৭৫)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি ইসলামে উত্তম সুন্নত প্রবর্তন করবে সে তার প্রতিদান পাবে এবং তার পরেও যারা ঐ আমল করবে তাদের প্রতিদানও সে পাবে। তবে পরে যারা উহা 'আমল করবে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবে না। (বর্ণনায় মুসলিম)

প্রশ্নঃ সত্যিকারের দুনিয়ার বৈরাগ্য কি ?

উত্তরঃ উহা হচ্ছে মুসলিমগণ দুনিয়ার অর্জনকে তার মূল লক্ষ্য স্থির করবে না। অথবা দুনিয়াকে আখিরাতের উপর প্রাধান্য দেবে না। আর দুনিয়ার উপার্জনে অহংকার কিংবা বেশী লোভ করবে না। বরঞ্চ তার কর্মকান্ডের উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্য করা এবং আখিরাতের ব্যাপারে কর্ম তৎপর হওয়া। এর মধ্যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের সমস্ত কিছুই শামিল হবে। সাথে সাথে আল্লাহ্ ও তার বান্দাদের সাথে উত্তম ব্যবহারও অন্তর্ভূক্ত হবে।

যুহদ (বৈরাগ্য) মানে এ নয় যে, সমস্ত কাজ কর্ম ত্যাগ করে দুনিয়ার সবকিছু হতে নিজেকে নিবৃত্ত রেখে দরবেশদের মত জীবন অতিবাহিত করবে। উহাতে মূর্তিপূজকদের কিছুটা চিত্র ফটে উঠে। এজন্য ইহাকে যুহদ না বলে ভীরুতা বলা যেতে পারে। উহা অন্তরের দুর্বলতা আর সুপ্ত ক্ষমতার ও মনুষ্য শক্তিরও বিলোপও বটে। উহা হচ্ছে, সুফী পীরদের অধম বিদআতী সংস্করণ। এর ফলেই মুসলিমগণ সাহাবীদের যুগে মুসলিমদের মত সম্মুখে অগ্রসর না হয়ে পশ্চাদপদ হয়ে পড়ে। ফলে, তারা তাদের ধর্ম ও মিশনকে অন্য জাতির নিকট পৌছাতে সমর্থ হয় না। এমনকি উল্টো কাফিররা তাদের দেশে যুদ্ধ করতে আসে, তাদের সম্পদ দখল করে এবং তাদের টুকরা টুকরা করে ফেলে।

প্রশ্নঃ তাকলীদ বা অন্ধ অনুসরনের হুকুম কি ?

উত্তরঃ আক্বীদা ও তাওহীদের ক্ষেত্রে তকলীদ করা জায়েয নয়। বরং ওয়াজিব হল, দ্বীনকে ঐ ভাবে বুঝাতে হবে যেমন ভাবে রাসূলদের (আঃ) উপর উহা অবতীর্ণ হয়েছে। আর কোরআন ও সহীহ সুন্নাহ মতে চলতে হবে। সাথে সাথে সালাফে সালেহীনগণ যেমণ ভাবে বুঝেছেন তেমনি ভাবে আক্বীদার মাসআলাগুলো গ্রহণ করতে সচেষ্ট হওয়া দরকার। তবে ফিকহর ক্ষেত্রে যে কোন এক মাজহাব গ্রহণ করা জায়েয। তবে যে কোন মাজাহাবকে অনুসরণ না করলে তার জন্য জায়েয হবে না সমস্ত মাজহাব থেকে শুধু সহজ জিনিসগুলোকে খুজে বের করে আমল করা।(১) যখন মাজহাবের মধ্যে কোন মতবিরোধ দেখা দেয় তখন আলেমদের উপর দায়িত্ব হচ্ছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহীহ হাদীস থেকে যথা সম্ভব খোঁজ করে দলিল প্রমাণ সহ আমল করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন