hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমান-ইসলামের মূলভিত্তি ও ইসলামী আকীদা বিশ্বাস

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনূ

৬২
আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করা
এর কয়েকটা ক্ষুদ্র প্রকারভেদ রয়েছে।

১। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। যেমন নাস্তিকরা করে থাকে এই বলে যে, স্রষ্টা বলে কোন জিনিসের অস্তিত্ব নেই। আর তারা বলেঃ কোন উপাস্য নেই। বরং জীবন হচ্ছে পদার্থ হতে। তারা প্রমাণ দেখায় যে, সৃষ্টি হওয়া এই সমস্ত কাজকর্ম হঠাৎ হয়ে যায় এবং প্রাকৃতিক কারণেই এগুলো ঘটে থাকে। তারা প্রকৃতি ও হঠাৎ হওয়ার যিনি মালিক তার কথা ভুলে গেছে। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের স্রষ্টা, আর তিনি এই সমস্ত জিনিসের অভিভাবক ও তত্ত্বাবধায়ক। (সূরা যুমার, ৬২)

এই দল ইসলামের পূর্বের যামানার কাফিরদের হতেও কট্টর কাফির। এমনকি শয়তান হতেও । কারণ, তারা উভয়েই তাদের স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করত। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেনঃ

(আরবি)

যদি তাদেরকে প্রশ্ন করেন কে তাদের সৃষ্টি করেছে, তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। (সূরা যুখরুফ ৮৭)

শয়তান সম্পর্কে আল-কোরআনে বলা হয়েছেঃ

(আরবি)

সে বলল, আমি তাঁর (আদম) চেয়ে উত্তম, আমাকে আগুন হতে সৃষ্টি করেছেনর আর তাকে মৃত্তিকা হতে সৃষ্টি করেছেন। (সূরা ছোয়াদ ৭৬)

তাই এ জাতীয় কুফরির মধ্যে পড়বে যদি কোন মুসলিম বলে যে , ইহাকে প্রকৃতি সৃষ্টি করেছে অথবা বলে ইহার অস্তিত্ব নিজ থেকেই হয়েছে, যেমনভাবে নাস্তিক বা অন্যরা বলে থাকে।

২। যদি কেহ নিজকে ফের’আউনের মত দাবী করে। যেমন সে বলেছিলঃ

(আরবি)

অর্থাৎ আমিই তোমাদের সর্বোচ্চ প্রভূ। (সূরা নাযিয়াত ২৪)

৩। এই দাবী করা যে, দুনিয়াতে অলীদের মধ্যে কিছু কুতুব আছেন যারা দুনিয়ার কার্যসমূহ নিয়ন্ত্রণ করেন, যদিও তারা আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের অস্তিত্ব স্বীকার করে। তারা এই আক্বীদার ক্ষেত্রে ইসলামের পূর্বের কাফিরদের হতেও অধম। কারণ, তারা (কাফিররা) সর্বদাই স্বীকার করত যে, দুনিয়ার সমস্ত কর্ম পরিচালনাকারী একমাত্র আল্লাহ। মহান আল্লাহ তাদের সম্বন্ধে বলেনঃ

(আরবি)

অর্থাৎ হে নবী ! তাদের প্রশ্ন করুন, কে তোমাদের রিযিক সরবরাহ করেন দুনিয়া ও আসমান হতে? আর কে শ্রবণের ও দর্শনের ক্ষমতার মালিক? আর কে জীবিতকে মৃত হতে বের করেন? আর মৃতকে জীবিত হতে নির্গত করেন? আর কে সমস্ত কার্য নিয়ন্ত্রণ করেন? তারা সাথে সাথে উত্তর দেবেঃ আল্লাহ। হে নবী! আপনি তাদের বলুনঃ তোমরা কি আল্লাহকে ভয় করবে না। (সূরা ইউনুস ৩১)

৪। কিছু কিছু সুফী পীরেরা বলেঃ আল্লাহ তাআলা কোন কোন সৃষ্টির মধ্যে আছেন। যেমন, ইবনে আরাবী বলে এক সুফী, যাকে দামেস্কে কবর দেয়া হয়েছে, সে বলতঃ

রবও বান্দা, আর বান্দাও রব।

হায় আমার বুঝে আসে না! কে কাকে ইবাদত করবে?

চরমপন্থী সুফীরা আরো বলেঃ

কুকুর আর শুকর তারাতো আমাদের মাবুদ ছাড়া কেউ না, আর আল্লাহ্ তো গীর্জাতে উপাসনা রত যাজক ব্যতীত কেহ নহে।

হাল্লাজ বলতঃ আমিই সে (আল্লাহ) আর তিনিই আমি। ওলামারা তাকে মুরতাদ বলে ঘোষণা দিয়ে তার কতলের রায় দিয়েছিলেন। ফলে তাকে হত্যা করা হয়। তারা যে এই ধরণের সাংঘাতিক কথাসমূহ বলে আল্লাহ তা হতে সম্পুর্ণ পাক ও পবিত্র।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন