hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনের আমল ও চরিত্র যেমন হওয়া উচিত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৫
ফরজ নামাযের পর আমল
ফরজ নামায শেষ হওয়ার পর মাসনূন যিকিরগুলো আদায় করবে। তারপর সকাল-সন্ধ্যার কিছু বিশেষ যিকির ও দো‘আ রয়েছে সেগুলোর উপর আমল করবে। ফরজ নামাযের পর নবী করীম ﷺ অনেক চমৎকার অর্থবোধক কিছু যিকির করতেন এবং দো‘আ পড়তেন। আমাদেরকেও নবীর শিখানো সেই দো‘আ ও যিকিরগুলোর উপর আমল করা একান্ত জরুরি। ফরজ নামাযের পর পাঠ করার জন্য যেসব দো‘আ ও যিকির সহীহ হাদীসসমূহে বর্ণনা করা হয়েছে, তার কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হল :

(১) একবার اَللهُ اَكْبَرُ ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে। (বুখারী)

(২) নবী ﷺ সালাম ফিরিয়ে তিন বার বলতেন,

أَسْتَغْفِرُ اللهَ ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ

আসতাগ্ফিরুল্লা-হ, আসতাগ্ফিরুল্লা-হ, আসতাগ্ফিরুল্লা-হ।

‘‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি পরিপূর্ণ হক আদায় করে নামায পড়তে পারিনি, তাই আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিন এবং আমার নামাযকে কবুল করুন। (মুসলিম)

(৩) এরপর নবী ﷺ বলতেন-

اَللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ - وَمِنْكَ السَّلَامُ - تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ

আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-ম, ওয়ামিনকাস্ সালা-ম, তাবা-রাকতা ইয়া-যাল্যালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! আপনি শান্তি, আপনার থেকেই শান্তি আসে। হে সম্মান ও মহত্ত্বের অধিকারী! আপনি বরকতময়।’’ (মুসলিম, মেশকাত)

(৪) মুয়াজ (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ আমার হাত ধরে বললেন, হে মুয়াজ! আমি তোমাকে খুব ভালবাসি। তখন মুয়াজ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমিও আপনাকে ভালবাসি। এরপর নবী ﷺ তাকে বললেন, তুমি প্রত্যেক নামাযের পর এ দো‘আটি ছেড়ে দিও না।

اَللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা-যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়াহুসনি ‘ইবা-দাতিক

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! তোমার যিকির করা, শুকরিয়া আদায় করা ও উত্তম ইবাদাত করার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য কর।’’ (আহমাদ, আবু দাঊদ)

(৫) তাসবীহে ফাতেমী :

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর ৩৩ বার ‘সুবহা-নাল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আলহামদু লিল্লাহ’ ও ৩৩ বার ‘আল্লা-হু আকবার’ এবং একবার

لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন্ ক্বাদীর।

কালেমাটি পড়ে একশত পূর্ণ করবে, তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে- যদিও তা সমুদ্রের ফেনার মত বেশি হয়। (মুসলিম)

(৬) নবী ﷺ প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর এ দো‘আটিও পড়তেন-

لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ ، وَ لَا نَعْبُدُ إِلَّا إيَّاهُ ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ ، اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَ لَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَ لَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ

লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন্ ক্বাদীর, লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ্, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যা-হ, লাহুন্নি‘মাতু ওয়ালাহুল ফায্লু ওয়ালাহুস্ সানা-উলহাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দ্বীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন। আল্লা-হুম্মা লা- মা-নি‘আ লিমা- আ‘ত্বাইতা ওয়ালা- মু‘ত্বিয়া লিমা- মানা‘তা ওয়ালা- ইয়ান্ফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ।

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর জন্য, প্রশংসাও তাঁর জন্য। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ব্যতীত কোন শক্তি নেই। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মাবূদ নেই। আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করি না। সকল নিয়ামত ও অনুগ্রহ তাঁরই। সকল সুন্দর প্রশংসা তাঁর জন্যই। তিনি ব্যতীত আর কোন মাবূদ নেই। একমাত্র তাঁরই জন্য আমরা দ্বীনকে নির্ধারিত করে নিয়েছি, যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা কেউ বাধা দিতে পারে না। আর যা দান কর না তা কেউ দিতে পারে না। আর কোন সম্পদশালীর সম্পদ তোমার আযাব হতে তাকে বাঁচাতে পারে না। (বুখারী, মুসলিম)

(৭) আলী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল ﷺকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পড়বে, সে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতের নিয়ামত লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি রাত্রে শোয়ার সময় এটা পড়বে, তার এবং তার প্রতিবেশীর ঘরকে আল্লাহ বিপদাপদ থেকে নিরাপদ রাখবেন। (বাইহাকী, মেশকাত)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন