hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনের আমল ও চরিত্র যেমন হওয়া উচিত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৩
৬. আমলের উদ্দেশ্য জেনে তা সাধনের দিকে খেয়াল রাখা
কোন কাজ আল্লাহর ইবাদাত হিসেবে কবুল হতে হলে কাজটির ব্যাপারে আল্লাহর বলে দেয়া উদ্দেশ্য অবশ্যই জানতে হবে এবং কাজটি করার সময় সে উদ্দেশ্য সাধন হচ্ছে কি না তা সর্বক্ষণ খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি আমলের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। যদি সে উদ্দেশ্য সাধন না হয়, তবে ঐ কাজ আল্লাহর দাসত্ব হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না।

নামাযের উদ্দেশ্য :

পবিত্র কুরআনে নামাযের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ

‘‘নিশ্চয় নামায মানুষকে অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখে।’’

(সূরা আনকাবূত- ৪৫)

নামায আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার লক্ষণ হল পাপ কাজ থেকে দূরে থাকা। ইমাম জাফর সাদেক (রহ.) বলেছেন, ‘‘যদি কেউ জানতে চায় যে, তার নামায আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে কি না, তাহলে তার লক্ষ্য করা উচিত যে, তার নামায তাকে কতটুকু পাপ কাজ থেকে দূরে রেখেছে। যদি দেখা যায় যে, সে নামায পড়ার ফলে পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে সক্ষম হয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে তার নামায আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে।’’ (রুহুল মা‘আনী)

মানুষের ব্যক্তি ও সমাজ জীবন থেকে ইসলামের দৃষ্টিতে যেসব কাজ অশ্লীল ও নিষিদ্ধ তা দূর করা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। নামাযের অনুষ্ঠান হচ্ছে ঐ উদ্দেশ্য সাধনের পাথেয়। অর্থাৎ নামাযের অনুষ্ঠানটি এমনভাবে করতে হবে, যেন তা নামাযের উদ্দেশ্য সাধনের ব্যাপারে কোন না কোনভাবে ভূমিকা রাখে। কিন্তু কেউ যদি নামাযের অনুষ্ঠানকেই নামাযের সবকিছু মনে করে, তবে নামায তার জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না।

রোযার উদ্দেশ্য :

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, রোযার উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘তাকওয়া’ অর্জন করা।

আমরা অনেকেই রোযা রাখি কিন্তু রোযার উদ্দেশ্য কি আমাদের মাঝে প্রতিফলিত হয়? নবী ﷺ বলেছেন-

كَمْ مِّنْ صَائِمٍ لَيْسَ لَهٗ مِنْ صِيَامِهٖ إِلَّا الظَّمَأُ وَكَمْ مِّنْ قَائِمٍ لَيْسَ لَهٗ مِنْ قِيَامِهٖ إِلَّا السَّهَرُ

এমন অনেক রোযাদার আছে কেবল ক্ষুধা আর পিপাসা ছাড়া তাদের ভাগ্যে আর কিছু জোটে না। আবার রাত্রিতে ইবাদাতকারী অনেক রয়েছে, কিন্তু রাত্রি জাগরণের কষ্ট ছাড়া তারা আর কিছুই লাভ করতে পারে না। (দারেমী)

এ হাদীস থেকে এটা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র উপবাস থাকলেই রোযা ফলপ্রসূ হবে না।

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন-

مَنْ لَّمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّوْرِ وَالْعَمَلَ بِهٖ فَلَيْسَ للهِ حَاجَةٌ فِيْ أَنْ يَّدَعَ طَعَامَهٗ وَشَرَابَهٗ

‘‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বা মিথ্যা আচরণ ছাড়েনি, তার খাওয়া বা পান করা ছেড়ে দেয়াতে (রোযা রাখাতে) আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।’’ (বুখারী)

মিথ্যা কথা বা মিথ্যা আচরণ না ছাড়ার অর্থ হচ্ছে তাকওয়া অর্জিত না হওয়া। তাই রাসূূূল ﷺ এখানে বলেছেন, যে রোযাদার মিথ্যা কথা বা মিথ্যা আচরণ ছাড়েনি অর্থাৎ যে ব্যক্তির রোযা দ্বারা রোযার উদ্দেশ্য অর্জিত হয় না, তার রোযা তার জন্য কল্যাণকর হবে না।

কুরবানীর উদ্দেশ্য :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

لَنْ يَّنَالَ اللهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلٰكِنْ يَّنَالُهُ التَّقْوٰى مِنْكُمْ

‘‘এগুলোর (কুরবাণীর পশুর) গোশত ও রক্ত আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না; বরং তোমাদের তাকওয়াই তাঁর নিকট পৌছায়।’’ (সূরা হাজ্জ- ৩৭)

আল্লাহ তা‘আলা এখানে স্পষ্ট করে বলেছেন যে, কুরবানির পশুর রক্ত ও মাংস তাঁর নিকট পৌঁছায় না বরং তাঁর নিকট পৌঁছায় কুরবানীর মাধ্যমে যে তাকওয়া অর্জিত হয় সেই তাকওয়া। এ থেকে সহজে বুঝা যায় যে, কুরবানির অনুষ্ঠান থেকে কোন সওয়াব হবে না বা কুরবানী আল্লাহর দাসত্ব হিসেবে গণ্য হবে না, যদি তা থেকে তাকওয়া অর্জিত না হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন