hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনের আমল ও চরিত্র যেমন হওয়া উচিত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২০
নবীর প্রতি দরূদ পাঠের আমল
দরূদ পাঠের গুরুত্ব ও ফযীলত :

রাসূল ﷺ এর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন সমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি নিদর্শন হল রাসূল ﷺ এর প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা।

আল্লাহ তা‘আলা রাসূল ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন-

إنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর ফেরেশতারা রহমত বর্ষণ করেন রাসূল ﷺ এর প্রতি। সুতরাং হে ঈমানদারগণ! তোমরা রাসূল ﷺ এর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠকর।’’ (সূরা আহযাব- ৫৬)

এখানে আল্লাহ তা‘আলা, মুমিনদেরকে এমন কাজের নিদের্শ দিয়েছেন। যার আরম্ভ তাঁর নিজের থেকে করেছেন, আর একাজ আল্লাহর ফেরেশতারাও করে থাকেন।

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেন-

مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا

‘‘যে লোক আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে, এর প্রতিদানে আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন।’’ (মুসলিম হা: ৩৮৪, ৪০৮)

অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূল ﷺ বলেন, ‘‘যে আমার উপর একবার দরূদ পঠ করবে আল্লাহ তার উপর ১০টি রহমত নাযিল করবেন, তার ১০টি গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং তার জন্য ১০টি মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।’’ (আহমাদ)

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘নিশ্চয় কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে সে ব্যক্তি যে, আমার উপর বেশি দরূদ পাঠ করেছে।’’ (তিরমিযী)

ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘আল্লাহর তা‘আলার একদল ফেরেশতা রয়েছে যারা যমীনে চলফেরা করে আমার উম্মতের মধ্যে যারা দরূদ পাঠ করে তারা এ দরূদকে আমার কাছে পেঁŠছিয়ে দেয়।’’ (নাসাঈ)

সকাল-বিকাল ১০ বার দরূদ পড়লে নবীর শাফায়াত লাভ হয় :

আবু দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি সকালে ১০ বার ও বিকালে ১০ বার আমার উপর দরূদ পড়বে তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত নসীব হবে।’’ (তাবরাণী)

কোন কিতাবের মধ্যে দরূদ লেখে দিলে ঐ কিতাব যতদিন থাকবে ততদিন লেখক সওয়াব পাবে।

রাসূলের প্রতি দরূদ না পড়ার ক্ষতি :

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেন, ‘‘যে লোকের সামনে আমার নাম উচ্চারিত হয়েছে অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করেনি সে হচ্ছে কৃপণ।’’

(আল জামি’ হা: ২৮৭৮, তিরমিযী হা: ২৮১১, ৩৫৪৬)

কাব বিন উজরা (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীসে এসেছে যে, জিবরাঈল  দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখার সময় বললেন, ধ্বংস হউক ঐ ব্যক্তি যার সামনে আপনার নাম নেয়ার পরও আপনার উপর দরূদ পাঠ করল না, তখন রাসূল ﷺ বললেন, ‘আমীন’ অর্থাৎ তা-ই হোক।

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘কোন বৈঠক বা মজলিসে যদি আল্লাহর যিকির এবং রাসূল ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করা না হয়, তবে ঐ বৈঠক বা মজলিস কিয়ামতের দিন আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হবে।’’ (আবু দাউদ)

জুম‘আর দিন বেশি বেশি দরূদ পড়ার তাকিদ :

আওস ইবনে আওস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে জুম‘আর দিনটি হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম। কাজেই তোমরা ঐ দিন আমার উপর বেশি বেশি করে দরূদ পাঠ কর। কারণ আমার নিকট তোমাদের দরূদগুলো উপস্থাপন করা হয়। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার নিকট আমাদের দরূদ কীভাবে উপস্থাপন করা হবে, আপনি তো তখন মাটির সাথে মিশে যাবেন? জবাবে তিনি বললেন, নবীদের শরীরকে যমীনের জন্য আল্লাহ অবশ্যই হারাম করে দিয়েছেন। অর্থাৎ মাটি নবীদের শরীর খেতে পারে না। (সহীহ আল-জামি’ হা: ২২১২, আবু দাঊদ হা: ৯২৫)

শেখ আবু সুলায়মান (রহ:) বলেন, প্রত্যেক ইবাদাত কবুল হওয়া বা না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু দরূদ এমন একটি আমল যা সরাসরি কবুল হয়ে যায় এবং এর সওয়াব দরূদ পাঠকারীর দিকে ফিরে আসে।

দরূদ সম্পর্কে কিছু মাসআলা :

 অধিকাংশ ইমাম এ বিষয়ে একমত যে, কেউ রাসূলের নাম উচ্চারণ করলে বা শুনলে তাঁর উপর দরূদ পাঠ করা ওয়াজিব হয়ে যায়।

 একই মজলিসে বার বার নবীর নাম উচ্চারিত হলে একবার দরূদ পাঠ করলেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়, তবে প্রত্যেকবার পাঠ করা মুস্তাহাব।

 মুখে উচ্চারণের মত রাসূলের নাম কলমে লিখার সময়ও দরূদ লিখা ওয়াজিব এতে সংক্ষেপে বাংলায় এভাবে (সা:) লেখা যথেষ্ট নয়, বরং পূর্ণ দরূদ লেখা উচিত।

 দরূদ পড়ার জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়, ওযূবিহীন অবস্থায় এবং হায়েয ও নেফাসের সময়ও দরূদ পড়লে সওয়াব পাওয়া যাবে।

যেসব স্থানে দরূদ পড়া উত্তম :

১. জুম‘আর দিন।

২. আযানের পরে।

৩. মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময়।

৪. সকালে ও বিকালে।

৫. ইল্ম শিক্ষা দেয়ার সময়।

৬. হাদীস পড়ার সময়।

৭. তেলাওয়াতের আগে ও পরে।

৮. ওয়াজ-নসীহত শুরু করার আগে।

৯. দো‘আ করার আগে ও পরে।

১০. তওবা করার সময়।

১১. ঘুমানোর সময়।

১২. ঈদ, জুম‘আ ও বিবাহের খুৎবায়।

১৩. কিতাব, ফতওয়া, ও ওসীয়ত লিখার সময়।

১৪. দো‘আয়ে কুনূত পড়ার সময়।

১৫. রাসূল ﷺএর রওযা যিয়ারতের সময়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন