hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৮১
আল্লাহ্ তাআলার সাথে শিরক করা
প্রশ্নঃ আমরা কি ভাবে আল্লাহ তাআলার সাথে শিরক করা হতে বিরত থাকব?

উত্তরঃ নিম্ম লিখিত আক্বীদা ও বিশ্বাসগুলো যতক্ষণ অন্তরে পোষণ করা হবে ততক্ষণে আল্লাহর সাথে শিরক করা হতে কেউ বিরত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা যাবে না।

১। আল্লহ তাআলার কার্যসমূহে শিরক করাঃ কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে, জগতে কিছু কুতুব আছে যারা জগতের কোন কোন জিনিসের কার্য-নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক, যদিও কোরআনে আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের উদ্দেশ্য করে বলেনঃ

(আরবি)

আসমান ও যমীনের সব কিছু কে নিয়ন্ত্রণ করে? উত্তরে তারা সাথে সাথে বলবে, আল্লহ্। (সূরা ইউনূস : ৩১)

২। ইবাদতে শিরক করাঃ আল্লহকে ছেড়ে নবী কিংবা আউলিয়াদের (তাদের মৃত্যুর পর) নিকট দু’আ করা। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

হে নবী! বলুন, আমি আমার রবকে ডাকি এবং সাথে অন্য কাউকে শরিক করি না। (সূরা জিন: ২০)

রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ (দু’আ হচ্ছে ইবাদত)। (বর্ণনায় তিরমিযি, হাসান)

৩। আল্লাহর সিফাতের মধ্যে শিরক করাঃ এ ধরণের আক্বীদা বা বিশ্বাস পোষণ কর যে, নিশ্চয় রাসূল ও আউলিয়াগণ গায়েবের খবর জানন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আপনি বলুন, আসমান ও যমিনে আল্লাহ ব্যতীত আর কে আছে যে গায়বের খবরের জ্ঞান রাখে। (সূরা নামল, ৬৫)

রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ ব্যতীত কেউ গায়েবের খবর জানে না। (বর্ণনায় তাবরানী)

৪। আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট কোন গুণে অন্যকে সাদৃশ্য করাঃ যেমন এ ধারণা করা যে, কোন আমির বা শাসকের নিকট যেতে হলে যেমন মাধ্যম দরকার তেমনি আল্লাহর কাছে কিছু বলার জন্যও মাধ্যম দরকার। এ ধারণা আল্লাহর সাথে তার মাখলুকের (সৃষ্টির) সাথে সাদৃশ্য করা হয়। উহা শিরকের অন্তর্ভূক্ত। কোননা, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

তার মত অন্য কিছু নেই। (সূরা শূ’রা, ১১)

প্রশ্নঃ জাহেলিয়া যামানার শিরক কি এখনও বিদ্যমান আছে?

উত্তরঃ জাহেলিয়া যুগে যে শিরক এর প্রচলন ছিল উহা বর্তমান যামানায়ও মানুষের মাঝে প্রচলিত আছে।

১। পূর্বের যামানার মুশরিকরা যদিও একথা বিশ্বাস করত যে, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা স্রষ্টা ও রিজিক দাতা, তা সত্বেও তারা তাদের অলি আউলিয়াদের মূর্তি বানিয়ে, আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করার মাধ্যম হিসাবে তাদের পূজা করত। আল্লাহ তাদের এই নৈকট্য হাসিল করার ‘আমলকে পছন্দ করেননি, বরং তাদেরকে কাফির বলে সম্বোধন করেছেন। এদের সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যকে তাদের অলি বানিয়ে বলেঃ আমরা তাদের ইবাদত করি এই জন্য যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাদের মধ্যে যে মতবিরোধ ছিল তার অবশ্যই বিচার করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ ঐ সমস্ত লোকদের হিদায়েত দান করেন না যারা মিথ্যাবাদী ও কাফির। (সূরা যুমার, ৩)

আল্লাহ তাআলা সকলের প্রার্থনাই সরাসরি শুনেন খুবই নিকট হতে। তার নিকট ফরিয়াদ পৌছাতে কোন সৃষ্টিকে অসিলা (মাধ্যম) হিসাবে গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। আল্লহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর যখন আমার বান্দা তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও) নিশ্চয় আমি অতি নিকটে আছি। (সূরা বাক্বারাহ, ১৮৬)

দেখা যায়, বর্তমান যামানায় বহু মুসলিম নামধারী ব্যক্তি আল্লাহর অলিদের কবরের কাছে গিয়ে তাদের ডাকে। যাতে তারা (অলি) ঐ সব লোকদের আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করে দেয়। ঐ যামানায় মুশরিকদের অলিরা মূর্তির আকারে ছিল আর বর্তমান যামানার অলিদের কবর সমূহকে মুসলিম নামধারীরা ঐ ভাবেই ভক্তি করে। তবে এটা জেনে রাখা দরকার যে, কবরের ফিৎনা মূর্তি পূজার ফিৎনা হতে অনেক বেশী মারাত্মক ফিৎনা।

২। আগের যামানায় মুশরিকরা যখন বিপদে পড়ত তখন একমাত্র আল্লাহকে ডাকত, আর সুসময়ে আল্লাহর সাথে শিরক করত। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

অতঃপর তারা যখন নৌকায় আরোহন করত তখন, (বিপদে পড়লে) ইখলাসের সাথে আল্লাহকে ডাকত, আর যখন তিনি তাদের নিরাপদে কিনারে পৌঁছিয়ে দিতেন তখন তারা তাঁরা সাথে শিরক করত। (সূরা ‘আনকাবুত ৬৫)

মুশরিকরা শুধুমাত্র, যখন বিপদে পড়ে তখন একমাত্র আল্লাহকেই ইখলাসের সাথে ডাকত, সে ক্ষেত্রে চিন্তা করে দেখুন, আজকালকার ইসলামের দাবীদারদের জন্য এটা কিভাবে জায়েয হবে সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় গাইরুল্লাহকে ডাকে।

ইসলামের একদল দাবীদাররা মনে করে যে, অলি আউলিয়াদের উপকার বা অপকার করার ক্ষমতা আছে। তারা পূর্ব যুগের মুশরিক অপেক্ষা ও অধিক গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট। কেননা, ঐ যুগের মুশরিকরা বিপদকালে তাদের সমস্ত মা’বুদদের পরিত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহকে ডাকত। আর বর্তমান যামানার মুসলিম দাবীদাররা বিপদকালেও খাজা বাবা, মাইজভান্ডারী, আজানগাসী ইত্যাদি মৃত মানুষগুলোর কাছে অথবা কেউ কেউ কল্পনায় খোয়াজ খিজিরকে ডাকে। এদের শিরক এত জঘন্য এবং ঘোর অন্ধকারপূর্ণ যে, কোন সময়ই তারা তাওহীদের আশ্রয় নেয় না। (অনুবাদক)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন