hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৮৪
দাওয়াত ও বই-পত্র প্রকাশ প্রচার
প্রশ্নঃ দাওয়াতের কাজ ও পুস্তক প্রকাশের লাভ কি, যদিও কোন কোন দেশে মুসলিমদের যবেহ করা হচ্ছে?

উত্তরঃ প্রতিটি মুসলিমই ইসলামের সীমান্ত রক্ষাকারী অতন্দ্র প্রহরী। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধে, জিহাদের কলা-কৌশল উত্তমরূপে অবগত আছে। কেউ কেউ মুখের দ্বারা উত্তমরূপে দাওয়াত দিতে পারে আবার কেউ কেউ তাদের সম্পদ খরচ করতে পারে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সমস্ত কার্যের প্রতিই ইশারা করে বলেছেনঃ

وجاهدوا المشركين بأموالكم وأنفسكم وألسنتكم ) رواه أبوداود )

তোমরা মুশরিকদের সাথে জিহাদ করতে থাক তোমাদের ধন-সম্পদ, জীবন ও বাক-শক্তি দ্বারা। (বর্ণনায় আবু দাউদ)

এই কারণে হাসসান (রাঃ) ইসলামের পক্ষে লড়াই করতেন বাকশক্তি দিয়ে। সাহিত্য ও কবিতা দিয়ে ইসলাম বিরোধীদের মুকাবেলা করতেন। কোন মুসলিম এই ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করবে না যে, অস্ত্র ও বাক-শক্তি দ্বারা জিহাদ করা প্রতিটি মুসলিমের উপর ওয়াজিব। আর যদি বই-পত্র, সাময়িকী ও প্রবন্ধের মাধ্যমে মুসলিমদের জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করা যায়, তবে তা জিহাদের এক বিশেষ কাজ বলে বিবেচিত হবে।

সাথে সাথে ঐ সমস্ত কিতাব যা কোরআন ও সুন্নাহ হতে নেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে দ্বীনের মধ্যে যে সমস্ত বিদআত, ভ্রান্তি প্রবেশ করেছে, তা আক্বীদা-বিশ্বাসের মধ্যেই হোক কিংবা ইবাদত বা মোয়ামালাতের মধ্যেই হোক, তাদের দূরীভুত করাটাও অত্যন্ত দরকারী কাজ। বর্তমান সময়ে বই-পত্র প্রকাশ ও প্রচার করা ঐ ধরনের প্রচার মাধ্যমের কাজ করছে, যাতে উপরোক্ত ক্ষতিগুলো দূরীভূত হয়। সাথে সাথে যুবকদের উত্তমরূপে ইসলামী আক্বীদাহ, ইবাদত, হুকুম, জিহাদ, কোরবানী ইত্যাদির উপর গড়ে তোলা দরকার। তার চালচলন, চরিত্র গঠন, প্রতিপালন, রাষ্ট্র গঠন সমস্ত কিছুই এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত।

প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলা কেন ফিতনাকে হত্যা হতেও বেশী মারাত্মক বলেছেন?

উত্তরঃ মানুষের জীবন বড়ই উত্তম জীবন। এর অন্তর্ভূক্ত হল, তার বিশুদ্ধ ধর্ম, উত্তম চরিত্র, সুষ্ঠ বুদ্ধি, এবং এমন এক আক্বীদা যা শিরক মুক্ত। যদি তাকে মানসিক ভাবে হত্যা করা হয়, বিশেষ করে তার বুদ্ধি বিবেককে, তবে এই হত্যা শারীরিকভাবে জীবন নাশ করে হত্যা হতেও জঘন্য।

এজন্য আল্লাহ তালা বলেনঃ

(আরবি)

এবং ফিৎনা কতল (হত্যা) হতেও জঘন্য। (সূরা আল-বাক্বারাহ, ১৯১)

এখানে ফিৎনা বলতে শিরককে বুঝানো হয়েছে।

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

ফিৎনা হত্যা হতেও বড়। (সূরা আল-বাক্বারাহ ২১৭)

প্রশ্নঃ যারা ইসলাম হতে বিচ্যুত তাদের প্রশংসা করা কি জায়েয?

উত্তরঃ না, তাদের প্রশংসা করা জায়েয নয়। কারণ আল্লাহ তাআলা, ঐ সমস্ত লোক, যারা ইব্রাহীম (আঃ) এর ধর্মাদর্শ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরে শরিয়ত হতে দূরে সরে গেছে তাদের জ্ঞান বুদ্ধির স্বল্পতার কথা বলেছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর যে নিজেকে নির্বোধ বানিয়েছে, সে ছাড়া কে ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ (মিল্লাত) থেকে বিমুখ হতে পারে। (সুরা বাক্বারাহ,১৩০ ُ

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা, যারা আসমানী কিতাবসমূহ দ্বারা উপকৃত হতে পারে না, তাদের গাধার সাথে তুলনা করেছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

যে সমস্ত লোকেরা তাওরাত বহন করার (আমল করার) পরে আর তা বহন করেনি তাদের উদাহরণ হচ্ছে গাধার মত, যারা শুধু কিতাব বহন করে। (সূরা জুমুআ, ৫)

অন্যত্র, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ হতে দূরে সরে গেছে তাদেরকে কুকুরের সাথে তুলনা করে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর আপনি তাদের সামনে ঐ খবর পাঠ করুন যাদের আমি আমার আয়াত সমূহ দান করেছিলাম, তারপর তারা উহা হতে বিচ্যুত হয়, আর শয়তান তার অনুসরণ করে। ফলে সে দুর্ভাগাদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়। আর যদি আমি চাই, তবে আমি উহার দ্বারা তাকে সম্মানিত করতে পারি। কিন্তু সে জমিনে নিজকে চিরস্থায়ী করতে চায়, আর সে তার নফসানিয়াত অনুযায়ী চলতে চায়। তার উদাহরণ হচ্ছে এক কুকুরের মত, যদি তার উপর বোঝা চাপানো হয় তখান যেমন জিহবা বের করে হাঁপাতে থাকে তেমনি বোঝা না দিলেও হাঁপায়। উহা হচ্ছে ঐ কাওমের লোকদের উদাহরণ, যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে। অতএব, তাদের সামনে এই ঘটনাসমূহ পেশ করুন, হয়ত তারা চিন্তা করবে। (সূরা আ’রাফ, ১৭৫-১৭৬)

তাই যে সমস্ত ব্যক্তিরা ঐ ধর্মচ্যুত (মুরতাদ) লোকদের প্রশংসা করে, অথচ আল্লাহ তাআলা তাদের নিন্দা করেছেন, তারাতো আল্লাহর সীমা অতিক্রমকারী। ঐ সমস্ত ব্যক্তিরা, যারা ইসলামের শিক্ষা হতে বিচ্যুৎ অথবা তার সীমাকে অতিক্রমকারী অথবা শরীয়তকে ত্যাগ করে অন্য আইনে বিচারকারী তাদের কোন রকম প্রশংসা সূচক কোন কথায় ভুষিত করা যাবে না। সে লোক যত বড় সম্মানিতই হোকনা কেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (মুনাফিকদেরকে আমাদের নেতা বলে সম্বোধন কর না। যদি সে সত্যই তোমার কাছে সম্মানীয় হয় তবেতো তোমারা তোমাদের রবকে রাগাম্বিত করলে। (বর্ণনায় সহীহ আহমদ, আবুদাউদ)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন