hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৫৯
তাকদীরের উপর ঈমান আনার লাভসমূহ
১। আল্লাহর উপর রাজী খুশী থাকা, ইয়াকিন, আর উত্তম প্রতিদান অর্জন করা আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

যে সমস্ত বিপদ আপদই (তোমাদের) স্পর্শ করুক না কেন উহা আল্লাহর অনুমতি নিয়েই আসে। (সুরা আত্তাগাবুন, ১১)

এর ব্যাখ্যায় উবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমেই ঘটে অর্থাৎ তাঁর দেয়া তক্বদীর ও বিচারের মাধ্যমেই এটা ঘটে।

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর যে আল্লাহর উপর ঈমান আনবে আল্লাহ তার অন্তরে হেদায়েত দিয়ে দিবেন। (সূরা তাগাবুণ ১১)

ইবনে কাসীর (রঃ) তাঁর তফসীরে বলেনঃ আর যাকে কোন মুসিবতে পাকড়াও করে তার অবশ্যই বুঝা উচিত যে, এটা আল্লাহর বিচারে হয়েছে এবং উহা তার জন্য নির্দিষ্ট ছিল। ফলে সে ধৈর্য ধারণ করে সাওয়াবের আশায়। আর তারপর যখন আল্লহর বিচারকে মেনে নেয় তখন আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে হেদায়াত, সত্যিকারের একিন দান করেন। আর তার নিকট হতে যা ছিনিয়ে নেয়া হয় তা অথবা তার থেকে উত্তম জিনিস তাকে ফিরিয়ে দেন।

ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ তার অন্তরে এমন হেদায়েত দেন যাতে একিন এসে যায়। তখন সে বুঝতে পারে, তাকে যে বিপদ স্পর্শ করেছে তা ভুলক্রমে নয়। আর সে যে ভূল করেছে তা শুদ্ধ করার ক্ষমতা তার ছিল না। আল কামাহ (রঃ) বলেনঃ সেই ব্যক্তিকে যখন কোন মুসিবত স্পর্শ করে তখন সে বুঝতে পারে, উহা আল্লাহর নিকট হতেই এসেছে।

২। গুণাহ্ মাফ হওয়াঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

ما يصيب المؤمن من وصب ، ولا نصب ، ولا سقم ، ولا حزن ، حتى الهم يهمه ، إلا كفر به من سيئاته

কোন মুমিন বান্দা যত রকমের মুসিবত, কষ্ট, অসুস্থতা, পেরেশানী, এমনকি যে দুঃশ্চিন্তায় পতিত হয় তার দ্বারা আল্লাহ তার পাপসমূহ দুরীভূত করেন। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

৩। উত্তম বদলা দানঃ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

আর ঐ সমস্ত সবরকারীদের সুসংবাদ দান করুন যখন তাদের কোন মুসিবত স্পর্শ করে তখন তারা বলে নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহ হতে আর নিশ্চয়ই তার নিকটই প্রত্যাবর্তন করব। তাদের উপর তাদের রবের নিকট হতে মাগফিরাত ও রহমত বর্ষিত হবে। আর তারাই হচ্ছে হেদায়েত প্রাপ্ত। (সূরা আল বাক্বারা ১৫৫-১৫৭)



৪। অন্তর ধনী হওয়াঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করেছেন যদি তাতে খুশী থাক তবে তুমি সবার চেয়ে ধনী হয়ে যাবে। (বর্ণনায় আহমদ তিরমিযি)

অন্যত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ (শুধুমাত্র সম্পদের প্রাচুর্য থাকলেই সে ধনী হয় না, বরং ধনী সেই ব্যক্তি যার অন্তর ধনী। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

এটা লক্ষ্য করা যায় যে, যারা প্রচুর সম্পদের অধিকারী তারা তাতে সন্তুষ্ট নয়। ফলে তারা অন্তরের দিক দিয়ে দরিদ্র। আর যে ব্যক্তি সামান্য বিত্ত সম্পদের মালিক, কিন্তু তার যথাসাধ্য চেষ্টার পর, আল্লাহ তার জন্য যা নির্দিষ্ট করেছেন সে খুশী থাকে তখনই তিনি অন্তর ধনী হয়ে উঠেন।

৫। অতিরিক্ত খুশী ও হয় না, আর দুঃখিতও হয় নাঃ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(আরবি)

অর্থাৎ যে কোন মুছিবতই যা দুনিয়াতে অবতীর্ণ হয় বা তোমাদের স্পর্শ করে তা পূর্ব হতেই লিপিবদ্ধ আছে তাদের সৃষ্টির পূর্বেই। আর উহা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ। আর এটা এজন্য বলা হলো যাতে তোমাদের যা নাগালে আসে না তাতে দুঃখিত না হও, আর যা প্রাপ্তি ঘটে তাতে অতিরিক্ত খুশী না হও । কারণ আল্লাহ কোন অহংকারী লোককে পছন্দ করেন না। (সূরা আল হাদীদ ২২-২৩)

ইবনে কাছির রহ. বলেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাদের যে নিয়ামত দিয়েছেন তার জন্য লোকদের সম্মুখে নিজের অহংকার প্রকাশ করবে না। কারণ, উহা তোমাদের প্রচেষ্টার কারণে নয়। বরং উহা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন এবং তিনিই রিযিক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তাই আল্লাহ তাআলার নিয়ামতসমূহকে তোমাদের অহংকার প্রকাশের রাস্তা বানাবে না। একরামাহ (রঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তিরই অতিরিক্ত খুশী বা দুঃখিত হওয়া উচিত নয়। বরং, যখন খুশীর কোন ঘটনা ঘটে তখন শুকরিয়া আদায় করবে, আর যখন দুঃখের কোন ঘটনা ঘটবে তখন সবর করবে। (তফসীরে ইবনে কাছির, চতুর্থ খন্ড)

৬। নির্ভীকতা ও সাহসিকতাঃ যে ব্যক্তি ক্বদরের উপর বিশ্বাস করেন তিনি অবশ্যই সাহসী হবেন। আর আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় পাবেন না। কারণ তিনি জানেন, মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট হয়ে আছে। আর তিনি যা ভুল করবেন তা কখনো শুদ্ধ হওয়ার ছিল না। আর তাকে যে বিপদ স্পর্শ করে তা ভুল করে নয়। আর সবরকারীদের জন্যই আল্লাহর সাহায্য আসবে। আর দুঃখ কষ্টের পর প্রশান্তি আসবে। আর বিপদের পরই সুখ।

৭। মানুষ কর্তৃক ক্ষতি হওয়া হতে নির্ভীক হওয়াঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

واعلم أن الأمة لو اجتمعت على أن ينفعوك بشيء , لم ينفعوك إلا بشيء قد كتبه الله لك , وإن اجتمعوا على أن يضروك بشيء , لم يضروك إلا بشيء قد كتبه الله عليك , رفعت الأقلام وجفت الصحف

অর্থাৎ জেনে রাখ, যদি সমস্ত মানুষ মিলেও তোমার কোন ভাল করতে চায় তবে তা কখনো সম্ভবপর হবে না, যদি না আল্লাহ তা তোমার ভাগ্যে লিখে রাখেন। আবার তারা যদি সকলে মিলেও তোমার কোন ক্ষতি করতে চায় আর আল্লাহ যদি ঐ ক্ষতি করার কথা না লিখে রাখেন তবে কেহই কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে আর পৃষ্ঠাও শুকিয়ে গেছে। (বর্ণনায় তিরমিযি।)

৮।মৃত্যু হতে নির্ভীক হওয়াঃ

আলী (রাঃ) এক কবিতার মাধ্যমে বলেনঃ

আমি কোন দিন মৃত্যুর হাত হতে পলায়ন করব, যেদিন আমার ভাগ্যে মওত লেখা আছে সেদিন, না যেদিন লেখা নেই, সে দিন? সে দিনতো ভয়ই পাবনা। আর যেদিন লেখা আছে, ঐদিন তো বাঁচার কোন রাস্তা নেই।

৯। যা কিছু নষ্ট হয়ে গেছে তাতে অনর্থক অনুশোচনা না আসাঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

المؤمن القوي خير وأحب إلى الله من المؤمن الضعيف . وفي كل خير . احرص على ما ينفعك واستعن بالله . ولا تعجز . وإن أصابك شيء فلا تقل : لو أني فعلت كان كذا وكذا . ولكن قل : قدر الله . وما شاء فعل . فإن لو تفتح عمل الشيطان

শক্তিশালী মুমিন দুর্বল মুমিন হতে আল্লাহ তাআলার নিকট উত্তম ও অধিক ভালবাসার পাত্র। তবে তাদের উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে। তাই সর্বদা ঐ কাজে সচেষ্ট হও যা তোমার উপকারে আসবে। আর সর্বদা আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করবে, কখনও নিজেকে অক্ষম ভাববে না। যদি তোমাকে কোন বিপদ স্পর্শ করে তবে এই বলবেন না যে, যদি আমি এভাবে বা ওভাবে করতাম তবে তার ফল এ রকম হত। বরং বলবে, আল্লাহ তাআলা যা তক্বদীরেরেখেছিলেন ও ইচ্ছা করেছিলেন তাই ঘটেছে। কারণ, “যদি” কথাটি শয়তানের রাস্তা খুলে দেয়। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

১০। আর আল্লাহ তাআলা যা নির্দিষ্ট করেছেন তার মধ্যেই কল্যাণ রয়েছেঃ ধরুণ, কোন মুসলিমের হাত কিছুটা কেটেছে। সে এই বলে আল্লাহর প্রশংসা করবে যে, হাতটা ভাঙ্গেনি। আর যদি ভাঙ্গে তবে এই বলে শোকরিয়া আদায় করবে যে, উহা কাটা পড়েনি। অথবা তার পিঠ যে ভাঙ্গেনি তাতে শুকরিয়া আদায় করবে। কারণ তা আরও ভয়ঙ্কর।

একটি ঘটনাঃ এক ব্যবসায়ী একদা কোন ব্যবসায়িক কারণে বিমানে আরোহণের জন্য বিমান বন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। এমনি সময় মুয়াযযিন আযান দেন সালাতের জন্য। ফলে তিনি জামাতে সালাত আদায় করতে চলে যান। যখন সালাত শেষ হল তখন জানতে পারলেন যে, বিমান চলে গেছে। ফলে খুব পেরেশান হয়ে বসে রইলেন। কিছুক্ষণ পর খবর আসলো যে, প্লেনটি আকাশে আগুন লেগে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তৎক্ষনাৎ তিনি সিজদায় পড়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলেন নিজে বেঁচে যাওয়ার কারণে ও সালাতের কারণে দেরী হওয়াতে। তাই আল্লাহর ঐ কথা স্মরণ করুনঃ

(আরবি)

আর তোমরা হয়ত কোন জিনিসকে অপছন্দ কর কিন্তু উহা তোমাদের জন্য উত্তম। আর হয়ত কোন জিনিসকে পছন্দ কর যা কিনা তোমাদের ক্ষতিকর। আল্লাহ তাআলা সর্বজ্ঞাত আর তোমরা কিছুই জ্ঞাত নও। (সূরা বাকারাহ, ২১৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন