মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু আবিষ্কার করবে অথবা কোন বিদআতীকে আশ্রয় দেবে তার উপর আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতা এবং সমগ্র মানবকূলের অভিশাপ বর্ষিত হোক। তার কোন ফরজ ও নফল ইবাদাত কবুল হবে না।’’
(সহীহুল বুখারী, হা: ৩১৮০, মুসলিম, ত্বাবরানী)
বিদআত ও মনগড়া আমল যতই ভাল দেখা যাকনা কেন, তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
গণক ও জ্যোতিষীর কাছে গমনকারীর আমল কবুল হয় না :
জ্যোতিষ বা গণকের কথা বিশ্বাস করলে আমল কবুল হবে না। রাসূল ﷺএর কতিপয় স্ত্রী হতে বর্ণিত আছে, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি গণকের নিকট আসবে এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করবে, সে ব্যক্তির চল্লিশ রাত (দিনের) নামায কবুল হবে না।’’ (মুসলিম হা: ৫৯৫৭)
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি (জ্যোতিষী) গণকের নিকট আসবে এবং সে যা বলে তার কথায় বিশ্বাস করবে, সে মুহাম্মাদ ﷺ এর প্রতি নাযিলকৃত দ্বীনকে অস্বীকার করলো।’’
(সুনান বায়হকী হা: ১৬৯৩৮)
গনকরা ভবিষ্যতের খবর দেয়, অথচ ভবিষ্যতের খবর একমাত্র আল্লাহই জানেন, তাই এদের কথা বিশ্বাস করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
মদ্য পানকারীর আমল কবুল হয় না :
রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘আমার উম্মাতের মধ্যে যে ব্যক্তি মদ্যপান করবে, তার ৪০ দিনের নামায কবুল হবে না।’’ (সিলসিলা সহীহা হা: ১৮৫৪)
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘মদ হচ্ছে খবীসের মা। যে মদ পান করে তার ৪০ দিনের নামায কবুল হবে না। তার পেটে মদ থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জাহিলিয়্যাতের মৃত্যুবরণ করল।’’ (নাসাঈ হা: ৭০৯)
উল্লেখ্য যে, সহীহ হাদীসে রাসূল ﷺ প্রত্যেকটি নেশা জাতীয় দ্রব্যকে মদ বলেছেন। তাই হেরোইন, ফেনসিডিল, গাজা, আফীম, হুইসকি, ইয়াবা, পেস্টিং ও তামাকজাত দ্রব্য ইত্যাদি মাদকের অন্তর্ভুক্ত। তাই এসব নেশাজাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকা সকলের কর্তব্য।
মাতা-পিতার অবাধ্য, খোটাদানকারী, তাকদীর অস্বীকারকারী- এদের আমল কবুল হয় না :
রাসূল ﷺ বললেন, আল্লাহ তা‘আলা তিন প্রকার লোকের ফরজ ও নফল ইবাদাত কবুল করেন না :
মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করা, তাদের কথা শুনা, সেবা-যত্ন করা, তাদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা এসবের প্রতি ইসলাম অত্যধিক গুরুত্ব দিয়েছে। স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার জন্য বহুবার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূল ﷺও হাদীসের মাধ্যমে মাতা-পিতার আনুগত্য করার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারূপ করেছেন। তবে হ্যাঁ, মাতা-পিতা যদি কোন কুফরী বা আল্লাহর নাফমানী হয় এমন কাজের আদেশ করে সেক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য করা যাবে না এবং তাদেরকে উত্তম কথার মাধ্যমে বুঝাতে হবে যে, এমনটি করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। (সূরা লুকমান- ১৫)
মুমিন ব্যক্তিকে হত্যা করলে আমল কবুল হয় না :
উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) রাসূল ﷺ থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুমিন ব্যক্তিকে ইচ্ছা করে হত্যা করবে এবং তাকে হত্যা করে খুশি হবে, তার কোন ফরজ ও নফল ইবাদাত আল্লাহ কবুল করবেন না। (আবু দাউদ হা: ৪২৭২)
কেউ কোন সাধারণ মুসলিমের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটালে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ এবং ফেরেশতাকূল ও মানবকূল সকলের অভিশাপ বর্ষিত হবে। তার কোন ফরজ ও নফল ইবাদাত কবুল করা হবে না।
পক্ষবাদী নেতার আমল কবুল হবে না :
যে নেতা নেতৃত্ব পরিচালনার ক্ষেত্রে অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে কারো পক্ষ অবলম্বন করে চলে তার সম্পর্কে রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি মুসলিমদের কোন কিছুর নেতৃত্ব পায় এবং তাদের উপর কারোর পক্ষপাতিত্ব করে নেতৃত্ব পরিচালনা করে, তার উপর আল্লাহর লানাত রয়েছে। আল্লাহ এমন ব্যক্তির কোন প্রকার ফরজ ও নফল ইবাদাত কবুল করবেন না, সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। (আহমাদ হা: ২১)
অপবিত্র অবস্থায় নামায কবুল হয় না :
ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন, পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। (মুসলিম, আহমাদ হা: ৮২০৬)
রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের করো নামায কবুল করবেন না যতক্ষণ না তোমরা অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা অর্জন করো।’’
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, হা: ৭৬)
সূরা ফাতিহা না পড়লে নামায কবুল হয় না :
রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘যে সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা হয় না ঐ নামায কবুল করা হয় না।’’ (মুসনাদ আহমাদ হা: ২০৬১৯)
বেপর্দা হয়ে নামায পড়লে কবুল হয় না :
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘ওড়না ছাড়া প্রাপ্তবয়স্কা মেয়েদের নামায কবুল হয় না।’’
পর্দা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা ঈমানকে মজবুত ও ইবাদাতকে স্বার্থক করে তুলতে সাহায্য করে। এজন্য ইসলাম প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কা নর-নারীর জন্য পর্দা ফরজ করে দিয়েছে। এ বিধান ঘরে-বাইরে এমনকি নামায আদায়ের সময়ও যথাযথভাবে পালন করতে হবে। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য পর্দার বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা রাসূল ﷺ বলেছেন, নামাযের সময় ওড়না পরিধান করে না এমন প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ের নামায কবুল হবে না।
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিচার না করলে নামায কবুল হয় না :
রাসূল ﷺ বললেন, ‘‘যে বিচারক আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করবে না আল্লাহ তার নামায কবুল করবেন না।’’ (হাকিম)
মহিলা খুশবু লাগিয়ে মসজিদে গেলে নামায কবুল হয় না :
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা আমার সাথে এক মহিলার দেখা হল, যার শরীর থেকে সুগন্ধি বের হচ্ছিল এবং তার (পাতলা) কাপড়ও বাতাসে উড়ছিল। তখন আমি তাকে বললাম, হে বেহায়া মহিলা! তুমি কি মসজিদ থেকে আসেছো? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বলেন, তুমি কি খুশবু ব্যবহার করেছো? সে বলল, হ্যাঁ। তখন আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল ﷺ কে বলতে শুনেছি, যে মহিলা খুশবু লাগিয়ে মসজিদে আসে তার নামায কবুল হয় না, যতক্ষণ না সে ফিরে গিয়ে ফরজ গোসলের ন্যায় গোসল করে। (এমন উত্তমরূপে গোসল করে যাতে তার দেহে কোন সুগন্ধি না থাকে)। (মুসলিম, আবু দাউদ হা: ৩৬৪৩)
উল্লেখ্য যে, স্বামীকে খুশি করার জন্য স্ত্রী ঘরে রং ও খুশবু ব্যবহার করতে পারবে।
মসজিদ ব্যতীত মসজিদের প্রতিবেশীর নামায কবুল হয় না :
রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আযান শুনেছে আর তার অনুসরণ করতে তাকে কোন ওজর বাধা দেয়নি তবুও সে জামাআতে উপস্থিত হয়নি। তার সে নামায কবূল করা হবে না যা সে একা পড়েছে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কী? তিনি বললেন, শত্রুর ভয় বা রোগ।’’ (আবু দাউদ হা: ৫৫১)
স্বৈরাচার ইমাম, স্বামীকে অসন্তুষ্টকারী স্ত্রী, অনুমতি ছাড়া জানাযার নামাযে ইমামতকারী- এদের নামায কবুল হয় না :
রাসূল ﷺ বলেছেন, তিন ব্যক্তির নামায কবুল করা হয় না, তা আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয় না এবং তা তাদের মাথাকেও অতিক্রম করে না।
(১) ঐ ব্যক্তি, যে কোন সম্প্রদায়ের ইমামতী করে অথচ সম্প্রদায়ের লোকেরা (তার অনাচারের কারণে) তাকে অপছন্দ করে।
(২) ঐ ব্যক্তি, যে কারো জানাযার নামায আদায় করে অথচ তাকে এর নির্দেশ দেয়া হয়নি।
(৩) ঐ মহিলা, যাকে তার স্বামী রাত্রিতে আহবান করেছে অথচ সে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সহীহ ইবনে খুযাইমা হা: ১৫১৮)
মুসলিম ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যায় না :
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বললেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। যেসব অপরাধী আল্লাহর সাথে শিরক করেনি তাদেরকে ক্ষমা করা হয়। কিন্তু পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয় যে, এদেরকে ফিরিয়ে দাও যতক্ষণ না এরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা স্থাপন করে। (সহীহ মুসলিম)
তবে কেউ যদি ঈমান রক্ষার জন্য কারো সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তবে তাতে গুনাহ হবে না। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বললেন, ‘‘ঈমানের প্রকৃত স্বাদ সেই পাবে যে আল্লাহর জন্যই কাউকে ভালবাসে এবং সম্পর্ক ছিন্ন করে।’’ (বুখারী, মুসলিম)
আবদুল্লাহ ইবনে মাস‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল ﷺ বলেছেন, কোন বান্দা হারাম বা অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ থেকে খরচ করলে তাতে বরকত হবে না। যদি সে তা থেকে দান করে তবে তা কবুল হবে না। তার ঐ ধন-সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার জন্য জাহান্নামের পুঁজি হবে। মন্দের দ্বারা মন্দ কাটে না (অর্থাৎ হারাম মাল দান করলে গুনাহ মাফ হয় না)। কিন্তু ভাল দ্বারা মন্দ কেটে যায় (অর্থা হালাল মাল দান করলে গুনাহ মাফ করা হয়। (ত্বাবারানী কাবীর হা: ১০৪০১)
আনাস (রাঃ) বলেন, আমি একদা রাসূল ﷺ কে বললাম, আপনি আল্লাহর নিকট দো‘আ করুন তিনি যেন আমার দো‘আ কবুল করেন। রাসূল ﷺ বললেন, হে আনাস! তুমি হালাল রোজগার কর, তোমার দো‘আ কবুল হবে। কোন ব্যক্তি যখন হারাম লোকমা মুখে রাখেবে তখন ৪০ দিন তার দো‘আ কবুল হয় না। (ত্বাবারানী) নিচের হাদীসটি যয়ীফ।
ইবনে উমর (রাঃ) বর্ণনা করেন : ‘‘যে ব্যক্তি দশ মুদ্রায় একটি কাপড় কিনেছে আর তাতে একটি মুদ্রা হারাম থাকে এ কাপড়টি যতক্ষণ পর্যন্ত তার পরনে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার নামায কবুল হবে না।’’ ইবনে উমর (রাঃ) এ বর্ণনা পর তার উভয় কানে আঙ্গুল দিয়ে বললেন, আমার কর্ণদ্বয় বধির হয়ে যাবে যদি এ বর্ণনা আমি রাসূল ﷺ কে বলতে শুনে না থাকি। (আহমাদ হা: ৫৭৩২)
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘হে লোকসকল! নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ছাড়া কোন কিছু গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা‘আলা নবীদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুমিনদেরকেও একই নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র জিনিস খাও এবং নেক আমল কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে বিষয়ে আমি অবগত আছি।’ আল্লাহ আরো বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দান করেছি তা থেকে তোমরা পবিত্র জিনিস খাও।’
অতঃপর তিনি এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে দীর্ঘ সফর করে, এলোমেলো কেশবিশিষ্ট, ধূলোমলিন শরীর, সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, হে আমার রব! হে আমার রব! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম এবং হারামের দ্বারা সে প্রতিপালিত হচ্ছে, সুতরাং কিভাবে তার দো‘আ কবুল হবে? (মুসলিম হাঃ : ২৩৯৩, মেশকাত হা: ২৭৬০)
উল্লেখ্য, যে সকল দেশে ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত নেই সেখানে সরকারী-বেসরকারীভাবে সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রয়েছে বিধায় সেখানে বসবাসরত মুসলিমরা কমবেশি সুদের সাথে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য। এমতাবস্থায় এর কুফল হতে বাঁচার জন্য করণীয় হল :
ক. সুদের পৃষ্ঠপোষকদের কোনরূপ সমর্থন না করা।
খ. যথাসম্ভব হালাল উপার্জন করা এবং হারাম থেকে দূরে থাকা।
গ. ইসলামী আইন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা, যাতে হারামের সকল পথই বন্ধ হয়ে যায়।
ঘ. আল্লাহ তা‘আলা যেন এই অনিচ্ছাকৃত হারামের কারণে ইবাদাতকে বরবাদ না করেন সেজন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
ঙ. ইসলামী ব্যাংকিং চালু করা এবং একে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করা।
চ. সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাহায্য কামনা করা, যাতে পরিবেশ অনুকূলে এসে যায়।
যারা উপরোক্ত কাজগুলো না করে সুদ ও অন্যান্য হারামের পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে, নিজেকে দায়িত্বমুক্ত ভেবে নীরব ভূমিকা পালন করবে, অর্থাৎ যেসব হারাম তাকে বিচলিত করছে না, সে আল্লাহর দরবারে আসামী সাব্যস্ত হবে। কারণ সে হারাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন মনে করেনি এবং চেষ্টাও করেনি।
সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ না করলে দো‘আ কবুল হয় না :
আয়েশা (রাঃ) হতে মারফু সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘‘হে লোকসকল! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে বলেছেন, তোমরা সৎকাজের আদেশ কর এবং অসৎ কাজের নিষেধ কর। নতুবা তোমরা আমার কাছে দো‘আ করবে আমি তা কবুল করব না, আমার কাছে চাইবে কিন্তু আমি দেব না, আমার কাছে সাহায্য চাইবে কিন্তু আমি সাহায্য করব না’’। (আহমাদ)
এ হাদীসটিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে। আমরা অনেকেই নিজেদের আমল ভাল করার চেষ্টা করি অথচ নিজ পরিবার ও সমাজ সম্পর্কে উদাসীন থাকি। নিজের স্ত্রী ও সন্তানরা দ্বীনের পথে আছে কি না সে দিকে মনোযোগ দেই না। তাই আল্লাহর দরবারে আমাদের দো‘আ কবুল হওয়ার জন্য পরিবার ও সমাজকেও দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
তাকওয়া বা আল্লাহভীতি হচ্ছে আমল কবুলের মূল ভিত্তি :
‘‘তুমি তাদের সঠিকভাবে শুনাও আদমের দুই পুত্রের বিবরণ। যখন তারা কুরবানী করেছিল তখন তাদের একজনের কুরবানী কবুল করা হয়েছিল এবং অপরজনের কুরবানী কবুল করা হয়নি। সে বলল, ‘‘অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব।’’ অপরজন বলল, ‘‘আল্লাহ শুধুমাত্র পরহেযগারদের কুরবানীই কবুল করেন।’’ (সূরা মায়িদা- ২৭)
আদম এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিল উভয়ই কুরবানী করেছিল। হাবিলের কুরবানী কবুল করা হল কিন্তু কাবিলেরটা কবুল করা হয়নি। কারণ হাবিলের কুরবানীর ভিত্তি ছিল তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি আর কাবিলের কুরবানীতে তা ছিল না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/542/55
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।