hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনের আমল ও চরিত্র যেমন হওয়া উচিত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২২
ঘুমানোর সময় আমল
মুমিন বান্দা শোয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে নেবে। ওযূ অবস্থায় শোয়ার চেষ্টা করবে। ডান কাতে শয়ন করবে। বেষ্টনী বা দেয়াল ছাড়া ছাদে শয়ন করবে না। চেরাগ বা বাতি জ্বলন্ত রেখে শয়ন করবে না। মন্দ স্বপ্ন দেখলে ‘আউযুবিল্লাহ’ তিনবার বলে বামদিকে থুথু ফেলবে। আর ভালো স্বপ্ন দেখলে ‘আলহামদু লিল্লাহ’ তিনবার পড়বে।

১. হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ঘুমাতে যেতেন তখন এ দো‘আ পড়তেন :

أَموْتُ وَ أَحْيَا اَللّٰهُمَّ بِاسْمِكَ

আল্লা-হুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়াআহ্ইয়া।

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নামে মৃত্যুবরণ করি ও আপনার নামে জাগ্রত হই।’’ (বুখারী হা: ৫৯৫৫)

২. রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন ডান গালের নিচে নিজের ডান হাত রাখতেন এবং এ দো‘আ বলতেন :

اَللّٰهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ

আল্লা-হুম্মা ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাব্আছু ইবা-দাক।

‘‘হে আল্লাহ! আমাকে আপনার শাস্তি থেকে রক্ষা করুন যেদিন আপনার বান্দাদেরকে পুনরায় জীবিত করবেন।’’ (আবু দাঊদ, মিশকাত হা: ২৪০০)

৩. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নিজের বিছানায় আসে, তখন সে যেন নিজের বিছানা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না তার অনুপস্থিতিতে তার বিছানার উপর কী এসে পড়েছে। তারপর (শুয়ে পড়ার সময়) সে যেন এ দো‘আ পাঠ করে :

بِاسْمِكَ رَبِّيْ وَضَعْتُ جَنْبِيْ ، وَبِكَ أَرْفَعُهٗ ، إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِيْ فَارْحَمْهَا ، وَإنْ أَرْسَلْتَهَا ، فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهٖ عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ

বিসমিকা রববী ওয়াযা‘তু জাম্বী, ওয়াবিকা আরফা‘উহু, ইন আমসাক্তা নাফ্সী ফারহামহা, ওয়া ইন আরসাল্তাহা ফাহ্ফায্হা বিমা তাহ্ফাযু বিহী ‘ইবা-দাকাস্ সা-লিহীন।

অর্থ : ‘‘হে আমার রব! তোমার নামে আমি পিঠ রাখলাম এবং তোমার সাহায্যেই তাকে উঠাব। যদি তুমি আমার জীবন নিয়ে নাও, তাহলে তার প্রতি রহম কর। আর যদি আমার জীবন ফিরিয়ে দাও, তাহলে তাকে হেফাযত কর সেই বস্তু থেকে যা থেকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদেরকে তুমি হেফাযত করে থাক।’’ (বুখারী হা: ৫৯৬১, মেশকাত হা: ২৩৮৪)

৪. বারা ইবনে আযীব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, তুমি যখন বিছানায় শয়ন করার ইচ্ছা করবে তখন নামাযের ওযূর মত ওযূ করবে, তারপর ডানকাতে শয়ন করে নিচের দো‘আ পড়বে, এতে তুমি যদি ঘুমের মধ্যে মারাও যাও তাহলে স্বভাবধর্ম (ইসলামের) উপর মারা যাবে। আর এ দো‘আটি তোমার শেষ বাক্যে পরিণত কর :

اَللّٰهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِيْ إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِيْ إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِيْ إِلَيْكَ ، وَأَلْجَأْتُ ظَهرِيْ إلَيْكَ ، رَغْبَةً وَّرَهْبَةً إِلَيْكَ ، لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجَا مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ ، آمَنْتُ بِكِتابِكَ الَّذِيْ أنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِيْ أَرْسَلْتَ

আল্লা-হুম্মা আসলামতু নাফ্সী ইলাইকা, ওয়াওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজ্হী ইলাইকা, ওয়াফাওওয়ায্তু আমরী ইলাইকা, ওয়া আলজা‘তু যাহ্রী ইলাইকা, রাগ্বাতাও ওয়ারাহ্বাহান ইলাইকা, লা মালজাআ ওয়ালা মানজা মিন্কা ইল্লা ইলাইক। আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা, ওয়া বি নাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমার জীবন সমর্পণ করলাম, তোমার দিকে আমার চেহারা নিবদ্ধ করলাম, তোমার উদ্দেশ্যে আমার কাজ-কর্ম নিবেদন করলাম। তোমার দিকে আমার পিঠ লাগিয়েছি অর্থাৎ তোমার আশ্রয় চাচ্ছি। তোমার প্রতি আগ্রহে ও শাস্তির ভয়ে এসব কাজই করছি। তোমার নিকট ছাড়া আর আশ্রয় পাওয়ার ও (নিজেকে) রক্ষা করার স্থান নেই। তুমি যে কিতাব অবতীর্ণ করেছ তার উপর এবং যে নবী পাঠিয়েছ তার উপর আমি ঈমান এনেছি।’’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত পৃঃ ২০৯)

৫. আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ঘুমানোর জন্য নিজের বিছানায় যেতেন তখন দু’হাত মিলিয়ে তাতে ফুঁ দিতেন অতঃপর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, ও সূরা নাস তেলাওয়াত করে মাথা থেকে আরম্ভ করে যতটুকু সম্ভব নিজের শরীরে হাত বুলাতেন। (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত হা: ২১৩২)

৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) কে নবী ﷺ বলেন, ‘‘তুমি শয়নকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করবে, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার সাথে একজন হেফাযতকারী (ফেরেশতা) থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার নিকটবর্তী হবে না। (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১৮৫ পৃঃ হা: ২১২৩)

৭. আবু মাস‘উদ আনসারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে কেউ রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য তা যথেষ্ট হবে। অর্থাৎ ঐ ব্যক্তি সারা রাত বিপদমুক্ত থাকবে। (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত হা: ২১২৫)

৮. আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করতেন তখন নিচের দো‘আ পাঠ করতেন :

لَا إلٰهَ إِلَّا اللهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيْزُ الْغَفَّارُ

লা ইলা-হা ইললাল্লা-হুল ওয়া-হিদুল ক্বাহ্হা-র, রববুস্সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ামা বাইনাহুমাল আযীযুল গাফ্ফা-র।

অর্থ : ‘‘আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, তিনি একক ও শক্তিশালী। আসমান-যমীন এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে, সবকিছুর প্রতিপালক তিনি। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’’ (মুসতাদরাকে হাকেম হা: ১৯৮০)

৯. রাসূল ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পায় তখন সে যেন নিচের দো‘আ পাঠ করে :

بِسْمِ اللهِ أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهٖ وَعِقَابِهٖ وَشَرِّ عِبَادِهٖ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَّحْضُرُوْنِ

বিসমিল্লা-হি, আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন গাযাবিহী ওয়া‘ইক্বা-বিহী ওয়া শার্রি ‘ইবা-দিহী ওয়া মিন হামাযা-তিশ শায়া-তী-নি ওয়াআই ইয়াহ্যুরূন।

অর্থ : ‘‘আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের আশ্রয় নিচ্ছি তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি হতে, তাঁর বান্দার অনিষ্ট হতে এবং শয়তানের খটকা হতে, আর সে যেন আমার নিকট উপস্থিত হতে না পারে।’’ (আবু দাঊদ, মেশকাত, ২১৭ পৃ: হা: ২৪৭৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন